মালদা, 1 অগস্ট: জেলাজুড়ে বাড়ছে মাদকের ব্যবসা ৷ কালিয়াচক থেকে গাজোল, হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে বামনগোলা পর্যন্ত ছড়িয়ে গিয়েছে এই ব্যবসার শিকড় ৷ বুধবার সন্ধ্যা নাগাদ মাদক-সহ তিন কারবারিকে আটক করে পুলিশ ৷ তাদের হেফাজত থেকে প্রায় 6 লক্ষ টাকার মাদক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ এনডিপিএস অ্যাক্টের নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করে ধৃতদের বৃহস্পতিবার জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে ৷
ধৃত তিন পাচারকারী হল 23 বছরের রাহুল শেখ, 26 বছর বয়সি উজির মিঞা এবং 35 বছর বয়সি আব্বাস শেখ ৷ তিনজনেরই বাড়ি কালিয়াচক থানা এলাকায় ৷ বুধবার সন্ধ্যায় তারা বাইকের সিটের নীচে লুকিয়ে ব্রাউন সুগার পাচারের ছক কষে ৷ কিন্তু সূত্র মারফত খবর পেয়ে 12 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রাঙাভিটা এলাকায় জাল পাতে গাজোল থানার পুলিশ ৷ শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যার পর নির্দিষ্ট নম্বরের বাইকটি সেখানে পৌঁছলে বাইকে থাকা তিন আরোহীকে আটকান পুলিশকর্মীরা ৷ বাইকের সিটের নীচে একটি প্লাস্টিকে মোড়ানো অবস্থায় 400 গ্রাম ব্রাউন সুগার বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় 6 লক্ষ টাকা ৷ পরে রাহুল, উজির ও আব্বাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ ৷
এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব জানান, মাদকের বিরুদ্ধে জেলাজুড়ে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ৷ বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার হচ্ছে নেশার সামগ্রী ৷ কারবারিরাও ধরা পড়ছে ৷ বুধবার গাজোলের রাঙাভিটা এলাকা থেকে 400 গ্রাম ব্রাউন সুগার উদ্ধারের পাশাপাশি তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ ধৃতদের বিরুদ্ধে এনডিপিএস অ্যাক্টে মামলা রুজু করে এদিন মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে ৷ তারা কোথায় থেকে মাদক সংগ্রহ করেছিল, কোথায় বিক্রি করত, সেসব জানতে ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, দু'দিন আগে মাদকের নেশায় আচ্ছন্ন হয়ে মৃত্যু হয় চাঁচলের বছর ছাব্বিশের এক তরুণের ৷ তাঁর মৃতদেহ রাস্তায় রেখে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন পরিবারের লোকজনের সঙ্গে স্থানীয়রাও ৷ সবার বক্তব্য ছিল, যুবসমাজ শেষের দিকে এগিয়ে চলেছে ৷ দ্রুত মাদক ব্যবসার রাশ না টানা হলে সমাজ নষ্ট হয়ে যাবে ৷ এই কারবারের সঙ্গে পুলিশের একাংশের জড়িত থাকার অভিযোগও তুলেছিলেন বেশ কিছু মানুষ ৷