দার্জিলিং, 8 অগস্ট: করোনার পর খুলল ইন্দো-নেপাল সীমান্ত ৷ দীর্ঘ 4 বছর পর বিদেশি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হল ইন্দো-নেপাল সীমান্ত। বুধবার থেকেই ওই সীমান্ত দিয়ে বিদেশি পর্যটকরা যাতায়াতের ছাড়পত্র পেয়েছে ৷ এর ফলে বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভারত হয়ে নেপালে যাতায়াতের জন্য কোনও সমস্যা থাকল না। নিয়ম মেনে যাতায়াত করার অনুমোদন দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ৷ 4 বছর পর ইন্দো-নেপাল সীমান্ত খুলে দেওয়া খুশি পর্যটনমহল থেকে ব্যবসায়ী সকলেই ৷
বিদেশি পর্যটকদের জন্য ওই সীমান্ত খুলে দেওয়ায় কোভিডের পর মুখ থুবড়ে পরা একবার দুই দেশের পর্যটন শিল্প ফের ছন্দে ফিরবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা ৷ পানিট্যাঙ্কি ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি বিধুভূষণ বর্মন বলেন, "কোভিডের পর থেকে পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত বন্ধ ছিল ৷ ফলে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল ব্যবসায়ীদের ৷ বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে তাঁরা । কারণ এ দিক দিয়ে বিদেশি নাগরিকদের যাতায়ার বন্ধ হয়ে যায়। নিষেধাজ্ঞা ওঠার ফলে পুরানো গৌরব ফিরে আসবে এবং সীমান্ত ব্যবসায় তার প্রভাব পড়বে।"
তাঁর কথার রেশ টেনেই পর্যটন ব্যবসায়ী সম্রাট সান্যাল বলেন, "পর্যটন শিল্পের জন্য ভালো খবর। বিদেশী পর্যটকরা ভারত, নেপাল, সিকিম ও ভুটান ঘুরতে এসে সীমান্ত বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়ত, তা এখন আর থাকবে না। এর মাধ্যমে ভারত ও নেপাল দু'দেশের পর্যটন শিল্পের নতুন জোয়ার আসবে। এটা দু'দেশের জন্য ভালো খবর।"
প্রসঙ্গত, করোনাকালে অর্থাৎ 2020 সালের 21 মার্চ থেকে পানিট্যাঙ্কি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। প্রথম দিকে ভারত থেকে ট্রাক যাওয়ার অনুমতি থাকলেও 8 এপ্রিল থেকে সীমান্ত দিয়ে সবরকম যাতায়াত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। 2021 সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে এই সীমান্ত দিয়ে শুধু মাত্র ভারত ও নেপালের নাগরিকদের পারাপারের অনুমতি দেওয়া হয়। সঙ্গে করোনার আরটিপিসিআর পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট দিতে হত।
পানিট্যাঙ্কি সীমান্তের ইমিগ্রেশন চেক পোস্টের আধিকারিক যোগেশ ঠাকুরি বলেন, "আগে নেপাল ও ভারতের নাগরিকরা পরিচয় পত্র দেখিয়ে পারাপার করতে পারত। এখন সমস্ত বিদেশি পর্যটকরাও ইমিগ্রেশন চেকের মাধ্যমে সীমান্ত পারাপার করতে পারবেন।"