কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর: ফের পূর্ণ কর্মবিরতি ডাক দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ সোমবার সকালে সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পর ওইদিন বিকেল থেকে ফের পূর্ণ কর্মবিরতির ডাক দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ পাশাপাশি তাঁদের নজরে রয়েছে 30 সেপ্টেম্বরের শুনানি ৷ শনিবার ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷
আরজি করের পড়ুয়া-চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনে বিচারের দাবিতে উত্তপ্ত রাজ্য ৷ এর মধ্যে 27 সেপ্টেম্বর রাতে সাগর দত্ত মেডিক্যালে চিকিৎসক ও নার্সদের উপর হামলা চালায় রোগীর পরিবার ৷ বিনা চিকিৎসায় মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগে জুনিয়র চিকিৎসক-নার্সদের উপর চড়াও হয় রোগীর পরিজনেরা ৷ এরপরেই নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগে সম্পূর্ণ কর্মবিরতিতে চলে যায় সাগর দত্ত হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ তাঁদের এই সিদ্ধান্তে সামিল হন রাজ্যের সব জুনিয়র চিকিৎসকেরা ৷
এদিন জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, "দেশের প্রধান বিচারপতি সুরক্ষা দেওয়ার কথা বলেছিলেন ৷ আমরা আজ থেকে কর্মবিরতি ঘোষণা করলাম ৷ কারণ, আমরা একটা শেষ সুযোগ দিতে চাই ৷ সুপ্রিম কোর্টে ওনারা ঠিক কী প্রডিউস করবেন, সেটা দেখতে চাই ৷ সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে একটা আত্মবিশ্বাসী পরিবেশ তৈরি করতে হবে ৷ ওই লিখিত নির্দেশ পেয়ে আমরা বলেছিলাম, আমরা কিছুটা ভরসা করতে পারছি ৷ কিন্তু আজ সাগর দত্তের ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে যে, সদিচ্ছা তো নেই, ওনারা এটা একেবারেই করতে পারবেন না ৷ তারপর ওনারা সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে কী বলেন, সেদিকে আমাদের নজর থাকবে ৷ তারপর থেকে আমরা পূর্ণ কর্মবিরতিতে ফিরব ৷ আগামী 2 তারিখে মহাসমাবেশ ও মহামিছিল ৷ এর সঙ্গে আরও বিভিন্ন কর্মসূচি হবে ৷ আন্দোলন তীব্রতর হবে ৷"
অন্যদিকে সাগর দত্ত হাসপাতালের ঘটনার প্রেক্ষিতে এদিন হাসপাতালে আসেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম ৷ তিনি কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা বলছেন স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন ৷ জুনিয়ক চিকিৎসক অনুষ্টুপ মজুমদার বলেন, "আমরা এই স্বাস্থ্য সচিবের পদত্যাগ চেয়েছিলাম ৷ তার কারণ তিনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ ৷ ফলে আমাদের আন্দোলনে তার পদত্যাগের দাবি থাকছে ৷"