কলকাতা, 14 জুলাই: রাজভবনের সামনে ধরনা মঞ্চ থেকে ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত মানুষের পাশে দাঁড়াতে সোমবার একটি পোর্টাল চালুর কথা ঘোষণা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । তাঁর এই উদ্যোগকে চরম কটাক্ষ করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ । এদিন তিনি বলেন, "যদি পোর্টাল খোলা হয় সবার আগে যে মানুষটি নাম লেখাবেন তাঁর নাম দিলীপ ঘোষ । তাঁর অভাব অভিযোগ হবে, পাঁচ বছর মেদিনীপুরে চাষ করার পর আমাকে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছে দুর্গাপুরে এবং তারপর অন্তর্ঘাত করে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে ।"
কুণাল ঘোষের কথায়, "এরপর দ্বিতীয় যিনি এই পোর্টালে নাম লেখাবেন তিনি অগ্নিমিত্রা পল । তাঁর অভিযোগ হতে পারে, দিলীপ ঘোষের হেরে যাওয়া দলটা আমাকে হারিয়ে দিয়েছে। এখানে আদি বিজেপির নেতারাও অভিযোগ করবেন, বিজেপিকে রক্ষা করুন বলে । তথাগত রায় অভিযোগ থাকতে পারে, কামিনী-কাঞ্চনের । আবার এমন অভিযোগও পড়তে পারে ইলেকশনের ফান্ড এসেছিল তার কয়েক লক্ষ টাকা শুধু টোটো ভাড়া দেখিয়েই চলে গিয়েছে ।"
কুণালের দাবি, দু-একজনকে দিয়ে কিছু মিথ্যে অভিযোগ করানো হতে পারে । এসবের কোনও গুরুত্ব নেই । একুশে জুলাই গণতন্ত্রের হত্যা দিবস হিসাবে পালন করার দাবি জানিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ তার সিদ্ধান্ত অপরিণত বলে মনে করছেন কুণাল । তাঁর কথায়, " 1993 সালের 21 জুলাই ছিল একটি রক্তাক্ত দিন । তৎকালীন যুব কংগ্রেসের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে 'নো আইকার্ড/নো ভোট'-এই দাবিতে মহাকরণ অভিযান করা হয়েছিল ৷ কারণ মহাকরণে ছিল চিফ ইলেকশন অফিসারের অফিস । সেখানে সিপিএমের পুলিশ ও ক্যাডারেরা গুলি করে 13 জনকে হত্যা করেছিল । এই দিনটিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শহিদ তর্পণ দিবস হিসাবে পালন করে আসেন । 32 বছর ধরে এই দিনটি পালন হয়ে চলেছে ।"
বিজেপিকে বিঁধে কুণালের বক্তব্য, "21 জুলাই দিনটি বাংলা তথা দেশের রাজনীতিতে একটি দিক নির্দেশ করে । কেউ কেউ এর একে নকল করতে চাইছেন । এই দিনটির কাছাকাছি কোনও দিনে কর্মসূচি নিয়ে সস্তা প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করছেন । কিন্তু তাঁদের বোঝা উচিত এই দিনটি শহিদ তর্পণের এবং এর তাৎপর্য সুদূরপ্রসারী ।"