ETV Bharat / state

উত্তরবঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে হন্যে প্রশাসন, মমতার দাবি শুধু বাড়িই ভেঙেছে 5 হাজার - North Bengal Storm

Mamata Banerjee: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টভাষায় বলেছেন, ত্রাণ নিয়ে কোনও বৈষম্য হোক তিনি তা চান না। প্রতিটি মানুষ যাতে এই বিপদের সময় সরকারের সাহায্য পায় তা নিশ্চিত করতে হবে ৷ এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী এদিন জানান, উত্তরবঙ্গে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনই নিশ্চিত করে বলা না-গেলেও, ঝড়ে তিন জেলার প্রায় 5 হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Mamata Banerjee
Mamata Banerjee
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 2, 2024, 5:26 PM IST

Updated : Apr 2, 2024, 5:42 PM IST

কলকাতা, 2 এপ্রিল: গত দু'দিন ধরে দফায় দফায় প্রশাসনিক স্তরের মিটিং করেছেন। কয়েক মিনিটের ভয়ানক ঝড়ে উত্তরবঙ্গের তিন জেলা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানের কাঁকসার এক বেসরকারি হোটেল থেকে দুর্গত মানুষদের কাছে যাতে ঠিকমতো সরকারি পরিষেবা পৌঁছয় তা নজরদারি করছেন তিনি। একইসঙ্গে দফায় দফায় প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে যাতে দুর্গত মানুষগুলোর এই বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানো যায় তার চেষ্টা করছেন ।

মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গে ঝড়ে তিন জেলার প্রায় 5 হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও এখনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রশাসনিক স্তরে এই ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপের চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানিয়েছেন, পাহাড়ে এবং সমতল মিলিয়ে 10 লক্ষ চা-বাগানে যে মানুষগুলো ছোট ছোট ফার্মিং করে তাদের চা-কেনা মালিকদের বলে বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই মুহূর্তে নির্বাচনী আচরণবিধির লাগু রয়েছে তাই এদের জন্য কোনও ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।

তবে নির্বাচন মিটলে এই বিষয়টি তিনি দেখে নেবেন বলে জানিয়েছেন। মলয় ঘটককে বলা হয়েছে, উত্তরবঙ্গে এসে বৈঠক করার জন্য। এছাড়াও বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করা যায় কি না তাও দেখা হবে ৷ এদিন উত্তরবঙ্গের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পর্যালোচনা করতে সময় লাগবে। তবে এখনও পর্যন্ত পাঁচ হাজার বাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকটি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু বাড়িতে আংশিক ক্ষতি হয়েছে।"

তাঁর আরও সংযোজন, "গত দু'দিন উত্তরবঙ্গে বসে আমি এই কাজটিই করেছি। কী করতে হবে তা প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা হয়েছে।" এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, "ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনার বিষয়টি এখন এই কারণেই বলা সম্ভব নয় কারণ তাতে বৈষম্যের সুযোগ থাকতে পারে। আমি চাই না কেউ সরকারি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হন। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ত্রাণ বিলি শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে যে ডিজাস্টার কিট দেওয়া হচ্ছে তাতে থালা,বাসন, হাঁড়ি কড়াই-সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র রয়েছে। গোটা বিষয়টি জেলাশাসক দেখছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব দুষ্মন্ত নারিওয়াল উত্তরবঙ্গে উপস্থিত রয়েছেন। তিনিও বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন।"

আরও পড়ুন:

  1. 'রিস্ক' নিয়ে কপ্টারে আলিপুরদুয়ার, প্রশাসনকে দুর্গতদের পাশে থাকার নির্দেশ মমতার
  2. ঝড়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি নিয়ে উদ্বিগ্ন শাহ, ফোন মমতাকে
  3. মৃত 4, আহত শতাধিক; রাতেই ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকায় মমতা

কলকাতা, 2 এপ্রিল: গত দু'দিন ধরে দফায় দফায় প্রশাসনিক স্তরের মিটিং করেছেন। কয়েক মিনিটের ভয়ানক ঝড়ে উত্তরবঙ্গের তিন জেলা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ি প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এই অবস্থায় উত্তরবঙ্গে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানের কাঁকসার এক বেসরকারি হোটেল থেকে দুর্গত মানুষদের কাছে যাতে ঠিকমতো সরকারি পরিষেবা পৌঁছয় তা নজরদারি করছেন তিনি। একইসঙ্গে দফায় দফায় প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করে যাতে দুর্গত মানুষগুলোর এই বিপদের সময় পাশে দাঁড়ানো যায় তার চেষ্টা করছেন ।

মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, উত্তরবঙ্গে ঝড়ে তিন জেলার প্রায় 5 হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও এখনই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ স্পষ্টভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে প্রশাসনিক স্তরে এই ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপের চেষ্টা চলছে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও জানিয়েছেন, পাহাড়ে এবং সমতল মিলিয়ে 10 লক্ষ চা-বাগানে যে মানুষগুলো ছোট ছোট ফার্মিং করে তাদের চা-কেনা মালিকদের বলে বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই মুহূর্তে নির্বাচনী আচরণবিধির লাগু রয়েছে তাই এদের জন্য কোনও ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না।

তবে নির্বাচন মিটলে এই বিষয়টি তিনি দেখে নেবেন বলে জানিয়েছেন। মলয় ঘটককে বলা হয়েছে, উত্তরবঙ্গে এসে বৈঠক করার জন্য। এছাড়াও বিকল্প কোনও ব্যবস্থা করা যায় কি না তাও দেখা হবে ৷ এদিন উত্তরবঙ্গের ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ পর্যালোচনা করতে সময় লাগবে। তবে এখনও পর্যন্ত পাঁচ হাজার বাড়ি নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এই সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। কয়েকটি বাড়ি পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিছু বাড়িতে আংশিক ক্ষতি হয়েছে।"

তাঁর আরও সংযোজন, "গত দু'দিন উত্তরবঙ্গে বসে আমি এই কাজটিই করেছি। কী করতে হবে তা প্রশাসনিক স্তরে আলোচনা হয়েছে।" এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, "ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনার বিষয়টি এখন এই কারণেই বলা সম্ভব নয় কারণ তাতে বৈষম্যের সুযোগ থাকতে পারে। আমি চাই না কেউ সরকারি সহযোগিতা থেকে বঞ্চিত হন। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ত্রাণ বিলি শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্য প্রশাসনের তরফ থেকে যে ডিজাস্টার কিট দেওয়া হচ্ছে তাতে থালা,বাসন, হাঁড়ি কড়াই-সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র রয়েছে। গোটা বিষয়টি জেলাশাসক দেখছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব দুষ্মন্ত নারিওয়াল উত্তরবঙ্গে উপস্থিত রয়েছেন। তিনিও বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন।"

আরও পড়ুন:

  1. 'রিস্ক' নিয়ে কপ্টারে আলিপুরদুয়ার, প্রশাসনকে দুর্গতদের পাশে থাকার নির্দেশ মমতার
  2. ঝড়ে বিধ্বস্ত জলপাইগুড়ি নিয়ে উদ্বিগ্ন শাহ, ফোন মমতাকে
  3. মৃত 4, আহত শতাধিক; রাতেই ঝড়ে বিধ্বস্ত এলাকায় মমতা
Last Updated : Apr 2, 2024, 5:42 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.