ETV Bharat / state

ভারত-ভুটানের মধ্যে রেলপথ, ব্যয় হবে 3 হাজার কোটি টাকা - Indo Bhutan Rail Line

Indo-Bhutan Railway Track: ভারত ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সুগম করতে চালু হতে চলেছে রেলপথ ৷ 3 হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে এই রেলপথ ৷ ভারতের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফু পর্যন্ত বিস্তৃত হবে এই রেলপথ ৷

Indo-Bhutan Railway Track
ভারত ও ভুটানের মধ্যে রেলপথ তৈরি হবে (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 13, 2024, 9:19 PM IST

জলপাইগুড়ি, 13 জুলাই: আরও সহজ পড়শি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ৷ ভুটানের সঙ্গে রেলপথে জুড়তে চলেছে ভারত ৷ 3 হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে রেলপথ । এটাই হবে ভারত-ভুটানের মধ্যে প্রথম ক্রস বর্ডার রেললাইন লিঙ্ক ।

তৈরি হচ্ছে রেলপথ (ইটিভি ভারত)

ভারতের তরফে দুই দেশের মধ্যে প্রথম ক্রস বর্ডার রেল লাইন লিঙ্কের ফাইনালাইস লোকেশান সার্ভে (এফএলএস) প্রায় শেষের পথে । খুব তাড়াতাড়ি রেললাইনের কাজ শুরু হবে ৷ এমনটাই জানালেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব । চলতি বছরের মার্চ মাসে ভুটান সফরে গিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেসময় মোদি ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের মধ্যে এই রেলপথ নিয়ে আলোচনা হয় ৷ তারপর দু'দেশের মধ্যে এই রেললাইন নিয়ে মৌস্বাক্ষরও হয়েছিল ।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব বলেন, "ভারত-ভুটানের মধ্যে প্রথম ক্রস বর্ডার রেললাইন লিঙ্ক হবে । ভারতের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফু পর্যন্ত 70 কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এই রেলপথ । উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ফাইনাল লোকেশাসন সার্ভে (এফএলএস) করা হচ্ছে । 3 হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হবে এটা । সার্ভে শেষ হওয়ার পর রেললাইনের জন্য টাকা কারা দেবে সেই আলোচনা হবে । দুই দেশের বিষয় । আসা করছি ভারতই পুরো টাকা ব্যয় করে রেললাইন বানাবে ।"

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, 1965 সাল থেকে বন্ধ ছিল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেললাইন ৷ এটি ফের 2020 চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । বর্তমানে এই রুটে মিতালি এক্সপ্রেস চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি মালগাড়িও চলছে । বাংলাদেশের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য করার জন্য ভারতের এই রেলপথ বর্তমানে ভুটান ব্যবহার করছে ।

পড়শি দেশের সঙ্গে কোকরাঝাড় রেলপথ চালু হয়ে গেলে ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি পরবর্তীতে বাণিজ্য করা যাবে । এতে তিন দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বিস্তার ঘটবে । এতদিন ভুটানের বালি পাথর সড়কপথে ভারতের ডামডিম থেকে বাংলাদেশে যেত । তবে রেলপথ হয়ে গেলে সেটা সরাসরি ভুটান থেকে ভারতে আসবে ৷ ফলে বাণিজ্যে আরও সুবিধা হবে ।

2017 সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক-এর সঙ্গে বৈঠকে এই রেললাইন নিয়ে আলোচনা হয় । এই রেললাইনের 70 কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ভুটানের ভেতরে 58 কিলোমিটার রেলপথ বিছানোর পরিকল্পনা রয়েছে । উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের সারপাং-এর গেলেফু পর্যন্ত এই রেলপথ পাতা হবে ।

ভুটানের সারপাং জেলার গেলেফুকে ভুটানের বৃহত্তম ইকোনমিক জোন হিসেবে ধরা হয় । এই রেলপথ তৈরি হলে ভুটানের আর্থ সামাজিক মান আরও উন্নত হবে ৷ ভারত ও ভুটানের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি বাড়বে । পর্যটন মানচিত্রে বিরাট জায়গা করে নেবে এই রেলপথ । শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় রেললাইন হিসেবে ভুটানের সামসি জেলা থেকে ভারতের সীমান্ত চা বাগানের মধ্যে দিয়ে কোকরাঝাড় রেলপথ বানারহাট রেললাইনে মিশবে ।

জলপাইগুড়ি ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক অভ্র বসুর কথায়,"কোকরাঝাড় থেকে গেলেফু পর্যন্ত রেলপথ হচ্ছে ৷ পাশাপাশি ভুটানের সামসি থেকে একটি রেলপথ চামুর্চি হয়ে কয়েকটি চা বাগানের মধ্যে দিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটের সঙ্গে যুক্ত হবে । তাতে করে ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য ভালো হবে । এখন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে রেলপথ চালু হয়েছে । মালগাড়ি যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে । ভারত ভুটানের মধ্যে রেলপথ চালু হলে আমাদের পর্যটন থেকে বৈদেশিক বাণিজ্য ভালো হবে । মালগাড়ি আগে চালু হবে পরবর্তীতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে । এতে উত্তরবঙ্গের মানুষের লাভ হবে ।"

জলপাইগুড়ি, 13 জুলাই: আরও সহজ পড়শি দেশের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থা ৷ ভুটানের সঙ্গে রেলপথে জুড়তে চলেছে ভারত ৷ 3 হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে রেলপথ । এটাই হবে ভারত-ভুটানের মধ্যে প্রথম ক্রস বর্ডার রেললাইন লিঙ্ক ।

তৈরি হচ্ছে রেলপথ (ইটিভি ভারত)

ভারতের তরফে দুই দেশের মধ্যে প্রথম ক্রস বর্ডার রেল লাইন লিঙ্কের ফাইনালাইস লোকেশান সার্ভে (এফএলএস) প্রায় শেষের পথে । খুব তাড়াতাড়ি রেললাইনের কাজ শুরু হবে ৷ এমনটাই জানালেন উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব । চলতি বছরের মার্চ মাসে ভুটান সফরে গিয়েছিলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৷ সেসময় মোদি ও ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগের মধ্যে এই রেলপথ নিয়ে আলোচনা হয় ৷ তারপর দু'দেশের মধ্যে এই রেললাইন নিয়ে মৌস্বাক্ষরও হয়েছিল ।

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের জেনারেল ম্যানেজার চেতন কুমার শ্রীবাস্তব বলেন, "ভারত-ভুটানের মধ্যে প্রথম ক্রস বর্ডার রেললাইন লিঙ্ক হবে । ভারতের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের গেলেফু পর্যন্ত 70 কিলোমিটার দীর্ঘ হবে এই রেলপথ । উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই ফাইনাল লোকেশাসন সার্ভে (এফএলএস) করা হচ্ছে । 3 হাজার কোটি টাকার প্রকল্প হবে এটা । সার্ভে শেষ হওয়ার পর রেললাইনের জন্য টাকা কারা দেবে সেই আলোচনা হবে । দুই দেশের বিষয় । আসা করছি ভারতই পুরো টাকা ব্যয় করে রেললাইন বানাবে ।"

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, 1965 সাল থেকে বন্ধ ছিল ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেললাইন ৷ এটি ফের 2020 চালু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার । বর্তমানে এই রুটে মিতালি এক্সপ্রেস চালানো হচ্ছে। পাশাপাশি মালগাড়িও চলছে । বাংলাদেশের সঙ্গে বৈদেশিক বাণিজ্য করার জন্য ভারতের এই রেলপথ বর্তমানে ভুটান ব্যবহার করছে ।

পড়শি দেশের সঙ্গে কোকরাঝাড় রেলপথ চালু হয়ে গেলে ভুটান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সরাসরি পরবর্তীতে বাণিজ্য করা যাবে । এতে তিন দেশের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের বিস্তার ঘটবে । এতদিন ভুটানের বালি পাথর সড়কপথে ভারতের ডামডিম থেকে বাংলাদেশে যেত । তবে রেলপথ হয়ে গেলে সেটা সরাসরি ভুটান থেকে ভারতে আসবে ৷ ফলে বাণিজ্যে আরও সুবিধা হবে ।

2017 সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভুটানের রাজা জিগমে খেসার নামগেল ওয়াংচুক-এর সঙ্গে বৈঠকে এই রেললাইন নিয়ে আলোচনা হয় । এই রেললাইনের 70 কিলোমিটার রেলপথের মধ্যে ভুটানের ভেতরে 58 কিলোমিটার রেলপথ বিছানোর পরিকল্পনা রয়েছে । উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কোকরাঝাড় থেকে ভুটানের সারপাং-এর গেলেফু পর্যন্ত এই রেলপথ পাতা হবে ।

ভুটানের সারপাং জেলার গেলেফুকে ভুটানের বৃহত্তম ইকোনমিক জোন হিসেবে ধরা হয় । এই রেলপথ তৈরি হলে ভুটানের আর্থ সামাজিক মান আরও উন্নত হবে ৷ ভারত ও ভুটানের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি বাড়বে । পর্যটন মানচিত্রে বিরাট জায়গা করে নেবে এই রেলপথ । শুধু তাই নয়, দ্বিতীয় রেললাইন হিসেবে ভুটানের সামসি জেলা থেকে ভারতের সীমান্ত চা বাগানের মধ্যে দিয়ে কোকরাঝাড় রেলপথ বানারহাট রেললাইনে মিশবে ।

জলপাইগুড়ি ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অব কমার্সের সম্পাদক অভ্র বসুর কথায়,"কোকরাঝাড় থেকে গেলেফু পর্যন্ত রেলপথ হচ্ছে ৷ পাশাপাশি ভুটানের সামসি থেকে একটি রেলপথ চামুর্চি হয়ে কয়েকটি চা বাগানের মধ্যে দিয়ে জলপাইগুড়ি জেলার বানারহাটের সঙ্গে যুক্ত হবে । তাতে করে ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্য ভালো হবে । এখন ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রুটে রেলপথ চালু হয়েছে । মালগাড়ি যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে । ভারত ভুটানের মধ্যে রেলপথ চালু হলে আমাদের পর্যটন থেকে বৈদেশিক বাণিজ্য ভালো হবে । মালগাড়ি আগে চালু হবে পরবর্তীতে যাত্রীবাহী ট্রেন চলবে । এতে উত্তরবঙ্গের মানুষের লাভ হবে ।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.