কলকাতা, 31 জুলাই: অ্যালেন পার্কের উলটো ফুটের অগ্নিদগ্ধ রেস্তোরাঁর বেআইনি অংশ ভাঙার কাজ শুরু হল বুধবার থেকেই । বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে গিয়ে কলকাতা পুরনিগমের দেনা হয়েছে বিপুল ৷ তাও বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ বন্ধ করতে নারাজ কলকাতা পুরনিগম ৷
জানা গিয়েছে, গত এক বছর সময়কালে মহানগরের বুকে মাথা তোলা প্রায় 1 হাজার বেআইনি নির্মাণ ভেঙে ফেলেছে কলকাতা পুরনিগম । আর এই ভাঙার বিপুল খরচেই জেরবার কর্তৃপক্ষ । খানিক বিল মিটিয়ে ফেললেও এখনও কমবেশি 4 কোটি টাকার দেনা রয়েছে বিল্ডিং বিভাগের মাথায় ৷ আর তা শুধুমাত্র এই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার জেরে ।
কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, কলকাতার বিল্ডিং বিভাগের ডেমোলিশ স্কোয়াডের চারটি এজেন্সি বিপজ্জনক থেকে বেআইনি বাড়ি ভাঙার কাজ করে ৷ তবে এখন এই চারটি এজেন্সি পুর কর্তৃপক্ষের থেকে পাবে মোট চার কোটি টাকা । খরচের টাকা যে পুরনিগম একদম মেটায়নি, তেমনটা নয় ৷ বিভিন্ন সময় মোটা অঙ্কের বিল হয়েছে ৷ কয়েক বছরে তার অধিকাংশ মেটানো হলেও কিছুটা করে এখনও বকেয়া রেখে দেওয়া হয়েছে ৷ আর সেই সমস্ত জমতে জমতে পরিমাণ দাঁড়িয়েছে বিপুল ।
এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরনিগমের এক আধিকারিক বলেন, "এই টাকা চারটি এজেন্সির পেতে অসুবিধা হবে না ৷ কারণ ধাপে ধাপে বিল ছাড়া হচ্ছে । কিছুদিনের মধ্যে পেয়ে যাবে টাকা ৷ তবে মেয়র ফিরহাদ হাকিমের নির্দেশ মতো আমাদের বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে অভিযান চলতে থাকবে । মেয়র ফিরহাদ হাকিম গার্ডেনরিচকাণ্ডের পর থেকে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে যথেষ্ট তৎপর মনোভাব দেখান । তাই বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ এখন বেশ কয়েক মাস জোরকদমে চলছে ।"
বিল বকেয়া থাকার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, "আমরা যে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ করি, সেটার খরচ অভিযুক্ত নির্মাণকারীর থেকেই নিয়ে থাকি । 15 দিনের মধ্যে ডিমান্ড পাঠানো হয় । না দিলে জরিমানা-সহ অ্যাসেসমেন্ট বিভাগ সম্পত্তি করের বিল পাঠায় । মালিকহীন বিপজ্জনক বাড়ি বা পরিত্যক্ত বাড়ি ভেঙে দেওয়ার পরেও সেই টাকা আদায় করা হয় না । আবার বেআইনি নির্মাণ ভাঙার ক্ষেত্রে বেশ কিছু জায়গায় অভিযুক্ত টাকা দিতে দেরি করে ফেলে । তবে এই টাকা পাওয়া নিয়ে কোনও অসুবিধা হবে না ।"