কলকাতা, 15 অক্টোবর: কলকাতা পুলিশের ধর্মতলা ও তার আশেপাশের এলাকায় 163 ধারা জারি করার বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট ৷ আজ ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে 'দ্রোহের কার্নিভালে'র ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ সেই কর্মসূচিতে যাতে কোনও বাধা উৎপন্ন না-হয়, তাই কলকাতা হাইকোর্টের জরুরি বেঞ্চে আবেদন করা হয়েছে ৷ বেলা 2 টোর সময় বিচারপতি রবি কিষাণ কাপুরের বেঞ্চে মামলাটির শুনানি হবে ৷
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রেড রোডে পুজো কার্নিভাল চলাকালীন অশান্তি হতে পারে ৷ এই আশঙ্কায় ধর্মতলা ও তার পার্শ্ববর্তী একাধিক এলাকায় 163 ধারা জারি করেছে লালবাজার ৷ আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে এবং 10 দফা দাবিতে জুনিয়র ডাক্তারদের যে আন্দোলন চলছে, তার অংশ হিসেবে 'দ্রোহের কার্নিভালে'র ডাক দিয়েছে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট ৷ যেখানে ধর্মতলায় মানববন্ধন তৈরি করবেন জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ সেখানে সাধারণ মানুষকেও অংশ নেওয়ার আবেদন করেছেন তাঁরা ৷
কিন্তু, সোমবার রাতে শেষ মুহূর্তে ধর্মতলা-সহ রেড রোডের আশেপাশে বিএনএসের 163 ধারা (যা আগে আইপিসি-তে 144 ধারা ছিল) লাগু করে লালবাজার ৷ যার জেরে এবার ধর্মতলায় জমায়েত বা কোনও রকম কর্মসূচি পালন করতে গেলে আইনি বাধার সম্মুখীন হতে হবে জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টকে ৷ তাই 'দ্রোহের কার্নিভাল' কর্মসূচি যাতে বিঘ্নিত না-হয়, তার জন্য কলকাতা হাইকোর্টে জরুরি ভিত্তিতে শুনানির জন্য আবেদন করেন জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ আজ বেলা 2 টোর সময় সেই মামলার শুনানি রয়েছে ৷
কলকাতা পুলিশের তরফে যে এলাকা ও রাস্তাগুলিতে 163 ধারা লাগু করা হয়েছে, সেগুলি হল- রানি রাসমণি রোড, ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেল, নিউ রোড, মেয়ো রোড, আউটট্রাম রোড, অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টস, জওহরলাল নেহরু রোড, কুইন্স ওয়ে ও স্ট্র্যান্ড রোড ৷ এই সব রাস্তা ও তার সংলগ্ন এলাকাগুলিতে 163 ধারা জারি থাকছে ৷ অর্থাৎ, এই সব রাস্তায় বা এলাকায় জমায়েত করা যাবে না ৷