ETV Bharat / state

মুখ্যমন্ত্রীর পর্যালোচনা বৈঠকের আগে ডেঙ্গি নিয়ে আলোচনায় মালদা প্রশাসন - Dengue in Malda

Meeting on Dengue Situation in Malda: চিন্তা বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি নিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট ৷ এই আবহে নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে মালদায় পর্যালোচনা বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তার আগেই ডেঙ্গি নিয়ে আলোচনা শুরু করে দিল মালদা প্রশাসন ৷

Meeting about Dengue in Malda
ডেঙ্গু নিয়ে আলোচনায় মালদার প্রশাসন (প্রতীকী চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 10, 2024, 4:13 PM IST

মালদা, 10 জুন: মিটেছে লোকসভা নির্বাচন ৷ সরকারি কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মঙ্গলবার মালদায় পর্যালোচনা বৈঠক করবেন তিনি ৷ তার আগে সোমবার ডেঙ্গি নিয়ে আলোচনায় মালদা প্রশাসন ৷

উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও তার দেখা মেলেনি ৷ তবে প্রবল গরমে ছিটেফোঁটা বৃষ্টির মশাবাহিত রোগ বিশেষ করে ডেঙ্গির প্রকোপের জন্য আদর্শ ৷ গত কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গির প্রকোপে শহর কলকাতা ও তার আশপাশের শহরাঞ্চলগুলিকেও ভুগতে হয়েছে ভালোই ৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই বর্ষা প্রবেশের আগে রাজ্য প্রশাসনের কড়া নজর এই মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের দিকে ।

সম্প্রতি এই বিষয়ে নবান্নে স্বাস্থ্য দফতরের একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে । সেখানে দক্ষিণবঙ্গ নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে ৷ শুধু শহর কলকাতা নয় ডেঙ্গি আক্রান্ত জেলার তালিকায় প্রথম দশে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের 9টি জেলা । ফলে রাজ্য সরকারের জন্য তা যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । গত তিন মাস ধরে চলেছে ভোটের মরশুম। একাধিক বিষয়ের পাশাপাশি মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়েও পুরসভা, পঞ্চায়েতে গৃহীত পদক্ষেপগুলি নির্বাচনের কারণে অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে । যদিও রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত চেষ্টা করা হয়েছে ৷ স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডেঙ্গিতে রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে থাকা প্রথম 10টি জেলার মধ্যে 9টি জেলাই দক্ষিণবঙ্গের । তালিকায় রয়েছে কলকাতা, দুই 24 পরগনা, নদিয়া, হুগলি-সহ একাধিক জেলা ।

এই আবহে রাজ্যের সমস্ত প্রশাসনিক দফতরগুলি নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ৷ নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা ও অন্যান্য বিষয়গুলির পাশাপাশি তাঁর নজর থাকবে স্বাস্থ্যের উপরেও ৷ স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টের পর মশাবাহিত রোগ নিয়ে যে দ্রুত সতর্কতার প্রয়োজন, তা এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে । আর সেকারণে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলার আগে এই বিষয়ে সমস্ত তথ্য নিজেদের কাছে রাখতে চাইছে মালদা প্রশাসন ৷

স্বাস্থ্য দফতরের তরফে 1 জানুয়ারি থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে এই বছর বাংলায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন 1,066 জন। যদিও ডেঙ্গির কারণে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যুর ঘটনা পাওয়া যায়নি। তবে মশাবাহিত এই রোগের প্রভাব থাকা 16টি জেলার একটা পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ডেঙ্গি উপদ্রব সবচেয়ে বেশি এই মুহূর্তে রয়েছে মালদায়। এখনও পর্যন্ত সেখানে 143 জনের ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে । দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর 24 পরগনা । সেখানে এখনও পর্যন্ত 140 জনের ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে । আর তৃতীয়স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ । এই মুহূর্তে সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা 126 জন ।

অন্যান্য বছরে এই সময় সবচেয়ে বেশি কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পাওয়া যায় । কিন্তু এই বছর তাৎপর্যপূর্ণভাবে মালদায় মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি । রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সময় নষ্ট না-করে পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলির মাধ্যমে ডেঙ্গি সচেতনতার উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন । যদিও এই মুহূর্তে রাজ্যে ডেঙ্গি নিয়ে সেভাবে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ দেখছে না স্বাস্থ্য ভবন । তবে সময় থাকতে রাজ্যবাসীকে সচেতন করা হলে এই ঘাতক রোগের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব ৷

মালদা, 10 জুন: মিটেছে লোকসভা নির্বাচন ৷ সরকারি কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ মঙ্গলবার মালদায় পর্যালোচনা বৈঠক করবেন তিনি ৷ তার আগে সোমবার ডেঙ্গি নিয়ে আলোচনায় মালদা প্রশাসন ৷

উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি প্রবেশ করলেও দক্ষিণবঙ্গে এখনও তার দেখা মেলেনি ৷ তবে প্রবল গরমে ছিটেফোঁটা বৃষ্টির মশাবাহিত রোগ বিশেষ করে ডেঙ্গির প্রকোপের জন্য আদর্শ ৷ গত কয়েক বছর ধরে ডেঙ্গির প্রকোপে শহর কলকাতা ও তার আশপাশের শহরাঞ্চলগুলিকেও ভুগতে হয়েছে ভালোই ৷ তাই স্বাভাবিকভাবেই বর্ষা প্রবেশের আগে রাজ্য প্রশাসনের কড়া নজর এই মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের দিকে ।

সম্প্রতি এই বিষয়ে নবান্নে স্বাস্থ্য দফতরের একটি রিপোর্ট জমা পড়েছে । সেখানে দক্ষিণবঙ্গ নিয়ে রীতিমতো আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে ৷ শুধু শহর কলকাতা নয় ডেঙ্গি আক্রান্ত জেলার তালিকায় প্রথম দশে রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের 9টি জেলা । ফলে রাজ্য সরকারের জন্য তা যথেষ্ট চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে । গত তিন মাস ধরে চলেছে ভোটের মরশুম। একাধিক বিষয়ের পাশাপাশি মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণের বিষয়েও পুরসভা, পঞ্চায়েতে গৃহীত পদক্ষেপগুলি নির্বাচনের কারণে অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে । যদিও রাজ্য সরকারের তরফে সমস্ত চেষ্টা করা হয়েছে ৷ স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডেঙ্গিতে রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে থাকা প্রথম 10টি জেলার মধ্যে 9টি জেলাই দক্ষিণবঙ্গের । তালিকায় রয়েছে কলকাতা, দুই 24 পরগনা, নদিয়া, হুগলি-সহ একাধিক জেলা ।

এই আবহে রাজ্যের সমস্ত প্রশাসনিক দফতরগুলি নিয়ে মঙ্গলবার বৈঠকে বসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় ৷ নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে আইনশৃঙ্খলা ও অন্যান্য বিষয়গুলির পাশাপাশি তাঁর নজর থাকবে স্বাস্থ্যের উপরেও ৷ স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্টের পর মশাবাহিত রোগ নিয়ে যে দ্রুত সতর্কতার প্রয়োজন, তা এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে । আর সেকারণে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলার আগে এই বিষয়ে সমস্ত তথ্য নিজেদের কাছে রাখতে চাইছে মালদা প্রশাসন ৷

স্বাস্থ্য দফতরের তরফে 1 জানুয়ারি থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে এই বছর বাংলায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন 1,066 জন। যদিও ডেঙ্গির কারণে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যুর ঘটনা পাওয়া যায়নি। তবে মশাবাহিত এই রোগের প্রভাব থাকা 16টি জেলার একটা পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, ডেঙ্গি উপদ্রব সবচেয়ে বেশি এই মুহূর্তে রয়েছে মালদায়। এখনও পর্যন্ত সেখানে 143 জনের ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে । দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে উত্তর 24 পরগনা । সেখানে এখনও পর্যন্ত 140 জনের ডেঙ্গি আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলেছে । আর তৃতীয়স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ । এই মুহূর্তে সেখানে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা 126 জন ।

অন্যান্য বছরে এই সময় সবচেয়ে বেশি কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তের খবর পাওয়া যায় । কিন্তু এই বছর তাৎপর্যপূর্ণভাবে মালদায় মশাবাহিত এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি । রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের মতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সময় নষ্ট না-করে পৌরসভা এবং পঞ্চায়েতগুলির মাধ্যমে ডেঙ্গি সচেতনতার উপর জোর দেওয়া প্রয়োজন । যদিও এই মুহূর্তে রাজ্যে ডেঙ্গি নিয়ে সেভাবে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ দেখছে না স্বাস্থ্য ভবন । তবে সময় থাকতে রাজ্যবাসীকে সচেতন করা হলে এই ঘাতক রোগের সঙ্গে লড়াই করা সম্ভব ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.