ETV Bharat / state

ওড়িশায় 'বাংলাদেশি' তকমা! ঘরে ফিরলেন নির্যাতনের শিকার মালদার পরিযায়ীরা - Malda Migrant Labourers

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 2, 2024, 6:49 PM IST

Migrant Worker of Malda: পেটের ভাত জোগাড় করাই তাঁদের কাছে এখন সংকটের বিষয় ৷ প্রতিবেশী রাজ্য থেকে কাজ হারিয়ে ফিরে কী করবেন ওঁরা ৷ শুধুমাত্র বাংলা বলার কারণে সেই রাজ্যে তাঁদের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে, বলে অভিযোগ করছেন তাঁরা ৷

Migrant Worker of Malda
মালদার পরিযায়ী শ্রমিকরা (ইটিভি ভারত)

মালদা, 31 অগস্ট: ওঁদের কেউ 15 বছর, কেউ বা 25 বছর ধরে একই কাজ করে যাচ্ছিলেন ৷ কাজ বলতে ভিনরাজ্যে হকারি ৷ প্রতিবেশী ওড়িশাতেই যান তাঁরা ৷ কেউ কটক, কেউ ভুবনেশ্বর, কেউ বা অন্য কোনও বড় শহরে থেকে গ্রামে গ্রামে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র হকারি করেন ৷ তাঁরা মূলত কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের বাসিন্দা ৷ অন্য ব্লকেরও কয়েকজন আছেন ৷ এতদিন কোনও সমস্যা হয়নি ৷ কিন্তু নবীন পট্টনায়েক সরকারের পতনের পরই মালদার এই পরিযায়ী শ্রমিকরা ওড়িশায় প্রবল সমস্যায় পড়েছেন ৷

ঘরে ফিরলেন নির্যাতনের শিকার মালদার পরিযায়ীরা (ইটিভি ভারত)

শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলেন বলে সেই রাজ্যে তাঁদের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে । এমনটাই অভিযোগ ৷ ভয়ে তাঁরা সেখান থেকে কাজকর্ম গুটিয়ে ঘরে ফিরে এসেছেন ৷ কিন্তু তাঁরা এই রাজ্যে নয়, ফের ওড়িশাতেই কাজে ফিরতে চান ৷ কারণ, এতদিন এক কাজে থাকার পর পেশা বদল করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় ৷ কবে তাঁরা ফের নিজেদের কাজ শুরু করতে পারবেন, তা জানা নেই ৷ তাই তাঁরা দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন ৷ এই শ্রমিকরা জানান, বেশিদিন ঘরে বসে কাটালে তাঁদের চলবে না। পেটের ভাত জোগাড় করতে তাঁদের ওড়িশাতে ফেরত যেতে হবে ৷

পরিযায়ীদের সমস্যা-

  • এমন সমস্যায় পড়া শ্রমিকদের অনেকেরই বাড়ি কাশিমনগর গ্রামে ৷ তাঁদের একজন সায়েদ আখতার ৷ তিনি বলেন, "10 বছর ধরে ওখানে কাজ করি । এখন জিনিস বিক্রির করার সময় আমাদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে ৷ দেখা হচ্ছে আধার কার্ড পরীক্ষা করে ৷ আধার কার্ড দেখালেও ওঁরা বলছেন, এটা নাকি জাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বানিয়ে দিচ্ছেন ৷ প্যান কার্ড দেখালেও মানছেন না ৷ আমাদের বাংলাদেশি বলে অত্যাচার করা হচ্ছে ৷ ভয়ে কাজ ছেড়ে পালিয়ে এসেছি ৷ আমরা চাই, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক ৷"
  • একই বক্তব্য ঘরে ফিরে আসা আরেক শ্রমিক সিরাজ শেখের। তাঁর কথায়, "ওখানে আমাদের উপর খুব অত্যাচার হচ্ছে ৷ আমাদের বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে কারণ আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি ৷ 15-16 ধরে ওখানে কাজ করছি ৷ এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি ৷ কেন ওঁরা এমন করছেন তা বুঝতে পারছি না ৷ এখন আমাদের পেট কীভাবে চলবে জানি না ৷ আমরা শান্তি চাই ৷ সুস্থভাবে ব্যবসা করতে চাই ৷ কাদের উস্কানিতে সেখানকার লোকজন এসব করছেন সেটা জানতে পারিনি ৷"
  • মহাজন মহিদুর রহমান বলেন, "দীর্ঘ 17 বছর ধরে প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসপত্রের মহাজনি কারবার করছি ৷ আমার অধীনে 10-12 জন হকার আছেন ৷ তাঁরা সবাই ওড়িশার কটককে কেন্দ্র করে ব্যবসা করেন ৷ তাঁরা সবাই সমস্যায় পড়েছেন ৷ বাংলাদেশি তকমা দিয়ে মারধর করছে আমাদের ৷ ভয়ে হকাররা ঘরে ফিরে এসেছেন ৷ বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি ৷ আমরা শান্তিতে ব্যবসা করতে চাই ৷"
  • ছেলেরা ঘরে ফিরে এসেছে ৷ কবে ফের কাজে যেতে পারবে জানা নেই ৷ কিন্তু বেশিদিন দেরি হলে ঘরে ভাত যে বাড়ন্ত হয়ে যাবে তা বিলক্ষণ জানেন বেগম বিবি ৷ তিনি বলেন, "ওঁরা তো সবাই ভারতেরই বাসিন্দা ৷ ওঁদের হকারির উপর আমাদের সংসার চলে ৷ সবাই ঘরে ফিরে এসেছেন ৷ এখন পেট চলবে কীভাবে? সরকারের কাছে আমাদের আর্জি, এনিয়ে দ্রুত কোনও ব্যবস্থা করা হোক ৷ নইলে ক'দিন পরেই পেটে টান পড়বে ৷"

প্রশাসন কী বলছে-

  • এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজি হননি ৷ তবে তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি খোদ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান দেখছেন ৷ যে শ্রমিকরা ঘরে ফিরে এসেছেন, তাঁদের নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই বৈঠক করা হবে ৷ তাঁদের কোনওভাবে কাজ দেওয়া যায় কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে ৷

রাজনৈতিক মতামত-

  • এনিয়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র মালদা জেলা সভাপতি শুভদীপ সান্যাল বলছেন, "ওড়িশায় নবীন পট্টনায়েকের সরকার থাকাকালীন এই শ্রমিকদের কোনও সমস্যা হয়নি ৷ বিজেপি সরকার আসার পরই এমন অবস্থা ৷ বিজেপি বাংলাকে পেটে-ভাতে মারার চেষ্টা করছে ৷ মালদা ও মুর্শিদাবাদের দক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা দেশজুড়ে ৷ ইংরেজ আমল থেকেই এই দুই জেলার শ্রমিকরা দেশে-বিদেশে কাজ করছেন ৷"
  • সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিআইটিইউ-র জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহার বক্তব্য, "যখন পরিযায়ী শ্রমিকরা ফোন করে আমাদের এই ঘটনা জানান, তারপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, প্রায় 100 জনের উপর অত্যাচার হয়েছে ৷ ওখানকার লোকজন শ্রমিকদের উৎখাত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ৷ ওখানে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরই এই ঝামেলা শুরু হয়েছে ৷ এখানে কিছুই নেই ৷ ছাত্র-যুবরা পড়াশোনা ছেড়ে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে যাচ্ছেন ৷ তাই আগে এ'রাজ্যে কাজের ব্যবস্থা করতে হবে ৷"
  • আরএসএসের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের জেলা সভাপতি পাঁচুগোপাল হালদার বলছেন, “রাজ্যে কাজ নেই বলে শ্রমিকরা ভিনরাজ্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন ৷ সারাবছর উপার্জন করছেন ৷ এতে ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের সঙ্গে তাঁদের একটা সমস্যা হচ্ছে ৷ রাজ্যে কাজ পেলে তাঁরা এই সমস্যার মুখে পড়তেন না ৷ আমরা চাই, পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যেই কাজের ব্যবস্থা করা হোক ৷ যাই হোক, আমরা আমাদের ওডিশার সংগঠনের সঙ্গে কথা বলছি ৷ এই শ্রমিকদের যাতে আবারও সমস্যার মুখে না পড়তে হয় তা দেখা হবে ৷ এই শ্রমিকদের উপর যারা অত্যাচার করছে, তারা কোনও রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় রয়েছে কিনা জানা নেই ৷

মালদা, 31 অগস্ট: ওঁদের কেউ 15 বছর, কেউ বা 25 বছর ধরে একই কাজ করে যাচ্ছিলেন ৷ কাজ বলতে ভিনরাজ্যে হকারি ৷ প্রতিবেশী ওড়িশাতেই যান তাঁরা ৷ কেউ কটক, কেউ ভুবনেশ্বর, কেউ বা অন্য কোনও বড় শহরে থেকে গ্রামে গ্রামে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র হকারি করেন ৷ তাঁরা মূলত কালিয়াচক 1 নম্বর ব্লকের বাসিন্দা ৷ অন্য ব্লকেরও কয়েকজন আছেন ৷ এতদিন কোনও সমস্যা হয়নি ৷ কিন্তু নবীন পট্টনায়েক সরকারের পতনের পরই মালদার এই পরিযায়ী শ্রমিকরা ওড়িশায় প্রবল সমস্যায় পড়েছেন ৷

ঘরে ফিরলেন নির্যাতনের শিকার মালদার পরিযায়ীরা (ইটিভি ভারত)

শুধুমাত্র বাংলায় কথা বলেন বলে সেই রাজ্যে তাঁদের নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে । এমনটাই অভিযোগ ৷ ভয়ে তাঁরা সেখান থেকে কাজকর্ম গুটিয়ে ঘরে ফিরে এসেছেন ৷ কিন্তু তাঁরা এই রাজ্যে নয়, ফের ওড়িশাতেই কাজে ফিরতে চান ৷ কারণ, এতদিন এক কাজে থাকার পর পেশা বদল করা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয় ৷ কবে তাঁরা ফের নিজেদের কাজ শুরু করতে পারবেন, তা জানা নেই ৷ তাই তাঁরা দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন ৷ এই শ্রমিকরা জানান, বেশিদিন ঘরে বসে কাটালে তাঁদের চলবে না। পেটের ভাত জোগাড় করতে তাঁদের ওড়িশাতে ফেরত যেতে হবে ৷

পরিযায়ীদের সমস্যা-

  • এমন সমস্যায় পড়া শ্রমিকদের অনেকেরই বাড়ি কাশিমনগর গ্রামে ৷ তাঁদের একজন সায়েদ আখতার ৷ তিনি বলেন, "10 বছর ধরে ওখানে কাজ করি । এখন জিনিস বিক্রির করার সময় আমাদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে ৷ দেখা হচ্ছে আধার কার্ড পরীক্ষা করে ৷ আধার কার্ড দেখালেও ওঁরা বলছেন, এটা নাকি জাল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বানিয়ে দিচ্ছেন ৷ প্যান কার্ড দেখালেও মানছেন না ৷ আমাদের বাংলাদেশি বলে অত্যাচার করা হচ্ছে ৷ ভয়ে কাজ ছেড়ে পালিয়ে এসেছি ৷ আমরা চাই, দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হোক ৷"
  • একই বক্তব্য ঘরে ফিরে আসা আরেক শ্রমিক সিরাজ শেখের। তাঁর কথায়, "ওখানে আমাদের উপর খুব অত্যাচার হচ্ছে ৷ আমাদের বাংলাদেশি তকমা লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে কারণ আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি ৷ 15-16 ধরে ওখানে কাজ করছি ৷ এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি ৷ কেন ওঁরা এমন করছেন তা বুঝতে পারছি না ৷ এখন আমাদের পেট কীভাবে চলবে জানি না ৷ আমরা শান্তি চাই ৷ সুস্থভাবে ব্যবসা করতে চাই ৷ কাদের উস্কানিতে সেখানকার লোকজন এসব করছেন সেটা জানতে পারিনি ৷"
  • মহাজন মহিদুর রহমান বলেন, "দীর্ঘ 17 বছর ধরে প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসপত্রের মহাজনি কারবার করছি ৷ আমার অধীনে 10-12 জন হকার আছেন ৷ তাঁরা সবাই ওড়িশার কটককে কেন্দ্র করে ব্যবসা করেন ৷ তাঁরা সবাই সমস্যায় পড়েছেন ৷ বাংলাদেশি তকমা দিয়ে মারধর করছে আমাদের ৷ ভয়ে হকাররা ঘরে ফিরে এসেছেন ৷ বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি ৷ আমরা শান্তিতে ব্যবসা করতে চাই ৷"
  • ছেলেরা ঘরে ফিরে এসেছে ৷ কবে ফের কাজে যেতে পারবে জানা নেই ৷ কিন্তু বেশিদিন দেরি হলে ঘরে ভাত যে বাড়ন্ত হয়ে যাবে তা বিলক্ষণ জানেন বেগম বিবি ৷ তিনি বলেন, "ওঁরা তো সবাই ভারতেরই বাসিন্দা ৷ ওঁদের হকারির উপর আমাদের সংসার চলে ৷ সবাই ঘরে ফিরে এসেছেন ৷ এখন পেট চলবে কীভাবে? সরকারের কাছে আমাদের আর্জি, এনিয়ে দ্রুত কোনও ব্যবস্থা করা হোক ৷ নইলে ক'দিন পরেই পেটে টান পড়বে ৷"

প্রশাসন কী বলছে-

  • এনিয়ে প্রশ্ন করা হলে জেলাশাসক নীতিন সিংহানিয়া ক্যামেরার সামনে কিছু বলতে রাজি হননি ৷ তবে তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি খোদ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান দেখছেন ৷ যে শ্রমিকরা ঘরে ফিরে এসেছেন, তাঁদের নিয়ে কয়েকদিনের মধ্যেই বৈঠক করা হবে ৷ তাঁদের কোনওভাবে কাজ দেওয়া যায় কি না, সেটাও দেখা হচ্ছে ৷

রাজনৈতিক মতামত-

  • এনিয়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসি-র মালদা জেলা সভাপতি শুভদীপ সান্যাল বলছেন, "ওড়িশায় নবীন পট্টনায়েকের সরকার থাকাকালীন এই শ্রমিকদের কোনও সমস্যা হয়নি ৷ বিজেপি সরকার আসার পরই এমন অবস্থা ৷ বিজেপি বাংলাকে পেটে-ভাতে মারার চেষ্টা করছে ৷ মালদা ও মুর্শিদাবাদের দক্ষ শ্রমিকদের চাহিদা দেশজুড়ে ৷ ইংরেজ আমল থেকেই এই দুই জেলার শ্রমিকরা দেশে-বিদেশে কাজ করছেন ৷"
  • সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন সিআইটিইউ-র জেলা সম্পাদক দেবজ্যোতি সিনহার বক্তব্য, "যখন পরিযায়ী শ্রমিকরা ফোন করে আমাদের এই ঘটনা জানান, তারপর খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, প্রায় 100 জনের উপর অত্যাচার হয়েছে ৷ ওখানকার লোকজন শ্রমিকদের উৎখাত করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ৷ ওখানে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পরই এই ঝামেলা শুরু হয়েছে ৷ এখানে কিছুই নেই ৷ ছাত্র-যুবরা পড়াশোনা ছেড়ে পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে যাচ্ছেন ৷ তাই আগে এ'রাজ্যে কাজের ব্যবস্থা করতে হবে ৷"
  • আরএসএসের শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের জেলা সভাপতি পাঁচুগোপাল হালদার বলছেন, “রাজ্যে কাজ নেই বলে শ্রমিকরা ভিনরাজ্যে যেতে বাধ্য হচ্ছেন ৷ সারাবছর উপার্জন করছেন ৷ এতে ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের সঙ্গে তাঁদের একটা সমস্যা হচ্ছে ৷ রাজ্যে কাজ পেলে তাঁরা এই সমস্যার মুখে পড়তেন না ৷ আমরা চাই, পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যেই কাজের ব্যবস্থা করা হোক ৷ যাই হোক, আমরা আমাদের ওডিশার সংগঠনের সঙ্গে কথা বলছি ৷ এই শ্রমিকদের যাতে আবারও সমস্যার মুখে না পড়তে হয় তা দেখা হবে ৷ এই শ্রমিকদের উপর যারা অত্যাচার করছে, তারা কোনও রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় রয়েছে কিনা জানা নেই ৷
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.