ETV Bharat / state

সূর্যের মুখ দেখেন না এই কালী, পুজোর রাতেই হয় বিসর্জন

কালীপুজোর দিন সকাল থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয়ে রাতে, পুজোর পর দেবীর বিসর্জন হয় ৷

KALI PUJA 2024
সূর্যের মুখ দেখেন না এই কালী (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 30, 2024, 7:09 PM IST

রায়গঞ্জ, 30 অক্টোবর: কালীপুজোর দিনই সকাল থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয় ৷ পুজোর পর সূর্যোদয়ের আগেই বিসর্জন হয় প্রতিমা ৷ রাতেই মন্দিরে দেবীর পুজো হয় আর সূর্য ওঠার আগেই নদীতে সেই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় ৷ রায়গঞ্জের দেবীনগর কালীবাড়ির পুজোর বিশেষত্ব এখানেই।

কথিত আছে এই পুজো প্রায় 500 বছরেরও বেশি প্রাচীন। দিনাজপুরের জমিদার মহারাজা গিরিজানাথ রায় বাহাদুরের হাতে মায়ের পুজো শুরু হলেও বর্তমানে স্থানীয় মন্দির কমিটির সদস্যরাই পুজোর আয়োজন করে থাকে। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বেশকিছু গল্পকথাও। শোনা যায়, একটা সময় দিনাজপুরের রাজা ঘোড়ার গাড়ি করে এই স্থানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আচমকাই গাড়ির চাকা আটকে যায় এই এলাকায়। সেদিন রাতেই রাজাকে মা স্বপ্নাদেশ দেন, এই স্থানে পুজো করার জন্য। সেই নির্দেশ মেনেই রাজার হাতে পুজো শুরু হয় কালীর। জমিদার গিরিজানাথ রায় বাহাদুরের হাত ধরেই পুজো শুরু হয় এখানে দেবীর।

পুজোর রাতেই হয় বিসর্জন (ইটিভি ভারত)

কালীর স্বপ্নাদেশ মেনে মন্দির তৈরি হলেও এই মন্দিরের কোনও ছাদ নেই। খোলা আকাশের নীচেই পূজিতা হন দেবী। এই পুজোর আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল, দেবী সূর্যের মুখ দেখেন না। কালীপুজোর দিন সকাল থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয় এখানে। সন্ধ্যার পর মন্দিরে দেবীর পুজো শুরু হয়। আর সূর্যোদয়ের আগেই নদীতে সেই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।

আগে পুজোতে পাঁঠাবলির নিয়ম থাকলেও সেই প্রথা তুলে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য দেবাশিস দত্ত বলেন, "প্রায় পাঁচশো বছরের এই প্রাচীন পুজো দেখতে বিভিন্ন জেলা, এমনকী ভিনরাজ্য থেকেও প্রচুর মানুষ আসেন। মায়ের কাছে প্রার্থনা করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। প্রাচীন রীতি মেনেই দেবীর পুজো সম্পন্ন হয় এখানে।"

রায়গঞ্জ, 30 অক্টোবর: কালীপুজোর দিনই সকাল থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয় ৷ পুজোর পর সূর্যোদয়ের আগেই বিসর্জন হয় প্রতিমা ৷ রাতেই মন্দিরে দেবীর পুজো হয় আর সূর্য ওঠার আগেই নদীতে সেই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় ৷ রায়গঞ্জের দেবীনগর কালীবাড়ির পুজোর বিশেষত্ব এখানেই।

কথিত আছে এই পুজো প্রায় 500 বছরেরও বেশি প্রাচীন। দিনাজপুরের জমিদার মহারাজা গিরিজানাথ রায় বাহাদুরের হাতে মায়ের পুজো শুরু হলেও বর্তমানে স্থানীয় মন্দির কমিটির সদস্যরাই পুজোর আয়োজন করে থাকে। এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বেশকিছু গল্পকথাও। শোনা যায়, একটা সময় দিনাজপুরের রাজা ঘোড়ার গাড়ি করে এই স্থানের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। আচমকাই গাড়ির চাকা আটকে যায় এই এলাকায়। সেদিন রাতেই রাজাকে মা স্বপ্নাদেশ দেন, এই স্থানে পুজো করার জন্য। সেই নির্দেশ মেনেই রাজার হাতে পুজো শুরু হয় কালীর। জমিদার গিরিজানাথ রায় বাহাদুরের হাত ধরেই পুজো শুরু হয় এখানে দেবীর।

পুজোর রাতেই হয় বিসর্জন (ইটিভি ভারত)

কালীর স্বপ্নাদেশ মেনে মন্দির তৈরি হলেও এই মন্দিরের কোনও ছাদ নেই। খোলা আকাশের নীচেই পূজিতা হন দেবী। এই পুজোর আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল, দেবী সূর্যের মুখ দেখেন না। কালীপুজোর দিন সকাল থেকে প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হয় এখানে। সন্ধ্যার পর মন্দিরে দেবীর পুজো শুরু হয়। আর সূর্যোদয়ের আগেই নদীতে সেই প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়।

আগে পুজোতে পাঁঠাবলির নিয়ম থাকলেও সেই প্রথা তুলে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য দেবাশিস দত্ত বলেন, "প্রায় পাঁচশো বছরের এই প্রাচীন পুজো দেখতে বিভিন্ন জেলা, এমনকী ভিনরাজ্য থেকেও প্রচুর মানুষ আসেন। মায়ের কাছে প্রার্থনা করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। প্রাচীন রীতি মেনেই দেবীর পুজো সম্পন্ন হয় এখানে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.