ETV Bharat / state

বারাসত-অশোকনগরের পর খড়দা, ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে আশঙ্কাজনক যুবক - Man Assaulted in Khardah

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 22, 2024, 3:42 PM IST

Man Assaulted in Khardah: পুলিশ প্রশাসনের প্রচার সত্ত্বেও উত্তর 24 পরগনায় বন্ধ হচ্ছে না গণপিটুনির মতো ঘটনা ৷ এবার খড়দায় ছেলেধরা সন্দেহে যুবককে গণপিটুনির অভিযোগ উঠল ৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে ৷

ETV BHARAT
খড়দায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে যুবক ৷ (নিজস্ব চিত্র)

খড়দা, 22 জুন: প্রচার, সচেতনতা সত্ত্বেও সতর্ক হচ্ছে না একশ্রেণির মানুষ ৷ 'গুজব'-এর জেরে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে ৷ বারাসত, অশোকনগরের পর এবার খড়দা ৷ আবারও ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির অভিযোগ এক যুবককে ৷ চড়, লাথি, ঘুষি সবকিছুই চলল স্রেফ সন্দেহের বশে ৷ ওই যুবককে রাস্তায় ফেলে মারধর করার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায় ৷ যদিও, তার সততা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷ মারধরের জেরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এই আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহত যুবক ৷ শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে খড়দার রুইয়া এলাকায় ৷

খড়দায় ছেলেধরা সন্দেহে যুবককে গণপিটুনি (ইটিভি ভারত)

খড়দার আগে উত্তর 24 পরগনা জেলার অশোকনগরেও একই ঘটনা ঘটে ৷ সেখানে আবার মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির অভিযোগ উঠেছে ৷ তাঁকে উদ্ধার করতে এসে উন্মত্ত জনতার হাতে আক্রান্ত হয় পুলিশও ৷ এই দু’টি ঘটনারই তদন্তে নেমেছে পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, অশোকনগর এবং খড়দার ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ আটজনকে গ্রেফতার করেছে ৷ বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে ৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, খড়দার ঘটনায় যে যুবক আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর নাম নাজির হুসেন ৷ নাজিরের বাড়ি মোহনপুর থানার কাঁঠালিয়া এলাকায় ৷ শুক্রবার রাতে স্থানীয় একটি মেলায় গিয়েছিলেন তিনি ৷ সেখান থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে ছেলেধরা সন্দেহে কয়েকজন তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ ৷ তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাজিরকে উদ্ধার করে পুলিশ ৷ প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ব‍্যারাকপুরের বিএনবসু হাসপাতালে ৷ পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ৷ সেখানে আশঙ্কজনক অবস্থায় ভর্তি নাজির ৷

তবে নাজির ছেলেধরা, এ অভিযোগ মানতে নারাজ তাঁর এলাকার লোকজন ৷ মারধরের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে এদিন সরব হয়েছেন তাঁরা ৷ এই প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর অতনু দাস বলেন, "স্থানীয় একটি মেলা থেকে ফিরছিলেন ৷ তখনই তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ৷ ছেলেধরার যে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে নাজিরের বিরুদ্ধে, তা ঠিক নয় ৷ ও অত্যন্ত ভালো ছেলে ৷ বাজে কোনও স্বভাব নেই ওর মধ্যে ৷ ওকে কেন মারধর করা হল ? তা তদন্ত করে দেখা হোক ৷ আমরাও ধন্দে আছি ৷ পুলিশকে বলা হয়েছে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা সামনে আনা হোক ৷ একটা ভিডিয়ো সামনে এসেছে ৷ সেখানে কয়েকজন যুবককে চিহ্নিত করা গিয়েছে ৷ বাকিটা পুলিশের তদন্তের বিষয় ৷"

অন‍্যদিকে, নাজিরের পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ মোট তিন জনকে গ্রেফতার করেছে ৷ মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত বাকিদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ ৷ উল্লেখ্য, ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনার শুরুটা হয়েছিল বারাসত থেকে ৷ অভিযোগ কাজিপাড়ায় এক কিশোরকে মৃত্যুর ঘটনায়, কেউ বা কারা রটিয়ে দেয় যে, ছেলেধরার খপ্পরে পড়েছিল ওই কিশোর ৷ ছেলেধরা তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে চোখ ও কিডনি বের করে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে ৷ মৃত কিশোরের পরিবারের একাংশ এই অভিযোগ করে ৷ যদিও পুলিশের তরফে জানান হয়, ময়নাতদন্তে এমন কোনও ঘটনার প্রমাণ মেলেনি ৷ কিন্তু, ওই খুনের ঘটনার পর থেকেই ছেলেধরা নিয়ে নানান রটনা শুরু হয়ে যায় বারাসত জুড়ে ৷

খড়দা, 22 জুন: প্রচার, সচেতনতা সত্ত্বেও সতর্ক হচ্ছে না একশ্রেণির মানুষ ৷ 'গুজব'-এর জেরে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে ৷ বারাসত, অশোকনগরের পর এবার খড়দা ৷ আবারও ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির অভিযোগ এক যুবককে ৷ চড়, লাথি, ঘুষি সবকিছুই চলল স্রেফ সন্দেহের বশে ৷ ওই যুবককে রাস্তায় ফেলে মারধর করার ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায় ৷ যদিও, তার সততা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷ মারধরের জেরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় এই আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আহত যুবক ৷ শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে খড়দার রুইয়া এলাকায় ৷

খড়দায় ছেলেধরা সন্দেহে যুবককে গণপিটুনি (ইটিভি ভারত)

খড়দার আগে উত্তর 24 পরগনা জেলার অশোকনগরেও একই ঘটনা ঘটে ৷ সেখানে আবার মানসিক ভারসাম্যহীন এক তরুণীকে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির অভিযোগ উঠেছে ৷ তাঁকে উদ্ধার করতে এসে উন্মত্ত জনতার হাতে আক্রান্ত হয় পুলিশও ৷ এই দু’টি ঘটনারই তদন্তে নেমেছে পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, অশোকনগর এবং খড়দার ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশ আটজনকে গ্রেফতার করেছে ৷ বাকিদের খোঁজেও তল্লাশি চলছে ৷

স্থানীয় সূত্রে খবর, খড়দার ঘটনায় যে যুবক আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর নাম নাজির হুসেন ৷ নাজিরের বাড়ি মোহনপুর থানার কাঁঠালিয়া এলাকায় ৷ শুক্রবার রাতে স্থানীয় একটি মেলায় গিয়েছিলেন তিনি ৷ সেখান থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পথে ছেলেধরা সন্দেহে কয়েকজন তাঁর উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ ৷ তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করা হয় ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাজিরকে উদ্ধার করে পুলিশ ৷ প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় ব‍্যারাকপুরের বিএনবসু হাসপাতালে ৷ পরে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে ৷ সেখানে আশঙ্কজনক অবস্থায় ভর্তি নাজির ৷

তবে নাজির ছেলেধরা, এ অভিযোগ মানতে নারাজ তাঁর এলাকার লোকজন ৷ মারধরের ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবিতে এদিন সরব হয়েছেন তাঁরা ৷ এই প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর অতনু দাস বলেন, "স্থানীয় একটি মেলা থেকে ফিরছিলেন ৷ তখনই তাঁকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক ৷ ছেলেধরার যে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে নাজিরের বিরুদ্ধে, তা ঠিক নয় ৷ ও অত্যন্ত ভালো ছেলে ৷ বাজে কোনও স্বভাব নেই ওর মধ্যে ৷ ওকে কেন মারধর করা হল ? তা তদন্ত করে দেখা হোক ৷ আমরাও ধন্দে আছি ৷ পুলিশকে বলা হয়েছে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা সামনে আনা হোক ৷ একটা ভিডিয়ো সামনে এসেছে ৷ সেখানে কয়েকজন যুবককে চিহ্নিত করা গিয়েছে ৷ বাকিটা পুলিশের তদন্তের বিষয় ৷"

অন‍্যদিকে, নাজিরের পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ তার ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ মোট তিন জনকে গ্রেফতার করেছে ৷ মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত বাকিদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ ৷ উল্লেখ্য, ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির ঘটনার শুরুটা হয়েছিল বারাসত থেকে ৷ অভিযোগ কাজিপাড়ায় এক কিশোরকে মৃত্যুর ঘটনায়, কেউ বা কারা রটিয়ে দেয় যে, ছেলেধরার খপ্পরে পড়েছিল ওই কিশোর ৷ ছেলেধরা তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে চোখ ও কিডনি বের করে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে ৷ মৃত কিশোরের পরিবারের একাংশ এই অভিযোগ করে ৷ যদিও পুলিশের তরফে জানান হয়, ময়নাতদন্তে এমন কোনও ঘটনার প্রমাণ মেলেনি ৷ কিন্তু, ওই খুনের ঘটনার পর থেকেই ছেলেধরা নিয়ে নানান রটনা শুরু হয়ে যায় বারাসত জুড়ে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.