ETV Bharat / state

গড় ভাঙার সুনাম! ফের মমতার খাস তালুকেই বিজেপির ভরসা দেবশ্রী - Lok Sabha Election 2024

Lok Sabha Election 2024: একের পর এক কেন্দ্রে জয়ী হয়েছেন রায়গঞ্জের বিদায়ী বিজেপি সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী ৷ এবার তাঁকে বিজেপি প্রার্থী করল কলকাতা দক্ষিণ থেকে ৷ এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূল প্রার্থী মালা রায় ৷

ETV Bharat
কলকাতা দক্ষিণ থেকে বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Apr 9, 2024, 4:55 PM IST

মমতার খাস তালুকেই বিজেপির ভরসা দেবশ্রী

কলকাতা, 9 এপ্রিল: রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা আড়াই বছরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বালুরঘাটের কন্যা দেবশ্রী চৌধুরী ৷ তিনি এবার ফের সাংসদ পদপ্রার্থী হয়েছেন একেবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় কলকাতা দক্ষিণ থেকে ৷

2019 সালে রায়গঞ্জ লোকসভা আসন থেকে পদ্ম চিহ্নে জয়ী হন তিনি ৷ ওই বার রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কানাইয়া লাল আগারওয়াল এবং সিপিএম প্রার্থী ছিলেন মহম্মদ সেলিম ৷ 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে কানাইয়া লাল আগারওয়ালকে 4 সক্ষ 51 হাজার 78 ভোটে এবং মহাম্মদ সেলিমকে 1 লক্ষ 82 হাজার 35 ভোটে হারিয়েছিলেন ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল 5 লক্ষ 11 হাজার 652 ৷ পরে তিনি নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকে রাষ্ট্রমন্ত্রী হন ৷

অন্যদিকে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা দক্ষিণ থেকে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন চন্দ্র কুমার বসু এবং তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন মালা রায় ৷ পাশাপাশি সিপিএম প্রার্থী ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নন্দিনী মুখোপাধ্যায় ৷ সেবার কলকাতা দক্ষিণ থেকে জয়ী হন মালা রায় ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল 5 লক্ষ 73 হাজার 119 ৷ ওই সময় চন্দ্র কুমার বসু পেয়েছিলেন 4 লক্ষ 17 হাজার 927 ৷ অন্যদিকে সিপিএমের নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত ভোট ছিল 1 লক্ষ 40 হাজার 275 ৷

এদিকে নতুন কেন্দ্রে প্রার্থী হলেও তাঁর আত্মবিশ্বাস চোখে পড়ার মতো ৷ নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের দুর্নীতিকেই হাতিয়ার করে কলকাতা দক্ষিণের মানুষের কাছে যাবেন তিনি, জানালেন দেবশ্রী ৷ উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি তিনি বহুদিন ধরেই দমদমের বাসিন্দা ৷ তাই তাঁর ইচ্ছে ছিল, তাঁকে দমদম কেন্দ্রে প্রার্থী করা হোক ৷ তবে তাঁকে কলকাতা দক্ষিণ থেকে প্রার্থী করা হয় ৷

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে মাথা ঘামাই না ৷ আমি এটা বিশ্বাস করি না ৷ ভারতীয় জনতা পার্টি কোথায় কাকে প্রার্থী করবে, সেটা পশ্চিমবঙ্গের কেউ ঠিক করবে না ৷ আমি কার কার সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই লড়েছি, সেটা দেখুন ৷ 2006 সালে আমি প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হই ৷ তখন আমি যুব মোর্চার কার্যকর্তা ছিলাম ৷ বামফ্রন্টের কারা এবং সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়েছিলাম ৷ তাঁকে আমি খুব কম মার্জিনে হারিয়েছি ৷ 2014 সালে আমাকে পাঠানো হল বর্ধমানে, 20দিন আগে ৷ 42-এ একমাত্র মহিলা প্রার্থী ৷ 2019 সালে আমায় পাঠানো হল রায়গঞ্জে ৷ যাকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কংগ্রেসের গড় বলে ৷ ওই গড় ভাঙতে আমার ক'দিন লাগল ? 22 দিন ৷ তবে যেই কেন্দ্রের দাঁত ফোটানো কিছুটা কষ্টকর সেখানেই দল আমাকে দেয় ৷ কারণ, আমি সেই কেন্দ্র জিতিয়ে আনব ৷ এমনই অগাধ বিশ্বাস দলের আমার উপরে ৷"

তিনি বলেন, "গত দু'বারের নির্বাচনে বিশেষত 2019 সালে কলকাতা দক্ষিণে বিজেপির ভোট শেয়ারিং অনেকটাই বেড়েছে ৷ আমার মনে হয় দক্ষিণ কলকাতার মানুষ একেবারে শেষ লগ্নে এসে একটু ভড়কে যায়, তবে আর চিন্তা নেই ৷ লড়াইয়ের ময়দানে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে কলকাতা দক্ষিণের আসন জিতব ৷"

আরও পড়ুন:

  1. পাহাড়ের উন্নয়ন অব্যাহত ও শান্তি বজিয়ে রাখাই লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী গোপাল লামার
  2. প্রচারে বেরিয়ে তরুণীকে চুম্বন খগেনের, সোশাল মিডিয়ায় প্রচারে হাতিয়ার করল তৃণমূল
  3. পাহাড়ের 3 পৌরসভার প্রশাসককে সরাতে রাজু বিস্তার চিঠি, পদক্ষেপের আশ্বাস কমিশনের

মমতার খাস তালুকেই বিজেপির ভরসা দেবশ্রী

কলকাতা, 9 এপ্রিল: রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা আড়াই বছরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বালুরঘাটের কন্যা দেবশ্রী চৌধুরী ৷ তিনি এবার ফের সাংসদ পদপ্রার্থী হয়েছেন একেবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গড় কলকাতা দক্ষিণ থেকে ৷

2019 সালে রায়গঞ্জ লোকসভা আসন থেকে পদ্ম চিহ্নে জয়ী হন তিনি ৷ ওই বার রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কানাইয়া লাল আগারওয়াল এবং সিপিএম প্রার্থী ছিলেন মহম্মদ সেলিম ৷ 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে কানাইয়া লাল আগারওয়ালকে 4 সক্ষ 51 হাজার 78 ভোটে এবং মহাম্মদ সেলিমকে 1 লক্ষ 82 হাজার 35 ভোটে হারিয়েছিলেন ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা ছিল 5 লক্ষ 11 হাজার 652 ৷ পরে তিনি নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রকে রাষ্ট্রমন্ত্রী হন ৷

অন্যদিকে 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে কলকাতা দক্ষিণ থেকে বিজেপি প্রার্থী ছিলেন চন্দ্র কুমার বসু এবং তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন মালা রায় ৷ পাশাপাশি সিপিএম প্রার্থী ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নন্দিনী মুখোপাধ্যায় ৷ সেবার কলকাতা দক্ষিণ থেকে জয়ী হন মালা রায় ৷ তাঁর প্রাপ্ত ভোট ছিল 5 লক্ষ 73 হাজার 119 ৷ ওই সময় চন্দ্র কুমার বসু পেয়েছিলেন 4 লক্ষ 17 হাজার 927 ৷ অন্যদিকে সিপিএমের নন্দিনী মুখোপাধ্যায়ের প্রাপ্ত ভোট ছিল 1 লক্ষ 40 হাজার 275 ৷

এদিকে নতুন কেন্দ্রে প্রার্থী হলেও তাঁর আত্মবিশ্বাস চোখে পড়ার মতো ৷ নির্বাচনী প্রচারে তৃণমূলের দুর্নীতিকেই হাতিয়ার করে কলকাতা দক্ষিণের মানুষের কাছে যাবেন তিনি, জানালেন দেবশ্রী ৷ উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি তিনি বহুদিন ধরেই দমদমের বাসিন্দা ৷ তাই তাঁর ইচ্ছে ছিল, তাঁকে দমদম কেন্দ্রে প্রার্থী করা হোক ৷ তবে তাঁকে কলকাতা দক্ষিণ থেকে প্রার্থী করা হয় ৷

এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "অন্তর্দ্বন্দ্ব নিয়ে মাথা ঘামাই না ৷ আমি এটা বিশ্বাস করি না ৷ ভারতীয় জনতা পার্টি কোথায় কাকে প্রার্থী করবে, সেটা পশ্চিমবঙ্গের কেউ ঠিক করবে না ৷ আমি কার কার সঙ্গে রাজনৈতিক লড়াই লড়েছি, সেটা দেখুন ৷ 2006 সালে আমি প্রথম নির্বাচনে প্রার্থী হই ৷ তখন আমি যুব মোর্চার কার্যকর্তা ছিলাম ৷ বামফ্রন্টের কারা এবং সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরীর বিরুদ্ধে লড়েছিলাম ৷ তাঁকে আমি খুব কম মার্জিনে হারিয়েছি ৷ 2014 সালে আমাকে পাঠানো হল বর্ধমানে, 20দিন আগে ৷ 42-এ একমাত্র মহিলা প্রার্থী ৷ 2019 সালে আমায় পাঠানো হল রায়গঞ্জে ৷ যাকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ কংগ্রেসের গড় বলে ৷ ওই গড় ভাঙতে আমার ক'দিন লাগল ? 22 দিন ৷ তবে যেই কেন্দ্রের দাঁত ফোটানো কিছুটা কষ্টকর সেখানেই দল আমাকে দেয় ৷ কারণ, আমি সেই কেন্দ্র জিতিয়ে আনব ৷ এমনই অগাধ বিশ্বাস দলের আমার উপরে ৷"

তিনি বলেন, "গত দু'বারের নির্বাচনে বিশেষত 2019 সালে কলকাতা দক্ষিণে বিজেপির ভোট শেয়ারিং অনেকটাই বেড়েছে ৷ আমার মনে হয় দক্ষিণ কলকাতার মানুষ একেবারে শেষ লগ্নে এসে একটু ভড়কে যায়, তবে আর চিন্তা নেই ৷ লড়াইয়ের ময়দানে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে কলকাতা দক্ষিণের আসন জিতব ৷"

আরও পড়ুন:

  1. পাহাড়ের উন্নয়ন অব্যাহত ও শান্তি বজিয়ে রাখাই লক্ষ্য তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী গোপাল লামার
  2. প্রচারে বেরিয়ে তরুণীকে চুম্বন খগেনের, সোশাল মিডিয়ায় প্রচারে হাতিয়ার করল তৃণমূল
  3. পাহাড়ের 3 পৌরসভার প্রশাসককে সরাতে রাজু বিস্তার চিঠি, পদক্ষেপের আশ্বাস কমিশনের
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.