পুরুলিয়া, 9 মার্চ: শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে আদিবাসী কুড়মি সমাজের তিন দিনের মহাসমাবেশ। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে তাদের এই সমাবেশ ভোটের দিক নির্দেশ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল ৷ এই সমাবেশে 20 লক্ষ কুড়মি সমাজের সমর্থক সামিল হচ্ছেন বলেও জানিয়েছেন অজিত প্রসাদ মাহাত। এর আগে নিজেদের দাবি আদায়ে অনেকবার রেল রোকো আন্দোলনের ডাক দিয়েছিল কুড়মি সমাজ ৷
ছড়রা এরোড্রাম এলাকায় তাদের এই কর্মসূচি রয়েছে বলেও জানিয়েছেন কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাতো। প্রথম দু'দিন অর্থাৎ 8 ও 9 মার্চ তাদের নিজস্ব দাবি নিয়ে ভবিষৎ পরিকল্পনামূলক বৈঠক রয়েছে। 10 তারিখ হবে জনসমাবেশ। আর এই সমাবেশ থেকেই কুড়মিরা সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, সামনে লোকসভা ভোটে তারা কোন দিকে থাকবে ৷
তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে আদিবাসী কুড়মি সমাজের এই সমাবেশের যথেষ্ট তাৎপর্য রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। নির্বাচনের ঠিক আগেই কুড়মি সমাজের সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের এক ছাতার তলায় আনায় যে এই সমাবেশের লক্ষ্য তা কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন আদিবাসী কুড়মি সমাজের মুখ্য উপদেষ্টা। যদিও লোকসভা নির্বাচনে কুড়মি সমাজ তাদের নিজেদের আলাদা কোনও প্রার্থী দেবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট করেনি তারা ৷ অজিত মাহাতো জানান, সমাবেশের পরই তারা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
অন্যদিকে, আদিবাসী কুড়মি সমাজের এই মহাসমাবেশের জনসভার দিন ব্রিগেডে রয়েছে তৃণমূলের জনগর্জন সভা। তৃণমূল কংগ্রেসের এই সভায় আদিবাসী কুড়মি সমাজের কোনও সদস্য যোগ দেবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন অজিত প্রসাদ মাহাতো।
তিনি আরও জানান, কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার যেহেতু তাদের দাবি নিয়ে মাথা ঘামাতে নারাজ, তাই তাদের জাতি সত্ত্বার দাবিতে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নির্ধারণ করতেই তাদের এই বৈঠক। কুড়মি সমাজের আরও এক কর্মী সতীশ মাহাতো বলেন, "আমাদের জাতি সত্ত্বার দাবিতে ভবিষ্যতৎ পরিকল্পনা নির্ধারণ করতেই এই মহাসমাবেশ। আমরা কোন দলকে সমর্থন করব, তা এখনই বলব না।"
আরও পড়ুন:
সোমবার ফের বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী, ভোটের আগে ভালো খবরের আশায় চাকরিপ্রার্থীরা
মোটা টাকায় চাকরি বিক্রির অভিযোগ, তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে দলের একাংশ