কলকাতা, 7 নভেম্বর: দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প । এই জয়ের পর আমেরিকার 47তম প্রেসিডেন্টের 'ধ্বজাধারী' ট্রাম্প টাওয়ার যেন আরও 'উন্নত শির' ৷ তাঁর বিরাট সাফল্যকে হাতিয়ার করেই ব্যবসা আরও বাড়ানোর পথে এই ধনকুবের ! কলকাতার ইএম বাইপাস সংলগ্ন ট্রাম্প টাওয়ারে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ ও বিক্রি আরও গতি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে । জানা গিয়েছে, আগামী 6 বছরের মধ্যে আরও 10টি প্রকল্প শুরু করতে চলেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সংস্থা ।
2017 সালে আমেরিকার 45তম রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন রিপাবলিকান শিল্পপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প । আর তার পরের বছর অর্থাৎ 2018 সালে কলকাতায় এসে ট্রাম্প সংস্থার নির্মাণ প্রকল্প 'ট্রাম্প টাওয়ার'-এর উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন ট্রাম্পের বড় ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র । সেই সময় কলকাতার ট্রাম্প টাওয়ার বেশ চর্চার আলোয় থাকলেও সময়ের মধ্যে প্রকল্পটির কাজ শেষ হয়নি ৷ এরপর 2021 সালে জো বাইডেনের দ্বারা ট্রাম্প গদিচ্যূত হন ৷ ক্রমে আগ্রহ হারাতে শুরু করে এই ইমারত ।
ইএম বাইপাসের উপর সায়েন্স সিটির ঠিক পেছনের দিকেই নির্মাণ চলছে ট্রাম্প টাওয়ারের । উচ্চবিত্তদের আবাসন হলেও এটিকে 'হাই-এন্ড লাক্সারি লিভিং' বলা যায় । গোড়া থেকেই 'বন্ধু' ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির । তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রর পর ভারতেই সবচেয়ে বেশি বিস্তার ট্রাম্প সংস্থার । বর্তমানে কলকাতা, মুম্বই, পুনে ও গুরুগ্রামে ট্রাম্প টাওয়ারের নির্মাণ কাজ চলছে ।
এই নির্মাণ প্রকল্পগুলির সঙ্গে সরাসরিভাবে ট্রাম্প সংস্থা যুক্ত নয় ৷ ট্রাম্প ব্র্যান্ডের এই বিলাসবহুল ফ্ল্যাটগুলি নির্মাণের কাজ ও ফ্ল্যাট বিক্রি করবে একটি ভারতীয় সংস্থা, যার নাম ট্রাইবেকা ডেভেলপার্স । আর এর জন্য ট্রাইবেকা ডেভেলপার্সকে লাইসেন্সিং ফি দিতে হয় ট্রাম্প সংস্থাকে ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্মাণ সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, "একটি ফ্ল্যাট বিক্রি হলে সেই মূল্যের 3 থেকে 4 শতাংশ লাইসেন্সিং ফি হিসেবে দিতে হয় । চারটি টাওয়ারের বাইরের চেহারা মোটামুটি একইরকম রেখে ফ্ল্যাটের ভেতরের ইন্টিরিয়র ট্রাইবেকা ডেভেলপার্স নিজেদের পছন্দ মতো করতে পারে ।" উল্লেখ্য, কলকাতার প্রকল্পের জন্য ট্রাইবেকা ডেভেলপার্সের সঙ্গে রয়েছে ইউনিমার্ক গ্রুপ ও আরডিবি গ্রুপ ।
38তলের কলকাতার ট্রাম্প টাওয়ারে 3, 4 ও 5 বিএইচকে-র 138টি ফ্ল্যাট রয়েছে । ফ্ল্যাটগুলির মূল্য 3.65 কোটি থেকে 7.04 কোটি টাকা । এক-একটি ফ্ল্যাট প্রায় 16 হাজার থেকে 21 হাজার বর্গ ফুটের মধ্যে । তবে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছিল তা পেরিয়ে গিয়েছে । তবে মনে করা হচ্ছে যে, ট্রাম্প ফের আমেরিকার মসনদে বসার পর হয়তো প্রকল্পটি আবারও গতি পাবে এবং যেই ফ্ল্যাটগুলি এখনও বিক্রি হয়নি সেগুলি দ্রুত বিক্রি হয়ে যাবে ৷