মালদা, 17 অগস্ট: আরজি করে চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত্যুর প্রতিবাদে একাধিক হাসপাতালে চলছে কর্মবিরতি ৷ তার মধ্যেই শনিবার অন্তঃসত্ত্বাকে ফেরানোর অভিযোগ উঠল মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে ৷ "মরে গেলেও হাসপাতালের দায়িত্ব নেই ৷ নিজেদের দায়িত্বে ভর্তি করলে করুন", এভাবেই ভয় দেখিয়ে গর্ভবতী মহিলাদের ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে ৷
এই পরিস্থিতিতে সামর্থ্য না-থাকলেও বাধ্য হয়েই বেসরকারি হাসপাতালে যেতে হচ্ছে গর্ভবতী মহিলাদের পরিবারগুলিকে । এদিকে এই সুযোগে রোগীদের বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার দালাল চক্রও মেডিক্যাল চত্বরে সক্রিয় হয়েছে বলেও অভিযোগ ৷
এদিন সকালে মালদা মেডিক্যালে গর্ভবতী বউমাকে ভর্তি করতে এসেছিলেন এক মহিলা । তাঁর অভিযোগ, "সকাল 11টা নাগাদ বউমাকে ডেলিভারির জন্য মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে এসেছি । ভর্তি নেয়নি ৷ ওরা বলছে, ওরা দায়িত্ব নেবে না। মরে গেলেও হাসপাতালের কোনও দায়িত্ব নেই। এমন কথা শোনার পর কীভাবে বউমাকে ভরতি করব ? আমরা গরিব মানুষ, সরকার যদি আমাদের না দেখে, যদি ভর্তি না নেয়, তবে বাধ্য হয়ে আমাদের নার্সিংহোমে যেতে হবে ৷"
একই অভিযোগ শোনা গিয়েছে মানিকচক থেকে আসা আরেক গর্ভবতী মহিলার শাশুড়ির গলাতেও । তিনি জানান, এদিন বউমাকে নিয়ে মালদা মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে এসেছিলেন । চেক আপ করার পর নার্স জানিয়েছেন ডাক্তারবাবু নেই ৷ তাই নর্মালে ডেলিভারি হবে না । যাঁরা আছেন, তাঁরা সিজার করতে পারবেন না। নিজের দায়িত্বে রোগীকে রাখতে হবে। ওনারা কোনও ঝুঁকি নেবেন না । এরপরই ওই রোগীকে নিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে যান রোগীর আত্মীয়রা ৷
ঘটনা প্রসঙ্গে, মালদা মেডিক্যালের সুপার প্রসেনজিৎ বর বলেন, "চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে আছেন। সারা রাজ্য জুড়ে চিকিৎসা পরিষেবায় সেই প্রভাব পড়েছে। হাউজ স্টাফ দিয়ে পরিষেবা চালানো হচ্ছে। তবে কোনও রোগীকে ফিরিয়ে দেওয়া কিংবা পরিষেবা না-পেয়ে ফিরে যাওয়ার লিখিত অভিযোগ আসেনি। সংবাদমাধ্যম থেকে বিষয়টি শুনতে পেলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা বলেছি। যদি কেউ দোষী থাকেন তবে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"