ধূপগুড়ি, 18 মে: মন্দিরে হানা দিয়েছে দুষ্কৃতীরা ৷ এই অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়ায় ধূপগুড়িতে ৷ দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে শনিবার সকাল থেকে দফায় দফায় পথ অবরোধ, বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসী ৷ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী ৷ পরে অবরোধ কারীরা রেললাইনে বসে পড়ে। তার জেরে দিল্লীগ্রামী সম্পর্ক ক্রান্তি এক্সপ্রেস থেকে শুরু করে শিয়ালদা গামী তিস্তাতোর্ষা এক্সপ্রেস ও কয়েকটি মালগাড়ি খলাইগ্রাম ষ্টেশনে আটকে যায়।
পুলিশকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখাতে থাকে স্থানীয়রা ৷ ধুপগুড়ির ব্লকের বিভিন্ন এলাকায় পথ আটকে জ্বালানো হয়েছে টায়ার ৷ পুলিশ সুপারকেও ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷ জাতীয় সড়কে বিক্ষোভ চলায় উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে ৷ এই বিক্ষোভের নেপথ্যে কারা রয়েছে, তার খোঁজ করছে পুলিশ ৷
ধুপগুড়ি খলাই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা অলোক পাল জানান, এদিন সকালে একটি মন্দিরে ভাঙচুর চালিয়েছে দুষ্কৃতীরা ৷ তাদের গ্রেফতারির দাবিতে রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে ৷ এদিকে বিরাট বাহিনী নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত ধূপগুড়ি পৌঁছন ৷
তাঁকে ঘিরেও বিক্ষোভ চলে ৷ ধূপগুড়ি ট্রাফিক মোড়ে 31 নং জাতীয় সড়কের উপর বেশ কয়েকটি টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন অবরোধকারীরা ৷ পুলিশ সুপার অবরোধ তুলতে এলে জনতার সঙ্গে বচসা বাধে ৷
পুলিশ সুপার খান্ডবাহালে উমেশ গণপত অবরোধকারীদের কাছে এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন ৷ তিনি জানান, যা ঘটেছে তা ভালো হয়নি ৷ তাই তিনি নিজে ঘটনাস্থলে এসেছেন ৷ ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে ৷ তবে রাস্তা অবরোধ করে সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলে আন্দোলন ঠিক নয় ৷ কিন্তু আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলতে চায়নি । পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে যেতে চাইলেও তাঁর গাড়ি আটকে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ৷
আরও পড়ুন: