কলকাতা, 23 এপ্রিল: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বাতিল হয়েছে প্রায় 26 হাজার চাকরি । এর সঙ্গে তাঁদের ফেরত দিতে হবে 12 শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতনও । কিন্তু সমস্যা হল অযোগ্যদের সঙ্গে এই তালিকায় রয়েছেন যোগ্য প্রার্থীরাও । সোমবার আদালতের নির্দেশে চাকরি হারিয়েছেন তাঁরাও । তার প্রতিবাদে মঙ্গলবার কলকাতার শহিদ মিনারে জমায়েত করেন এই চাকরিপ্রার্থীরা । সেখানেই বিভিন্ন জেলা থেকে সদ্য চাকরিহারারা আসেন । সঙ্গে নিয়ে আসেন তাঁদের ওএমআর, অ্যাডমিট কার্ড-সহ বিভিন্ন নিয়োগপত্র, যা একসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টে জমা দেবেন তাঁরা ।
রায়পুর নিরামিসা আদর্শ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা করতেন জয়িতা বসু । এ দিন জমায়েতে এসে তিনি বলেন, "যাদের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে তারা অযোগ্য ৷ আর যাদের টাকা ফেরত দিতে বলা হয়নি তার মানে তারা যোগ্য ? আমাদের সব কিছু রয়েছে । তাহলে কীসের ভিত্তিতে কলকাতা হাইকোর্ট আমাদের বিরুদ্ধে এত বড় রায় দিল । আমরা মরে গিয়ে বেঁচে আছি । যে দল, যে সরকার আমাদের হয়ে আমাদের চাকরিটা বাঁচাবে, আমরা তাদের পক্ষেই থাকব । অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সিবিআই তদন্ত করে বুঝিয়ে দিয়েছিলেন কারা জালিয়াতি করেছে । পরবর্তী তারাই সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল, এর জন্য আমাদের কোনও সমস্যা নেই, তারা অযোগ্য । বাকি এই উনিশ হাজার জন চাকরিপ্রার্থী কী করল? কেন আমরা আজকে পথে এসে বসলাম ?"
অন্যদিকে, এই জমায়েতে সামিল হয়ে সোমা দাস প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন এক চাকরিপ্রার্থী । ডায়মন্ড হারবারে একটি স্কুলে চাকরি করতেন আজহার উদ্দিন হালদার । তিনি বলেন, "বছর বছর সিবিআই এতকিছু করল, কিন্তু তারপর কী হল? অযোগ্যদের বাদ দিলে কেউ আফসোস করতো না ৷ কিন্তু যোগ্যদেরও বাদ দেওয়া হল । মানবিক দিক থেকে সোমা দাস ক্যানসার রোগী ৷ ওঁনার চাকরিটা থাকল । তাতে আমার কোনও সমস্যা নেই, উনি যোগ্য না অযোগ্য তা-ও আমি দেখছি না । কিন্তু আমাদের পরিবারের কী হবে? আমাদের ওপর আমাদের পরিবার ভরসা করে থাকে ।"
আরও পড়ুন: