জয়পুর (বাঁকুড়া), 25 অক্টোবর: বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে হারের জন্য দলের কর্মীদের একাংশকে দায়ী করলেন তৃণমূলের জেলার নেতারা ৷ 2026 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দলের এই 'বেইমান'দের বহিষ্কারের দাবিও তুললেন তাঁরা ৷
সম্প্রতি জয়পুরে বিজয়া সম্মিলনীর আয়োজন করা হয় তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে ৷ জয়পুরের ভাস্করানন্দ মঞ্চে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ৷ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সুব্রত দত্ত, জয়পুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কৌশিক বটোব্যাল-সহ জেলা স্তরের শীর্ষ নেতৃত্ব ৷
অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে নির্বাচনী হারের জন্য দলেরই কর্মী-সমর্থকদের দায়ি করেন সুব্রত দত্ত ৷ তাঁর অভিযোগ, দলে থেকেই বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলেছেন একাধিক নেতা-কর্মী ৷ এবার এই সমস্ত 'গদ্দারদের' দল থেকে বহিষ্কারের কথা বলেন তিনি ৷ সুব্রত দত্ত বলেন, "বিভিন্ন সময়ে জেলা নেতৃত্বের গাড়ি করে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় বিভিন্ন নেতা-কর্মীদের ৷ কিন্তু নির্বাচনের সময়ে কাউকে ময়দানে দেখা যায় না ৷ আগামী নির্বাচনে জয়ের জন্য দলের অন্দরে ভরসা, আস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হবে ৷"
2021 সালের বিধানসভা নির্বাচন থেকে শুরু করে 2024 সালের লোকসভা নির্বাচন । একের পর এক নির্বাচনে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে ভরাডুবি হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের ৷ জেলায় দলের সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে বহুবার ৷ কিন্তু এই হারের কারণ সংগঠন নয় ৷ বরং গুটিকয়েক নেতা-কর্মীদের জন্য এই ফলাফল বলে দাবি জেলা নেতৃত্বের ৷
সুব্রত দত্তের মতো একই অভিযোগ করেন দলের আর এক শীর্ষ নেতা সোমনাথ মুখোপাধ্যায় ৷ তিনি বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের বেশকিছু নেতা-কর্মী রয়েছেন, যাঁরা সারা বছর নিজেদের দলের সদস্য বলে পরিচয় দেন ৷ কিন্তু নির্বাচনের সময় তাঁরা পাল্টে যান ৷ দলের সঙ্গে গদ্দারি করেন ৷ আবার নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর মন্ত্রীদের সঙ্গে ছবি তুলতে ব্যস্ত হয়ে যান ৷ নিজেদের দলের সদস্য প্রমাণ করার চেষ্টা শুরু করে দেন ৷" তিনি জানান, এই বিষয়ে দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে ৷ দল 'গদ্দারদের' চিহ্নিত করার কাজও শুরু হয়েছে ৷