চন্দননগর, 13 অক্টোবর: উমা ফিরছেন কৈলাসে ৷ তাই বিষাদের সুর বাংলাজুড়ে ৷ তবে এই বিষাদের মধ্যেও আনন্দে উচ্ছ্বাসে মাতলেন চন্দননগরবাসী ৷ কারণ দেবী দুর্গার যাওয়ার সঙ্গেই জগদ্ধাত্রীর আগমন ঘটতে চলেছে এখানে ৷ শুরুটা হল জগদ্ধাত্রীর কাঠামো পুজো দিয়ে ৷
বিজয়া দশমী থেকেই চন্দননগরের বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেল । ইতিমধ্যে হৈমন্তিকার প্রস্তুতিতে লেগে পড়েছে পুজো কমিটিগুলি । কলকাতার দুর্গাপুজোর পরই চন্দননগরের জগদ্ধাত্রীর নাম উঠে আসে । এখানকার চোখ ধাঁধানো আলোসজ্জা,গগনচুম্বী থিম ও সুবিশাল প্রতিমার সুখ্যাতি ছড়িয়ে রয়েছে দেশ বিদেশে ।
জগদ্ধাত্রী পুজোর সময় চন্দননগরের আলোকসজ্জা ও প্রতিমা দেখতে রাস্তায় নামে লক্ষ লক্ষ মানুষ । দুর্গাপুজোর দশমীর দিন থেকেই চন্দননগরের বিভিন্ন মণ্ডপগুলিতে শুরু হল জগদ্ধাত্রীর কাঠামো পুজো । এর মধ্যে দিয়েই আনুষ্ঠানিকভাবে আবাহন হল জগদ্ধাত্রী পুজোর । দুর্গাপুজোর এক মাস পরে হয় জগদ্ধাত্রী পুজো ।
চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরে প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে একটি হল গৌরহাটি তেঁতুলতলা বারোয়ারি ৷ এ বছর 232তম বর্ষে তাদের পুজো । দশমীর দিন নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে কাঠামো পুজো হল সেখানে । কাঠামো পুজোর পর থেকেই চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী মূর্তি গড়ার কাজ শুরু হয় । এবারও তার অন্যথা হবে না বলে জানিয়েছেন পুজো কমিটির সদস্যরা ৷ তেঁতুলতলা বারোয়ারি পুজো কমিটির সজস্য শ্রীকান্ত মণ্ডল বলেন, "দুর্গাপুজোর দশমীর দিন তেঁতুলতলা বারোয়ারির কাঠামো পুজো শুরু হয় । আজকের পর থেকেই প্রতিমা তৈরির কাজ শুরু হবে । বহু ভক্ত কাঠামো পুজো দিতে আসেন ।"
চন্দননগরে বড়বাজার, উত্তরাঞ্চল বিবিরহাট জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি-সহ একাধিক পুজো কমিটির তরফেও এ দিন কাঠামো পুজো হয় । চন্দননগরের এক পুজো উদ্যোক্তা স্বর্ণেন্দু সামন্ত বলেন, "সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি জগদ্ধাত্রী পুজোর জন্য । কারণ মাকে নিয়ে আমাদের অনেক আবেগ থাকে । প্যান্ডেল থেকে পুজো কীভাবে হবে, তা নিয়েই আমরা অনেক পরিকল্পনা করি । দুর্গাপুজো হলেও জগদ্ধাত্রী পুজোয় আমাদের কাছে সবথেকে বড় উৎসব ।"