ETV Bharat / state

'আদালতকে বোঝাতে হবে', আইনমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ মমতার - Mamata aims to convince court

Mamata aims to convince court: বেআইনি দখলদারদের সরকারি জমি থেকে উচ্ছেদ করতে গেলেই বারবার তারা আদালতে চলে যায় এবং স্থগিতাদেশ নিয়ে আসে ৷ এই সমস্যাটি আদালতকে বোঝাতে হবে ৷ বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । এ ব্যাপারে আইনমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলতে বলেছেন মমতা ৷

ETV BHARAT
আইনমন্ত্রীকে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলার নির্দেশ মমতার (ফাইল চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 27, 2024, 5:53 PM IST

কলকাতা, 27 জুন: গত কয়েকদিন ধরেই সরকারি জমি দখল নিয়ে সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বারবার তাঁর মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে সরকারি জমি দখল হয়ে যাওয়ার কথা । বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে হকারদের নিয়ে বৈঠকেও আরও একবার এই বিষয়টি উঠল মুখ্যমন্ত্রীর কথায় । তবে এ ক্ষেত্রে আদালতের সমর্থন নিয়েই তিনি এগোতে চান বলে জানালেন ৷ আর এ নিয়ে আলোচনার জন্য আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

  • এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সরকারি জমি দখল করে বাড়ি করা হচ্ছে ৷ যখনই সরকার পদক্ষেপ করতে যাচ্ছে, তখনই তারা আদালতে চলে যাচ্ছে আর একটা স্থগিতাদেশ নিয়ে চলে আসছে । এতে সরকারের পুরো প্ল্যানটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । আদালতকে গোটা বিষয়টা বোঝাতে হবে । আমরা এটা আদালতকে বোঝাতে ব্যর্থ । মলয় ঘটককে বলব, প্রয়োজন হলে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে একটা বৈঠক করতে হবে ।"

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আদালতের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি কমিটির পরামর্শ দিয়েছেন । যেই কমিটিতে আইনমন্ত্রী ছাড়াও থাকবেন বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি । একইসঙ্গে, এই কাজের ক্ষেত্রে রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টিতে এগোতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী । এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন যে, সংঘাত নয় জীবন বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ করতে হচ্ছে তাঁর সরকারকে, এটাই বোঝাতে হবে আদালতকে ।

মমতার কথায়, "এমন অনেক বাড়ি আছে যেগুলি অনেক পুরনো বাড়ি । যে কোনও সময় সেগুলো ভেঙে পড়ে মৃত্যু হতে পারে । অনেক মার্কেট আছে যেগুলি দেখলে আমার ভয় লাগে । অনেকে বাজার করতে গিয়ে মারা যাবে, আমি বলে দিলাম । ইমিডিয়েট যদি সংস্কার না-হয় । প্রয়োজনে আদালতকেও বোঝাতে হবে, মানুষের জীবনের থেকে তো বড় কিছু হতে পারে না ।"

ETV BHARAT
নবান্ন সভাঘরে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী (নিজস্ব চিত্র)

এখানেই শেষ নয় ৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কথায় আদালত নিয়ে মৃদু সমালোচনাও শোনা যায় । একুশে জুলাই তৃণমূল সভা করে বলে, সেখানে অন্য রাজনৈতিক দলকেও সভা করার সুযোগ করে দিয়েছিল আদালত । সেটা নিয়েই মমতা বলেন, "ধর্মতলা ব্লক করা যাবে না । আমরা একটাই অনুষ্ঠান বছরে করি, সেটা হল একুশে জুলাই । যেহেতু সেখানে অনেকগুলি মানুষের রক্ত পড়ে আছে । আদালত তো আমাদের জন্য আবার সিপিএম, বিজেপিকেও সেখানে সভা করার অনুমতি দিয়েছে । আদালত তো বলবে, ওখানে 13টি ছেলের খুন হয়েছিল বলে ওখানে অনুষ্ঠানটি করা হয় । খাদ্য আন্দোলনের স্পটে প্রত্যেক বছর বামেরা অনুষ্ঠান করে । আমি তো বাধা দিই না । অন্য কেউ সেখানে সভা করার অনুমতি পায় না । "

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "সবাইকে অ্যালাও করলে রাস্তাটা চলবে কী করে ! হাইকোর্টের সামনে যদি হকার বসে যায় তাহলে কি হাইকোর্টের লোকেরা যাতায়াত করতে পারবে ! এখন তো দেখছি নবান্নের ভেতরেও ঢুকে মিটিং করার পারমিশন হয়ে যাচ্ছে ! এটা রাজনীতির বিষয় নয়, এখানে অনেক সেনসিভিটির বিষয় রয়েছে ।"

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজভবনের ধরনা নিয়ে যে রাজনৈতিক চাপানউতোর দেখা গিয়েছিল, তা নিয়েও এদিন বলতে শোনা যায় মমতাকে । মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "অভিষেকরা একবার রাজভবনের সামনে ধরনা দিয়েছিল, তখন সেখানে 144 ধারা ছিল না । যারা আজকে ইস্যুটাকে তুলে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে, যা আমরা করব তা সবই তাদের করতে হবে। দিল্লিতে ওরা কারওকে বসতে দেয় না । এমনকি পার্লামেন্টে ভোট চাইলেও ওরা ভোট দিতে দেয় না ।"

কলকাতা, 27 জুন: গত কয়েকদিন ধরেই সরকারি জমি দখল নিয়ে সরব বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । বারবার তাঁর মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে সরকারি জমি দখল হয়ে যাওয়ার কথা । বৃহস্পতিবার নবান্ন সভাঘরে হকারদের নিয়ে বৈঠকেও আরও একবার এই বিষয়টি উঠল মুখ্যমন্ত্রীর কথায় । তবে এ ক্ষেত্রে আদালতের সমর্থন নিয়েই তিনি এগোতে চান বলে জানালেন ৷ আর এ নিয়ে আলোচনার জন্য আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠক করতে বললেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

  • এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "সরকারি জমি দখল করে বাড়ি করা হচ্ছে ৷ যখনই সরকার পদক্ষেপ করতে যাচ্ছে, তখনই তারা আদালতে চলে যাচ্ছে আর একটা স্থগিতাদেশ নিয়ে চলে আসছে । এতে সরকারের পুরো প্ল্যানটাই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে । আদালতকে গোটা বিষয়টা বোঝাতে হবে । আমরা এটা আদালতকে বোঝাতে ব্যর্থ । মলয় ঘটককে বলব, প্রয়োজন হলে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে একটা বৈঠক করতে হবে ।"

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন আদালতের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি কমিটির পরামর্শ দিয়েছেন । যেই কমিটিতে আইনমন্ত্রী ছাড়াও থাকবেন বার কাউন্সিল ও বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি । একইসঙ্গে, এই কাজের ক্ষেত্রে রাজ্যের তিন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে বিষয়টিতে এগোতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী । এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করেছেন যে, সংঘাত নয় জীবন বাঁচাতেই এই পদক্ষেপ করতে হচ্ছে তাঁর সরকারকে, এটাই বোঝাতে হবে আদালতকে ।

মমতার কথায়, "এমন অনেক বাড়ি আছে যেগুলি অনেক পুরনো বাড়ি । যে কোনও সময় সেগুলো ভেঙে পড়ে মৃত্যু হতে পারে । অনেক মার্কেট আছে যেগুলি দেখলে আমার ভয় লাগে । অনেকে বাজার করতে গিয়ে মারা যাবে, আমি বলে দিলাম । ইমিডিয়েট যদি সংস্কার না-হয় । প্রয়োজনে আদালতকেও বোঝাতে হবে, মানুষের জীবনের থেকে তো বড় কিছু হতে পারে না ।"

ETV BHARAT
নবান্ন সভাঘরে বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী (নিজস্ব চিত্র)

এখানেই শেষ নয় ৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রীর কথায় আদালত নিয়ে মৃদু সমালোচনাও শোনা যায় । একুশে জুলাই তৃণমূল সভা করে বলে, সেখানে অন্য রাজনৈতিক দলকেও সভা করার সুযোগ করে দিয়েছিল আদালত । সেটা নিয়েই মমতা বলেন, "ধর্মতলা ব্লক করা যাবে না । আমরা একটাই অনুষ্ঠান বছরে করি, সেটা হল একুশে জুলাই । যেহেতু সেখানে অনেকগুলি মানুষের রক্ত পড়ে আছে । আদালত তো আমাদের জন্য আবার সিপিএম, বিজেপিকেও সেখানে সভা করার অনুমতি দিয়েছে । আদালত তো বলবে, ওখানে 13টি ছেলের খুন হয়েছিল বলে ওখানে অনুষ্ঠানটি করা হয় । খাদ্য আন্দোলনের স্পটে প্রত্যেক বছর বামেরা অনুষ্ঠান করে । আমি তো বাধা দিই না । অন্য কেউ সেখানে সভা করার অনুমতি পায় না । "

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, "সবাইকে অ্যালাও করলে রাস্তাটা চলবে কী করে ! হাইকোর্টের সামনে যদি হকার বসে যায় তাহলে কি হাইকোর্টের লোকেরা যাতায়াত করতে পারবে ! এখন তো দেখছি নবান্নের ভেতরেও ঢুকে মিটিং করার পারমিশন হয়ে যাচ্ছে ! এটা রাজনীতির বিষয় নয়, এখানে অনেক সেনসিভিটির বিষয় রয়েছে ।"

এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজভবনের ধরনা নিয়ে যে রাজনৈতিক চাপানউতোর দেখা গিয়েছিল, তা নিয়েও এদিন বলতে শোনা যায় মমতাকে । মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "অভিষেকরা একবার রাজভবনের সামনে ধরনা দিয়েছিল, তখন সেখানে 144 ধারা ছিল না । যারা আজকে ইস্যুটাকে তুলে রাজনীতি করার চেষ্টা করছে, যা আমরা করব তা সবই তাদের করতে হবে। দিল্লিতে ওরা কারওকে বসতে দেয় না । এমনকি পার্লামেন্টে ভোট চাইলেও ওরা ভোট দিতে দেয় না ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.