ETV Bharat / state

ট্যাব কেলেঙ্কারির পিছনে কি ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ? প্রশ্ন তুলছেন স্কুলের ক্লার্করা

তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ট্যাব কেনার টাকা নিয়ে কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে ৷ একজনের টাকা অন্যজনের অ্যাকাউন্টে কীভাবে গেল, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও খুঁজছেন তদন্তকারীরা ৷

TAB SCAM
ট্যাব কেলেঙ্কারির পিছনে কি ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ? প্রশ্ন তুলছেন স্কুলের ক্লার্করা (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 3 hours ago

মালদা, 21 নভেম্বর: তবে কি পড়ুয়াদের ট্যাব কেলেঙ্কারির পিছনে রয়েছে ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ? এই সন্দেহ দানা বেঁধেছে মালদা জেলার স্কুলগুলিতে কর্মরত ক্লার্কদের মনে ৷ তাঁরা বিষয়টি জেলা শিক্ষা দফতরকেও জানিয়েছেন ৷ তদন্তে বিষয়টি মাথায় রেখেছে জেলা পুলিশ ৷

এক পড়ুয়ার সরকারি ট্যাবের টাকা জমা পড়েছে অন্যের অ্যাকাউন্টে ৷ শুধু রাজ্যে নয়, ভিনরাজ্যের অনেক অ্যাকাউন্টেও সেই টাকা জমা পড়েছে ৷ ইতিমধ্যে সরকারের তরফে সেই টাকা পড়ুয়াদের ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে ৷ কিন্তু কীভাবে এক জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে জমা পড়ল, তা নিয়েই শোরগোল পড়েছে ৷

মালদা জেলার 191 জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকাও অন্য অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল৷ সেই ঘটনার তদন্তে নেমে জেলা পুলিশ এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ৷ তাদের জেরা করে এই কেলেঙ্কারির শিকড়ে পৌঁছোতে চাইছে পুলিশ ৷

এরই মধ্যে স্কুলে কর্মরত ক্লার্কদের মনে একটি সন্দেহ দানা বাঁধে ৷ তা হল, ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের তথ্য পোর্টালে আপলোড করার আগে জেলা শিক্ষা দফতরের তরফে তাঁদের সঙ্গে একাধিকবার ভিডিয়ো কনফারেন্স করা হয় ৷ সেখানে দফতরের তরফে জানানো পদ্ধতি অনুযায়ী পড়ুয়াদের যাবতীয় নথি তাঁরা যাচাই করেছিলেন ৷

কিন্তু তখনই পোর্টালে সমস্যা দেখা দেয় ৷ তাঁরা বাংলার শিক্ষা পোর্টালের জন্য যে পাসওয়ার্ড প্রস্তুত করেছিলেন, তা ব্যবহার করে পোর্টালে লগ ইন করা যাচ্ছিল না ৷ তাঁরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান ৷ তখন তাঁদের একটি ডিফল্ট পাসওয়ার্ড দেওয়া হয় ৷ একই পাসওয়ার্ড সমস্ত স্কুলকে দেওয়া হয়েছিল ৷ পরে অবশ্য তাঁরা নিজেদের নতুন পাসওয়ার্ড তৈরি করে নেন ৷

এখানেই প্রশ্ন৷ জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলার শিক্ষা পোর্টালে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের তথ্য আপলোড করার জন্য প্রতিটি স্কুলকে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছিল ৷ এই ইউজার আইডি ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন কোড (ডিআইএসই) হিসাবে পরিচিত ৷ ইন্টারনেট সার্চ করলে যেকোনও স্কুলের ডিআইএসই কোড যে কেউ জানতে পারেন ৷ যে সময় ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে পোর্টালে লগ ইন করতে হচ্ছিল, তখনই কেলেঙ্কারির সূত্রপাত নয়তো ? কারণ, এই ঘটনা ঘটেছিল যখন পোর্টালে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের সমস্ত তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শেষের দিকে ৷ এই নিয়েই ক্লার্কদের মনে সন্দেহ দানা বেঁধেছে ৷

ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল অ্যান্ড মাদ্রাসা ক্লার্কস অ্যাসোসিয়েশনের মালদা জেলা সম্পাদক কালীশংকর দাসের কথায়, “অগস্টের শেষদিকে এই সমস্যা দেখা দিয়েছিল ৷ দেখা যায়, আমাদের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বাংলার শিক্ষা পোর্টালে ঢোকা যাচ্ছে না ৷ আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে আমাদের একটি ডিফল্ট পাসওয়ার্ড দেওয়া হয় ৷ সেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেই আমরা ক’দিন পোর্টালে কাজ করেছি ৷ আমাদের আশঙ্কা, এর সুযোগ নিয়েই তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের তথ্য পালটে দেওয়া হয়েছে ৷ তদন্তের সময় এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন ৷”

পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে৷ তদন্তে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ এই মুহূর্তে এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয় ৷”

মালদা, 21 নভেম্বর: তবে কি পড়ুয়াদের ট্যাব কেলেঙ্কারির পিছনে রয়েছে ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ? এই সন্দেহ দানা বেঁধেছে মালদা জেলার স্কুলগুলিতে কর্মরত ক্লার্কদের মনে ৷ তাঁরা বিষয়টি জেলা শিক্ষা দফতরকেও জানিয়েছেন ৷ তদন্তে বিষয়টি মাথায় রেখেছে জেলা পুলিশ ৷

এক পড়ুয়ার সরকারি ট্যাবের টাকা জমা পড়েছে অন্যের অ্যাকাউন্টে ৷ শুধু রাজ্যে নয়, ভিনরাজ্যের অনেক অ্যাকাউন্টেও সেই টাকা জমা পড়েছে ৷ ইতিমধ্যে সরকারের তরফে সেই টাকা পড়ুয়াদের ফেরত দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে ৷ কিন্তু কীভাবে এক জনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে জমা পড়ল, তা নিয়েই শোরগোল পড়েছে ৷

মালদা জেলার 191 জন পড়ুয়ার ট্যাবের টাকাও অন্য অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছিল৷ সেই ঘটনার তদন্তে নেমে জেলা পুলিশ এখনও পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ৷ তাদের জেরা করে এই কেলেঙ্কারির শিকড়ে পৌঁছোতে চাইছে পুলিশ ৷

এরই মধ্যে স্কুলে কর্মরত ক্লার্কদের মনে একটি সন্দেহ দানা বাঁধে ৷ তা হল, ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের তথ্য পোর্টালে আপলোড করার আগে জেলা শিক্ষা দফতরের তরফে তাঁদের সঙ্গে একাধিকবার ভিডিয়ো কনফারেন্স করা হয় ৷ সেখানে দফতরের তরফে জানানো পদ্ধতি অনুযায়ী পড়ুয়াদের যাবতীয় নথি তাঁরা যাচাই করেছিলেন ৷

কিন্তু তখনই পোর্টালে সমস্যা দেখা দেয় ৷ তাঁরা বাংলার শিক্ষা পোর্টালের জন্য যে পাসওয়ার্ড প্রস্তুত করেছিলেন, তা ব্যবহার করে পোর্টালে লগ ইন করা যাচ্ছিল না ৷ তাঁরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানান ৷ তখন তাঁদের একটি ডিফল্ট পাসওয়ার্ড দেওয়া হয় ৷ একই পাসওয়ার্ড সমস্ত স্কুলকে দেওয়া হয়েছিল ৷ পরে অবশ্য তাঁরা নিজেদের নতুন পাসওয়ার্ড তৈরি করে নেন ৷

এখানেই প্রশ্ন৷ জেলা শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাংলার শিক্ষা পোর্টালে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের তথ্য আপলোড করার জন্য প্রতিটি স্কুলকে ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছিল ৷ এই ইউজার আইডি ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন কোড (ডিআইএসই) হিসাবে পরিচিত ৷ ইন্টারনেট সার্চ করলে যেকোনও স্কুলের ডিআইএসই কোড যে কেউ জানতে পারেন ৷ যে সময় ডিফল্ট পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে পোর্টালে লগ ইন করতে হচ্ছিল, তখনই কেলেঙ্কারির সূত্রপাত নয়তো ? কারণ, এই ঘটনা ঘটেছিল যখন পোর্টালে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের সমস্ত তথ্য যাচাইয়ের প্রক্রিয়া শেষের দিকে ৷ এই নিয়েই ক্লার্কদের মনে সন্দেহ দানা বেঁধেছে ৷

ওয়েস্ট বেঙ্গল স্কুল অ্যান্ড মাদ্রাসা ক্লার্কস অ্যাসোসিয়েশনের মালদা জেলা সম্পাদক কালীশংকর দাসের কথায়, “অগস্টের শেষদিকে এই সমস্যা দেখা দিয়েছিল ৷ দেখা যায়, আমাদের পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে বাংলার শিক্ষা পোর্টালে ঢোকা যাচ্ছে না ৷ আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে আমাদের একটি ডিফল্ট পাসওয়ার্ড দেওয়া হয় ৷ সেই পাসওয়ার্ড ব্যবহার করেই আমরা ক’দিন পোর্টালে কাজ করেছি ৷ আমাদের আশঙ্কা, এর সুযোগ নিয়েই তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের তথ্য পালটে দেওয়া হয়েছে ৷ তদন্তের সময় এই বিষয়টিও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন ৷”

পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে৷ তদন্তে সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ এই মুহূর্তে এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয় ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.