জলপাইগুড়ি, 24 সেপ্টেম্বর: দল থেকে সাসপেন্ড করা হল মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহাকে ৷ তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ৷ জানা গিয়েছে, সেই কারণেই তাঁকে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ৷ স্বপন সাহা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছের লোক বলে রাজনৈতিক মহলে পরিচিত ৷ যদিও মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানের দাবি, দল থেকে সাসপেন্ড হওয়ার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না ।
স্বপন সাহা বলেন, "আমিও একথা অনেকের মুখে শুনছি ৷ কিন্তু আমাকে দল থেকে সাসপেন্ড করা বা চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, এমন কোনও চিঠি পাইনি ৷ অথবা টেলিফোনেও এই বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি । তবে আমাকে সাসপেন্ড করার চিঠি হাতে পেলে তারপর এই নিয়ে আমি কথা বলব ।"
তৃণমূল কংগ্রেসের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, "মালবাজার পুরসভায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান স্বপন সাহার বিরুদ্ধে । ইতিমধ্যেই দুর্নীতির অভিযোগের মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে । ঠিকাদারকে কাজ করিয়ে টাকা না-দেওয়ার অভিযোগে রুল জারিও করা হয়েছে স্বপন সাহার বিরুদ্ধে । দলের কাছে নানা অভিযোগ জমা পড়েছে ৷ সেই দিক থেকে দল হয়তো সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁকে সাসপেন্ড করার । স্বপন সাহার বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর বণ্টনকে কেন্দ্র করেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ।"
মুখ্যমন্ত্রীর অত্যন্ত পছন্দের নেতা হিসেবে পরিচিত মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান স্বপন সাহা । ডুয়ার্সে তিনি এলেই তাঁর সঙ্গে নানা পরামর্শ করতেও দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে । আইনজীবী সুমন শিকদার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে স্বপন সাহার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন । গত 10 সেপ্টেম্বর এই জনস্বার্থ মামলা করা হয় ৷
আইনজীবী সুমন শিকদার বলেন, "মালবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে ৷ তিনি-সহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে 9 অগস্ট আমি মুখ্যমন্ত্রী ও জেলাশাসক-সহ নানা জায়গায় চিঠি দিয়েছি ৷ সেখান থেকে কোনও সদুত্তর আসেনি ৷ এরপরে 10 সেপ্টেম্বর আমি কলকাতা হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে জনস্বার্থ মামলা করি ৷ 19 সেপ্টেম্বর তার শুনানি হয় ৷ তাঁদের বিরুদ্ধে রুলও জারি হয় ৷"