কুলটি, 6 ফেব্রুয়ারি: ফের পর্ষদের বজ্র আঁটুনির মাঝে ফসকা গেরো ৷ মাধ্যমিক পরীক্ষায় লুকিয়ে মোবাইল ফোন দেখে উত্তর লিখতে গিয়ে ধরা পড়ল এক ছাত্রী । ঘটনাস্থল পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি ৷
মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরু আগে থেকেই প্রশ্নফাঁস আটকাতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে পর্ষদ ৷ তা সত্ত্বেও প্রশ্নপত্র ফাঁস আটকানো সম্ভব হয়নি ৷ শুক্রবার মাধ্যমিক শুরুর পর থেকে মালদা-সহ একাধিক জেলা থেকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ এসেছে ৷ আর সবক'টি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়েছে স্মার্ট মোবাইল ফোন ৷ মেটাল ডিটেক্টর-সহ একাধিক পন্থা অবলম্বন করার পরও পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন পাওয়া যাচ্ছে ৷ তার আর একটি উদাহরণ কুলটির ঘটনা ৷
সোমবার কুলটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা চলছিল ৷ সেসময় এক ছাত্রী লুকিয়ে মোবাইল ফোন দেখে উত্তর লেখার চেষ্টা করছিল । কিন্তু শেষ রক্ষা হল না । পরীক্ষা হলের পরিদর্শকদের হাতে ধরা পড়ে গেল ছাত্রীটি । পর্ষদের নিয়ম ভাঙায় ওই ছাত্রীকে 'রিপোর্টেড এগেইনস্ট' বা আরএ করা হয়েছে । অর্থাৎ ওই ছাত্রী এই বছর আর কোনও পরীক্ষা দিতে পারবে না । তার সব পরীক্ষা বাতিল করা হল ৷ এই ঘটনার পর প্রশ্ন উঠছে পরীক্ষা কেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে ৷ কীভাবে ওই ছাত্রী মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকল সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে ।
পশ্চিম বর্ধমান জেলার মাধ্যমিক পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা আহ্বায়ক রাজীব মুখোপাধ্যায় বলেন, "কুলটির নিয়ামতপুর অঞ্চলের একটি স্কুলের সিট পড়েছে কুলটি গার্লস হাইস্কুলে । সেখানেই সোমবার পরীক্ষা চলাকালীন এক ছাত্রী মোবাইল ফোন-সহ হাতেনাতে ধরা পড়ে। তার খাতা কেড়ে নেওয়া হয় । পাশাপাশি তার পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে । মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়ম ভাঙায় ওই ছাত্রী আর চলতি বছরে কোনও পরীক্ষায় বসতে পারবে না ৷"
অন্যদিকে মঙ্গলবারও মাধ্যমিকের পরীক্ষা রয়েছে ৷ এ দিন কুলটি গার্লস হাইস্কুলে গিয়ে দেখা গেল, পুলিশ ভ্যান দাঁড়িয়ে রয়েছে । আরও কঠোরভাবে ছাত্রীদের পরীক্ষা করে কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হচ্ছে । রাজীব মুখোপাধ্যায় জানান, কী কারণে বা কার গাফিলতিতে এই ধরনের ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে আরও কঠোর নজরদারি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । কোনওভাবেই যেন কেউ মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢুকতে না-পারে সেদিকটা দেখা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: