ETV Bharat / state

সরকারি হাসপাতালগুলিতে সরাসরি লালবাজার থেকেই নজরদারির পরিকল্পনা পুলিশের - Kolkata Police - KOLKATA POLICE

Government Hospitals Security: আরজি করের ঘটনার পর সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছে কলকাতা পুলিশ ৷ তার জন্য নেওয়া হয়েছে একগুচ্ছ পরিকল্পনা ৷ হাসপাতালগুলিতে বসছে আরও সিসিটিভি ক্যামেরা ৷ সেই ফুটেজ সরাসরি পৌঁছে যাবে লালবাজারে ৷

Kolkata Police
সরকারি হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করছে লালবাজার (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 28, 2024, 6:26 PM IST

কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার জের ৷ অবশেষে এবার শহরের সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বন্দোবস্ত জোরদার করার জন্য তৎপর হল কলকাতা পুলিশ । সরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে এই নিয়ে কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মার একটি বৈঠক হয় । পাশাপাশি শনিবার কলকাতা পুলিশের ন’টি ডিভিশনের ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি ৷ ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও ।

জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে স্থির হয়েছে, শহরের যে বড় বড় হাসপাতালগুলিতে সকাল থেকে প্রচুর রোগীর চাপ থাকে, সেখানে নিরাপত্তা বন্দোবস্ত জোরদার করা হবে । কিন্তু কী থাকছে এই নতুন নিরাপত্তা বন্দোবস্ত? এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "শহরের এসএসকেএম, আরজি কর, এমআর বাঙ্গুর-সহ বড় বড় হাসপাতালগুলির ভিতরেই সংশ্লিষ্ট থানার আউটপোস্ট করা রয়েছে । এখানে একজন অফিসার ইনচার্জ পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক থাকেন । কিন্তু এবার থেকে নতুন নিয়ম অনুযায়ী এই সকল হাসপাতালের আনাচে-কানাচে নজর রাখার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে । চেষ্টা করা হচ্ছে সেই সকল সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ যেন সরাসরি পৌঁছে যায় লালবাজারে ।"

লালবাজার সূত্রে খবর, সিসিটিভি ক্যামেরা ছাড়াও প্রচুর কনস্টেবলও হাসপাতালের ভিতর রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে । হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডের গেটের বাইরে এবং ভিতরে থাকবেন কনস্টেবলরা । তাঁদের হাতে থাকবে ওয়াকিটকি । কোনও রকমের কোনও বেগতিক পরিস্থিতি হলে তাঁরা খবর পাঠিয়ে দেবে আউটপোস্ট এবং স্থানীয় থানায় । যদি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায় ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি, সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত পুলিশ লাগলে থানার বাইরে দাঁড় করানো থাকা কলকাতা পুলিশের এইচআরএফএস অর্থাৎ হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডকে হাসপাতালে পাঠানো হবে ৷ যেকোনও পরিস্থিতিতে জনতাকে ছত্রভঙ্গ ও উত্তেজনা সাময়িকভাবে প্রশমিত করার কাজেই সিদ্ধহস্ত কলকাতা পুলিশের এই বিশেষ বাহিনী ৷

সপ্তাহে সপ্তাহে হাসপাতালে এমএসভিপি কিংবা অধ্যক্ষর সঙ্গে মিটিং করতে হবে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এবং অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জদের । এছাড়াও সব থেকে বড় বিষয় হল, হাসপাতালে কোনও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ঢুকছে কিংবা বেরোচ্ছে এরকম অবাধ বিচারণ যাতে না হয়, তার জন্য বায়োমেট্রিকের ব্যবস্থা করা হতে পারে । যদিও এই সকল সিদ্ধান্তগুলি এখনও পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে নেওয়া হয়েছে ৷ তবে এইগুলি বাস্তবায়িত করার জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন বলে জানা গিয়েছে ।

কলকাতা, 28 সেপ্টেম্বর: আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার জের ৷ অবশেষে এবার শহরের সমস্ত সরকারি হাসপাতালগুলির অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বন্দোবস্ত জোরদার করার জন্য তৎপর হল কলকাতা পুলিশ । সরকারি হাসপাতালগুলির সঙ্গে এই নিয়ে কলকাতার নগরপাল মনোজ ভার্মার একটি বৈঠক হয় । পাশাপাশি শনিবার কলকাতা পুলিশের ন’টি ডিভিশনের ডিসিদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি ৷ ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা পুলিশের একাধিক উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও ।

জানা গিয়েছে, এ দিনের বৈঠকে স্থির হয়েছে, শহরের যে বড় বড় হাসপাতালগুলিতে সকাল থেকে প্রচুর রোগীর চাপ থাকে, সেখানে নিরাপত্তা বন্দোবস্ত জোরদার করা হবে । কিন্তু কী থাকছে এই নতুন নিরাপত্তা বন্দোবস্ত? এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "শহরের এসএসকেএম, আরজি কর, এমআর বাঙ্গুর-সহ বড় বড় হাসপাতালগুলির ভিতরেই সংশ্লিষ্ট থানার আউটপোস্ট করা রয়েছে । এখানে একজন অফিসার ইনচার্জ পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক থাকেন । কিন্তু এবার থেকে নতুন নিয়ম অনুযায়ী এই সকল হাসপাতালের আনাচে-কানাচে নজর রাখার জন্য সিসিটিভি ক্যামেরার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে । চেষ্টা করা হচ্ছে সেই সকল সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ যেন সরাসরি পৌঁছে যায় লালবাজারে ।"

লালবাজার সূত্রে খবর, সিসিটিভি ক্যামেরা ছাড়াও প্রচুর কনস্টেবলও হাসপাতালের ভিতর রাখার পরিকল্পনা করা হয়েছে । হাসপাতালের ইমার্জেন্সি ওয়ার্ডের গেটের বাইরে এবং ভিতরে থাকবেন কনস্টেবলরা । তাঁদের হাতে থাকবে ওয়াকিটকি । কোনও রকমের কোনও বেগতিক পরিস্থিতি হলে তাঁরা খবর পাঠিয়ে দেবে আউটপোস্ট এবং স্থানীয় থানায় । যদি হাতের বাইরে বেরিয়ে যায় ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি, সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত পুলিশ লাগলে থানার বাইরে দাঁড় করানো থাকা কলকাতা পুলিশের এইচআরএফএস অর্থাৎ হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডকে হাসপাতালে পাঠানো হবে ৷ যেকোনও পরিস্থিতিতে জনতাকে ছত্রভঙ্গ ও উত্তেজনা সাময়িকভাবে প্রশমিত করার কাজেই সিদ্ধহস্ত কলকাতা পুলিশের এই বিশেষ বাহিনী ৷

সপ্তাহে সপ্তাহে হাসপাতালে এমএসভিপি কিংবা অধ্যক্ষর সঙ্গে মিটিং করতে হবে সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ এবং অতিরিক্ত অফিসার ইনচার্জদের । এছাড়াও সব থেকে বড় বিষয় হল, হাসপাতালে কোনও অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ঢুকছে কিংবা বেরোচ্ছে এরকম অবাধ বিচারণ যাতে না হয়, তার জন্য বায়োমেট্রিকের ব্যবস্থা করা হতে পারে । যদিও এই সকল সিদ্ধান্তগুলি এখনও পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে নেওয়া হয়েছে ৷ তবে এইগুলি বাস্তবায়িত করার জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন বলে জানা গিয়েছে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.