কলকাতা, 3 এপ্রিল: আবারও বামেদের উপর চাপ বাড়িয়ে দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে চলেছে আইএসএফ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ফুরফরা শরীফ থেকেই দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হতে পারে ৷ শুধু তাই নয়, ডায়মন্ড হারবার, যাদবপুর, উলুবেড়িয়া-সহ একাধিক আসনে প্রার্থী ঘোষণা হতে পারে এই দিন ৷
আইএসএফ সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক বলেন, "আমরা বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সময় ও বাকি বিষয় পরে জানানো হবে।" তবে, সূত্রের খবর, ডায়মন্ড হারবারে নওশাদ সিদ্দিকীকে প্রার্থী করা হচ্ছে না। বরং, স্থানীয় এক আইএসএফ নেতাকেই প্রার্থী করা হতে পারে। অন্যদিকে, যাদবপুর লোকসভায় প্রার্থী হতে পারেন এক প্রাক্তন বাম ছাত্রনেতা।
একইভাবে উলুবেরিয়ায় লোকসভা আসনে প্রার্থী হতে পারেন এক অধ্যাপক। তিনি দীর্ঘদিন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সূত্রের আরও দাবি, এই তিন কেন্দ্র ছাড়াও বসিরহাট-সহ আরও কয়েকটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে। সবমিলিয়ে যা পরিস্থিতি বামেদের সঙ্গে আইএসএফের জোট হচ্ছে না। রাজ্য সভাপতি সামসুর আলি মল্লিক বলেন, "জোট নিয়ে আশার আলো আর দেখতে পাচ্ছি না। জোটের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ!"
একইভাবে 'ডায়মন্ড হারবার' লোকসভা আসনে নওশাদ সিদ্দিকীর প্রার্থী না হওয়ার বিষয়ে আইএসএফ নেতার দাবি, "আমরা মানছি, নওশাদ বলেছিলেন ডায়মন্ড হারবারে প্রার্থী হবেন। কিন্তু, আমাদের সেখানে কোনও সংগঠন নেই। আমরা বামফ্রন্টের কাছে ওই আসন দাবিও করেনি। তাহলে, কেন দলের একমাত্র মুখকে জেনে বুঝে 'গর্তে' ফেলে দেওয়া হবে ?"
আবার এটাও ঠিক, বাম-কংগ্রেস যে কোনও আসনে নওশাদকে সমর্থন করবে বলেছে। তৎক্ষণাৎ, ওই নেতার বক্তব্য, "ওইখানে বাম-কংগ্রেসের আর কী অস্তিত্ব আছে? নওশাদ বলে ফেলেছে বলেই তো এখন ঘুরপথে চাপ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে।" তাহলে, জোট হোক বা না হোক নওশাদ ডায়মন্ড হারবারে প্রাথী হচ্ছেন না? সঙ্গে সঙ্গে ওই আইএসএফ নেতা বলেন, " এতক্ষণ যা বললাম তাতে বুঝে নিন।" এর আগে, সিপিএমের প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশের প্রায় 1 ঘণ্টা আগে 8টি আসনে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছিল আইএসএফ। পরে 8টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে আইএসএফ। তালিকায় রয়েছেন-
মালদা উত্তর - মহঃ সোহরাব
জয়নগর - মেঘনাদ হালদার
মুর্শিদাবাদ - হাবিব সেখ
বারাসত - তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়
বসিরহাট - মহঃ সইদুল ইসলাম মোল্লা
মথুরাপুর - অজয় কুমার দাস
শ্রীরামপুর - সাহরিয়ার মল্লিক
ঝাড়গ্রাম - বাপি সোরেন
সূত্রের দাবি, গত সোমবার আসন রফা নিয়ে সিপিএম-আইএসএফের শেষবার আলোচনা হয়। পারস্পরিক বোঝাপড়া হলেও আইএসএফ কয়েকটি আসনে 'বন্ধুত্বপূর্ণ' লড়াইয়ের বার্তা দেয়। কিন্তু, উলটো দিক থেকে অর্থাৎ, সিপিএমের এক নেতা তাতে সম্মতি জানায়নি বলেই দাবি আইএসএফ নেতার।
আরও পড়ুন:
1. অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়-সহ 4 বিজেপি নেতার নিরাপত্তার মেয়াদ বাড়াল কেন্দ্র
2. ‘সুকান্ত যেন না জানে’, কল্যাণ-কবীরের ‘ফোনালাপে’ শোরগোল শ্রীরামপুরে
3. 'বাংলায় যাঁরা সিপিএম করেন, তাঁদের চিনে যাওয়া উচিত', নিদান দিয়ে বিতর্কে বিজেপি প্রার্থী স্বপন