দাসপুর, 23 জুলাই: দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে প্রায়শই পুলিশ আধিকারিক-কর্মীদের ঘুম উড়ে যাওয়ার কথা শোনা যায় ৷ কিন্তু সাপের আতঙ্কে পুরো থানায় থরহরিকম্প হওয়ার ঘটনা বোধহয় আগে কখনও হয়নি ! অন্তত পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দারা তো এমন ঘটনা শুনেছেন বলে মনে করতে পারছেন না ৷ ফলে দাসপুর থানা থেকে বিষধর ইন্ডিয়ান কোবরা উদ্ধার হতেই এই নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে ৷
এই নিয়ে পুলিশকর্মীরা অবশ্য কেউ কোনও কথা বলেননি ৷ তবে এলাকার কয়েকজনের দাবি, থানার আশপাশে ইদানীং বিষধর সাপ দেখা যাচ্ছে ৷ এই বিষয়ে থানা কর্তৃপক্ষের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ৷
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার থানার পিছনের দিকের একটি ঘরের দরজায় সাপ দেখতে পান এক কর্মী ৷ তার পরই থানায় হুলস্থুল পড়ে যায় ৷ খবর দেওয়া হয় বন দফতরে । দাসপুর সুলতান নগর বিটের এক কর্মী থানায় যান এবং বিষধর সাপটি উদ্ধার করেন ।
থানার মধ্যে সাপ কিভাবে এল ? সাপ উদ্ধার করতে আসা বন দফতরের ওই কর্মী জানিয়েছেন, থানার পাশেই বহু বছর ধরে পড়ে রয়েছে একাধিক গাছের গুড়ি । যা প্রায় নষ্ট হওয়ার পথে ৷ আর তার মধ্যেই বাসা বাঁধছে এই বিষধর সাপ ৷ একটিকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও একাধিক সাপ রয়েছে ৷
এই কথা শুনে ইতিমধ্যেই ঘুম উড়েছে থানায় কর্তব্যরত কর্মীদের । প্রত্যেকেই চাইছেন গাছের গুড়ি যেন অবিলম্বে সরানো হয় । এই বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী গৌতম দত্ত বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন ধরে এখানে ব্যবসা করছি ৷ কিন্তু এত সাপের উপদ্রব আগে কখনো চোখে পড়েনি । বছর তিন-চারেক ধরে কাঠের গুড়ি পড়ে রয়েছে এই থানার যত্রতত্র । তার উপর বৃষ্টি পড়ছে ৷ বাড়ছে ঘন জঙ্গল । যার ফলে বিষধর সাপের আনাগোনা লেগেই থাকে । এই নিয়ে পুলিশকে আরও সচেতন হওয়া উচিত ।’’
স্থানীয় বাসিন্দা শেখ মহম্মদ শরিফ বলেন, ‘‘এর আগেও অনেক সাপ বেরোতে দেখেছি । প্রতিদিনই বিষধর সাপ বেরোতে দেখা যায় এই থানা চত্বরে । এ বিষয়ে প্রশাসন আধিকারিকদের ভূমিকা নেওয়া উচিত বলে মনে করি ।’’