কলকাতা, 16 ফেব্রুয়ারি: পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে কঠিন ও তরল, দু’রকমের বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ব্যবস্থাকে আরও তরান্বিত করছে কলকাতা পৌরনিগম ৷ এর জন্য বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণের আরও একটি নতুন প্ল্যান্ট তৈরি করা হচ্ছে ৷ আর তার জন্য ধাপায় কলকাতা পৌরনিগমের দখল হয়ে থাকা 180 একর জমি পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে ৷ তবে, এর জন্য দেওয়া হবে মোট 54 কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ ৷
জানা গিয়েছে, বর্তমান বর্জ্য জমা হওয়া ও প্রক্রিয়াকরণের যে অনুপাত, তার মধ্যে আকাশ-পাতাল ফারাক রয়েছে ৷ পুনরুদ্ধার করা জমিতে নয়া প্ল্যান্ট তৈরি হলে, সেই ফারাকটা অনেকটাই কমবে বলে জানাচ্ছে কলকাতা পৌরনিগম ৷ কেএমসি সূত্রে খবর, ধাপায় তাদের বিপুল পরিমাণ জমিতে বহু বছর ধরে অনেকে মাছ ও শাক-সবজি চাষ করছে ৷ এমন সব মৎস্যজীবী ও চাষীদের তালিকা তৈরি করেছে পৌরনিগম ৷ কমবেশি প্রায় সাড়ে আটশো জনের নামের তালিকা তৈরি হয়েছে ৷ তবে, আরও কিছুদিন সময় দেওয়া হয়েছে ৷ যদি কারও নাম বাদ পরে, তাহলে নথিভুক্ত করার জন্য ৷ 7 নম্বর বরো তরফে পুরো বিষয়টি দেখা হচ্ছে ৷
প্রত্যেক চাষী ও মৎস্যজীবী পিছু 50 হাজার টাকা করে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে ৷ ইতিমধ্যে জমির জরিপের কাজও প্রায় শেষ ৷ তবে, কবে থেকে সেই জমির পুনর্দখল প্রক্রিয়া শুরু করা হবে, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি কলকাতা পৌরনিগমের তরফে ৷ বর্তমানে 4000 টন জঞ্জাল পড়ে ধাপায় ৷ যার মধ্যে মাত্র 500 টন জঞ্জাল প্রক্রিয়াকরণ হয় ৷ ফলে যত পরিমাণ জঞ্জাল জমছে আর যা প্রক্রিয়াকরণ হচ্ছে, তার মধ্যে অনেকটাই ফারাক থেকে যাচ্ছে ৷ নয়া প্ল্যান্ট তৈরি হলে সেই ফারাকটা অনেকটাই কমবে ৷ এই মুহূর্তে গ্যাস ও সার তৈরির যে প্ল্যান্ট রয়েছে, তার ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হবে ৷ গড়ে উঠবে একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পও ৷
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পৌরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, "আমাদের কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে ৷ জমি সংক্রান্ত সমস্যার জেরে আটকে ছিল ৷ তবে, ধাপার আশপাশেই 180 একর জমি আমরা পুনরুদ্ধার করতে চলেছি ৷ সেখানে অনেকেই বহু বছর ধরে চাষ করেন ৷ কেউ কেউ মাছ চাষ করেন ৷ তাঁরা যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার পদক্ষেপ নিচ্ছি ৷ প্রাথমিকভাবে একটি তালিকা করা হয়েছে ৷ তারপর বেশ কিছুদিন সময় দেওয়া হচ্ছে, কেউ যদি বাদ পড়ে তাদের নাম তোলার জন্য ৷"
আরও পড়ুন: