ETV Bharat / state

ব্রিজ পেরোতে গিয়ে তলিয়ে গিয়েছিল গাড়ি ! 12 ঘণ্টা পর উদ্ধার চালকের দেহ - Driver Body Recovered

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Aug 3, 2024, 11:06 AM IST

Updated : Aug 3, 2024, 11:26 AM IST

Driver Body Recovered from River: 12 ঘণ্টা পর অবশেষে নদী থেকে উদ্ধার হল গাড়ি-সহ তলিয়ে যাওয়া চালকের দেহ ৷ শুক্রবার সন্ধ্যায় গাড়ি নিয়ে ওই চালক নুনিয়া নদীর ডুবে যাওয়া কল্যাণপুর সেতু দিয়ে পেরনোর চেষ্টা করছিলেন ৷ সেসময় গাড়ি-সহ ভেসে যান তিনি ৷

Driver Body Recovered
12 ঘণ্টা পর তলিয়ে যাওয়া চালকের দেহ উদ্ধার (নিজস্ব ছবি)

আসানসোল, 3 অগস্ট: 12 ঘণ্টা পর উদ্ধার হল আসানসোলে নুনিয়া নদীতে গাড়ি-সহ তলিয়ে যাওয়া চালকের দেহ । মৃত ব্যক্তির নাম চঞ্চল বিশ্বাস (59) ৷ তিনি আসানসোলের সুগম পার্কের বাসিন্দা । শুক্রবার সন্ধ্যায় আসানসোলের কল্যাণপুরে সেতু থেকে নুনিয়া নদীতে তলিয়ে যান তিনি । রাত থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে এনডিআরএফ । শনিবার সকালে নুনিয়া নদীতেই ঘটনাস্থল থেকে খানিকটা দূরে গাড়ির ভিতর থেকেই চঞ্চলের দেহ উদ্ধার হয় । দেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য ।

গাড়ির ভিতর থেকেই উদ্ধার চঞ্চল বিশ্বাসের দেহ (ইটিভি ভারত)

বৃহস্পতিবার রাত থেকেই একনাগাড়ে বৃষ্টি শুরু হয় আসানসোলে । আর এই বৃষ্টির ফলে আসানসোলের বুক চিরে যাওয়া দুটি নদী নুনিয়া এবং গাঁড়ুই নদীর জলস্তর বিপদসীমা পার করে গিয়েছিল । আসানসোল রেলপার জলমগ্ন হওয়ার পাশাপাশি আসানসোল উত্তর এবং দক্ষিণের সংযোগকারী বেশ কিছু সেতু ডুবে যায় । তার মধ্যে আসানসোলের কল্যাণপুরের সেতুটি অন্যতম । কল্যাণপুর শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যায় এই ছোট্ট সেতুর সঙ্গে । আসানসোল সুগম পার্কের বাসিন্দা চঞ্চল বিশ্বাস । বিইএমএল সংস্থায় চাকরি করতেন তিনি । নভেম্বর মাসেই অবসর নিতেন চঞ্চল । শুক্রবার সন্ধ্যায় চাকরির ক্ষেত্র থেকে কাজ সেরে এই কল্যাণপুর সেতু দিয়েই সুগম পার্কে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন তিনি । সেসময় জলের তোড়ে গাড়ি-সহ ভেসে যান ওই ব্যক্তি ৷

যদিও শুক্রবার সকাল থেকেই সেতুটি সম্পূর্ণভাবে জলে ডুবে গিয়েছিল । তা জানা সত্ত্বেও মূল রাস্তা ছেড়ে সেই ছোট্ট সেতুর পথ বেছে নেন চঞ্চল বিশ্বাস । জানা গিয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত সিভিক পুলিশ থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রত্যেকেই মানা করেছিলেন চঞ্চলকে গাড়ি নিয়ে জলভর্তি সেতুর দিকে এগোতে । কিন্তু তিনি কথা শোনেননি । সেতুর খানিকটা ভিতরে যেতেই জলের স্রোতে কার্যত নিয়ন্ত্রণ হারায় চঞ্চল বিশ্বাসের গাড়ি । এরপর পিছন থেকে বাসিন্দারা চিৎকার করতে থাকেন । তাঁকে বারবার গেট খুলে আসার জন্য চিৎকার করতে থাকেন সবাই ৷ কিন্তু জলের চাপে সেটুকুও করতে পারেনি চঞ্চল । গাড়ি-সহ তিনি তলিয়ে যায় নুনিয়া নদীর জলে ।

ঘটনার খবর পেয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার পুলিশ থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলার কর্মীরা উদ্ধার কাজে নামে । কিন্তু তারাও ব্যর্থ হয় । রাতে নামানো হয় এনডিআরএফ । শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে শতাব্দী পার্কের কাছে সেই নুনিয়া নদীর জলেই গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় চঞ্চল বিশ্বাসের দেহ । ঘটনার খবর পেয়েই আসানসোল জেলা হাসপাতালে শয়ে শয়ে মানুষ উপস্থিত হন । কান্নায় ভেঙে পড়েন চঞ্চলের স্ত্রী ও পরিবারের অনান্যরা ।

আসানসোল, 3 অগস্ট: 12 ঘণ্টা পর উদ্ধার হল আসানসোলে নুনিয়া নদীতে গাড়ি-সহ তলিয়ে যাওয়া চালকের দেহ । মৃত ব্যক্তির নাম চঞ্চল বিশ্বাস (59) ৷ তিনি আসানসোলের সুগম পার্কের বাসিন্দা । শুক্রবার সন্ধ্যায় আসানসোলের কল্যাণপুরে সেতু থেকে নুনিয়া নদীতে তলিয়ে যান তিনি । রাত থেকে উদ্ধার কাজ শুরু করে এনডিআরএফ । শনিবার সকালে নুনিয়া নদীতেই ঘটনাস্থল থেকে খানিকটা দূরে গাড়ির ভিতর থেকেই চঞ্চলের দেহ উদ্ধার হয় । দেহ আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য ।

গাড়ির ভিতর থেকেই উদ্ধার চঞ্চল বিশ্বাসের দেহ (ইটিভি ভারত)

বৃহস্পতিবার রাত থেকেই একনাগাড়ে বৃষ্টি শুরু হয় আসানসোলে । আর এই বৃষ্টির ফলে আসানসোলের বুক চিরে যাওয়া দুটি নদী নুনিয়া এবং গাঁড়ুই নদীর জলস্তর বিপদসীমা পার করে গিয়েছিল । আসানসোল রেলপার জলমগ্ন হওয়ার পাশাপাশি আসানসোল উত্তর এবং দক্ষিণের সংযোগকারী বেশ কিছু সেতু ডুবে যায় । তার মধ্যে আসানসোলের কল্যাণপুরের সেতুটি অন্যতম । কল্যাণপুর শহরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা যায় এই ছোট্ট সেতুর সঙ্গে । আসানসোল সুগম পার্কের বাসিন্দা চঞ্চল বিশ্বাস । বিইএমএল সংস্থায় চাকরি করতেন তিনি । নভেম্বর মাসেই অবসর নিতেন চঞ্চল । শুক্রবার সন্ধ্যায় চাকরির ক্ষেত্র থেকে কাজ সেরে এই কল্যাণপুর সেতু দিয়েই সুগম পার্কে নিজের বাড়ি ফিরছিলেন তিনি । সেসময় জলের তোড়ে গাড়ি-সহ ভেসে যান ওই ব্যক্তি ৷

যদিও শুক্রবার সকাল থেকেই সেতুটি সম্পূর্ণভাবে জলে ডুবে গিয়েছিল । তা জানা সত্ত্বেও মূল রাস্তা ছেড়ে সেই ছোট্ট সেতুর পথ বেছে নেন চঞ্চল বিশ্বাস । জানা গিয়েছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত সিভিক পুলিশ থেকে শুরু করে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রত্যেকেই মানা করেছিলেন চঞ্চলকে গাড়ি নিয়ে জলভর্তি সেতুর দিকে এগোতে । কিন্তু তিনি কথা শোনেননি । সেতুর খানিকটা ভিতরে যেতেই জলের স্রোতে কার্যত নিয়ন্ত্রণ হারায় চঞ্চল বিশ্বাসের গাড়ি । এরপর পিছন থেকে বাসিন্দারা চিৎকার করতে থাকেন । তাঁকে বারবার গেট খুলে আসার জন্য চিৎকার করতে থাকেন সবাই ৷ কিন্তু জলের চাপে সেটুকুও করতে পারেনি চঞ্চল । গাড়ি-সহ তিনি তলিয়ে যায় নুনিয়া নদীর জলে ।

ঘটনার খবর পেয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার পুলিশ থেকে শুরু করে বিপর্যয় মোকাবিলার কর্মীরা উদ্ধার কাজে নামে । কিন্তু তারাও ব্যর্থ হয় । রাতে নামানো হয় এনডিআরএফ । শনিবার সকালে ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা দূরে শতাব্দী পার্কের কাছে সেই নুনিয়া নদীর জলেই গাড়ির ভিতর থেকে উদ্ধার হয় চঞ্চল বিশ্বাসের দেহ । ঘটনার খবর পেয়েই আসানসোল জেলা হাসপাতালে শয়ে শয়ে মানুষ উপস্থিত হন । কান্নায় ভেঙে পড়েন চঞ্চলের স্ত্রী ও পরিবারের অনান্যরা ।

Last Updated : Aug 3, 2024, 11:26 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.