ETV Bharat / state

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস: রেল দোষ চাপানোয় ক্ষোভ, তথ্য বলছে কোনও ভুল নেই মালগাড়ির চালকের - KANCHANJUNGHA EXPRESS ACCI PROBE

KANCHANJUNGHA EXPRESS ACCIDENT PROBE: আগরতলা থেকে শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার অন্তর্তদন্ত শুরু হয়েছে ৷ সিগন্যাল কাজ করছিল না বলে দাবি রেলের একটি সূত্রের ৷

ETV BHARAT
কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jun 17, 2024, 5:19 PM IST

Updated : Jun 17, 2024, 7:31 PM IST

নয়াদিল্লি, 17 জুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার দায় মালগাড়ির চালকের বলে দাবি করেছিল রেল বোর্ড ৷ রেল বোর্ডের চেয়ারপার্সন জয়া বর্মা সিনহা বলেছিলেন যে, সিগন্যাল মানেননি মালগাড়ির চালক ৷ তিনি সোজা এসে ধাক্কা মারেন আগরতলা থেকে শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ৷ তবে নথি বলছে, কোনও দোষ ছিল না মালগাড়ির চালকের ৷ সিগন্যাল খারাপ থাকায়, লাল আলো থাকা সত্ত্বেও সিগন্যাল পেরনোর লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে ৷ কাজেই মৃত মালগাড়ির চালকের ঘাড়ে মিথ্যে দোষ চাপানোর অভিযোগে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে লোকো রানিংমেন অর্গানাইজেশন ৷

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু (নিজস্ব ভিডিয়ো)

সংগঠনের কার্যনির্বাহী সভাপতি সঞ্জয় পান্ধি বলেন, "এখন, নথি থেকে এটি পরিষ্কার যে মালগাড়ির লোকো পাইলটকে লাল সংকেত অতিক্রম করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কারণ সিগন্যালগুলি ত্রুটিপূর্ণ ছিল ৷ এটি রেল প্রশাসনের ব্যর্থতা, চালকের দোষ নয় ৷ তদন্ত চলাকালীন দুর্ঘটনায় মৃত লোকো পাইলটকে দায়ী করে রেলের ঘোষণা অত্যন্ত আপত্তিকর ৷"

উল্লেখ্য, রেলের একটি সূত্র জানিয়েছে, টিএ 912 নামে একটি লিখিত বিবৃতি জারি করেছিলেন রানিপত্রের স্টেশন মাস্টার ৷ সেই বিবৃতিতে মালগাড়ির চালককে সমস্ত লাল সংকেত পেরনোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই চিঠিতে বলা হয়, "স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল কাজ করছে না ৷ আপনি আরএনআই (রানিপত্র রেলওয়ে স্টেশন) এবং সিএটি (ছত্তার হাট জংশন) এর মধ্যে সমস্ত স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল পেরনোর জন্য অনুমোদিত ৷" প্রসঙ্গত, এই দুটি স্টেশনের মধ্যে নয়টি সংকেত রয়েছে ৷

ওই সূত্রটি সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেছে, "ট্রেন নং 13174 (শিয়ালদা-কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস) রাঙাপানি স্টেশন থেকে সকাল 8:27-এ ছেড়ে যায় এবং 5:50 থেকে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যর্থতার কারণে রানিপাত্র রেলওয়ে স্টেশন এবং ছাত্তার হাটের মধ্যে ট্রেনটি থামে ৷" রেলওয়ের অন্য একজন কর্মকর্তার মতে, যখন স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং সিস্টেম ব্যর্থ হয়, তখন স্টেশন মাস্টার টিএ 912 নামে একটি লিখিত নির্দেশ জারি করে, যেখানে ত্রুটি থাকার কারণে চালককে সব লাল আলোর সিগন্যাল নির্দ্বিধায় পেরনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৷

সূত্রের দাবি, "রানিপাত্রের স্টেশন মাস্টার ট্রেন নং 1374 (শিয়ালদহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস)-এর জন্য টিএ 912 জারি করেছিলেন ৷" তিনি আরও বলেন, "একই সময়ে, জিএফসিজে নামে একটি মালগাড়ি সকাল আটটা 42 মিনিটে রাঙাপানি থেকে ছেড়ে যায় এবং গার্ডের কোচ, দুটি পার্সেল কোচ এবং একটি সাধারণ বসার কোচ লাইনচ্যুত হওয়ার ফলে পিছনের অংশ 13174 নম্বরের ট্রেনে ধাক্কা দেয় ।"

এ দিকে, রেল বোর্ডের চেয়ারপার্সন বলেছিলেন যে, সিগন্যাল মানেননি মালগাড়ির চালক ৷ তিনি সোজা এসে ধাক্কা মারেন আগরতলা থেকে শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ৷ নিউ জলপাইগুড়ির কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি দায়ী করেন মালগাড়ির চালককে ৷

নয়াদিল্লি, 17 জুন: কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার দায় মালগাড়ির চালকের বলে দাবি করেছিল রেল বোর্ড ৷ রেল বোর্ডের চেয়ারপার্সন জয়া বর্মা সিনহা বলেছিলেন যে, সিগন্যাল মানেননি মালগাড়ির চালক ৷ তিনি সোজা এসে ধাক্কা মারেন আগরতলা থেকে শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ৷ তবে নথি বলছে, কোনও দোষ ছিল না মালগাড়ির চালকের ৷ সিগন্যাল খারাপ থাকায়, লাল আলো থাকা সত্ত্বেও সিগন্যাল পেরনোর লিখিত নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে ৷ কাজেই মৃত মালগাড়ির চালকের ঘাড়ে মিথ্যে দোষ চাপানোর অভিযোগে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ইন্ডিয়ান রেলওয়ে লোকো রানিংমেন অর্গানাইজেশন ৷

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু (নিজস্ব ভিডিয়ো)

সংগঠনের কার্যনির্বাহী সভাপতি সঞ্জয় পান্ধি বলেন, "এখন, নথি থেকে এটি পরিষ্কার যে মালগাড়ির লোকো পাইলটকে লাল সংকেত অতিক্রম করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল, কারণ সিগন্যালগুলি ত্রুটিপূর্ণ ছিল ৷ এটি রেল প্রশাসনের ব্যর্থতা, চালকের দোষ নয় ৷ তদন্ত চলাকালীন দুর্ঘটনায় মৃত লোকো পাইলটকে দায়ী করে রেলের ঘোষণা অত্যন্ত আপত্তিকর ৷"

উল্লেখ্য, রেলের একটি সূত্র জানিয়েছে, টিএ 912 নামে একটি লিখিত বিবৃতি জারি করেছিলেন রানিপত্রের স্টেশন মাস্টার ৷ সেই বিবৃতিতে মালগাড়ির চালককে সমস্ত লাল সংকেত পেরনোর অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৷ সেই চিঠিতে বলা হয়, "স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল কাজ করছে না ৷ আপনি আরএনআই (রানিপত্র রেলওয়ে স্টেশন) এবং সিএটি (ছত্তার হাট জংশন) এর মধ্যে সমস্ত স্বয়ংক্রিয় সিগন্যাল পেরনোর জন্য অনুমোদিত ৷" প্রসঙ্গত, এই দুটি স্টেশনের মধ্যে নয়টি সংকেত রয়েছে ৷

ওই সূত্রটি সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেছে, "ট্রেন নং 13174 (শিয়ালদা-কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস) রাঙাপানি স্টেশন থেকে সকাল 8:27-এ ছেড়ে যায় এবং 5:50 থেকে স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং ব্যর্থতার কারণে রানিপাত্র রেলওয়ে স্টেশন এবং ছাত্তার হাটের মধ্যে ট্রেনটি থামে ৷" রেলওয়ের অন্য একজন কর্মকর্তার মতে, যখন স্বয়ংক্রিয় সিগন্যালিং সিস্টেম ব্যর্থ হয়, তখন স্টেশন মাস্টার টিএ 912 নামে একটি লিখিত নির্দেশ জারি করে, যেখানে ত্রুটি থাকার কারণে চালককে সব লাল আলোর সিগন্যাল নির্দ্বিধায় পেরনোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল ৷

সূত্রের দাবি, "রানিপাত্রের স্টেশন মাস্টার ট্রেন নং 1374 (শিয়ালদহ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস)-এর জন্য টিএ 912 জারি করেছিলেন ৷" তিনি আরও বলেন, "একই সময়ে, জিএফসিজে নামে একটি মালগাড়ি সকাল আটটা 42 মিনিটে রাঙাপানি থেকে ছেড়ে যায় এবং গার্ডের কোচ, দুটি পার্সেল কোচ এবং একটি সাধারণ বসার কোচ লাইনচ্যুত হওয়ার ফলে পিছনের অংশ 13174 নম্বরের ট্রেনে ধাক্কা দেয় ।"

এ দিকে, রেল বোর্ডের চেয়ারপার্সন বলেছিলেন যে, সিগন্যাল মানেননি মালগাড়ির চালক ৷ তিনি সোজা এসে ধাক্কা মারেন আগরতলা থেকে শিয়ালদাগামী কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে ৷ নিউ জলপাইগুড়ির কাছে ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি দায়ী করেন মালগাড়ির চালককে ৷

Last Updated : Jun 17, 2024, 7:31 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.