সিঙ্গুর, 16 মার্চ: "আপনারা বলেছেন হুগলিতে কারখানা হয়নি। কিন্তু আমি তো দেখলাম এত কারখানা হয়েছে, ধোঁয়ায়, অন্ধকার হয়ে গিয়েছে রাস্তা ঘাট।" প্রচারে গিয়ে এমনচাই দাবি করলেন তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ অন্যদিকে, রচনাকে জয়ী করলে রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে উপরে থাকবে হুগলি, এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী। শনিবার সিঙ্গুরে ডাকাত কালীবাড়ি পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অন্যতম পছন্দের প্রার্থী তিনি। তৃণমূলের তারকা প্রার্থীকে দেখার জন্য এদিন মানুষের ভিড় জমে ডাকাত কালীমন্দির চত্বরে।
ওইদিন শঙ্খ ধ্বনি, ঢাকের বাজনায় স্বাগত জানান হয় তাঁকে। ডাকাত কালীমন্দির থেকে বেরিয়ে পায়ে হেঁটে রতনপুর লোহা পট্টিতে যান রচনা। পথে নিজের নামে লেখা দেওয়ালে তুলিও ধরেন তিনি। হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে সাতটি বিধানসভা সিঙ্গুর, ধনিয়াখালি, চন্দননগর, চুঁচুড়া, সপ্তগ্রাম, বলাগড় ও পান্ডুয়া। বিধানসভার বিধায়করা এবং তৃণমূল নেতৃত্ব প্রার্থীকে নিয়ে বৈঠকে বসেন। কীভাবে প্রচার, নতুন কী কৌশল, কবে থেকে রোড শো, এমন নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য হুগলি লোকসভার তৃণমূল নেতৃত্বের এই বৈঠক বলে জানা গিয়েছে। নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকের পর লোহা পট্টিতে একটি কর্মী সভা করে ধনিয়াখালি বিধানসভা কেন্দ্রে যান রচনা। সেখান থেকে চুঁচুড়া গিয়ে তালডাঙ্গায় রাজরাজেশ্বরী মন্দিরে পুজো করেন তৃণমূলের প্রার্থী ৷
এদিনই সাংগঠনিক সভা শেষে করে সাংবাদিক বৈঠক করে রচনা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী আমাকে হুগলি লোকসভার প্রার্থী করেছেন। যেখান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আন্দোলন করে লড়াই শুরু করেছিলেন, সেই সিঙ্গুর থেকে লড়াই শুরু করলাম। জেতার ব্যাপারে 100 শতাংশ আশাবাদী আমি। হুগলির মানুষ আমাকে নির্বাচন করে আগামী পাঁচ বছরে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় কী কাজ করেছে দেখে নেবেন। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী (লকেট চট্টোপাধ্যায়) আমার থেকে অনেক সিনিয়ার। রাজনীতি বেশি বোঝেন হয়ত, তিনি অনেক কাজও করেছেন।"
সিঙ্গুরের শিল্পের প্রসঙ্গ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তৃণমূল প্রার্থী বলেন, "আমি যখন রাস্তা দিয়ে এলাম তখন দেখলাম অনেক কারখানা হয়েছে। চিমনি দিয়ে এত ধোঁয়ায় বেরোচ্ছে রাস্তা অন্ধকার হয়ে গিয়েছে। এতো কারখানা হয়েছে, তাও কী করে বলছেন কারখানা হয়নি ? দিদি যখন আছে আরও কারখানা হবে। আমি এটা বলব পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্রে হুগলি জেলা সবচেয়ে উপরে থাকবে সেটা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় নিশ্চিতভাবে চেষ্টা করবে। সেই চেষ্টার সঙ্গে সকলকে থাকতে হবে। একা তো লড়াই করা যায় না।"
আরও পড়ুন
ইভিএম থেকে বিদ্বেষমূলক প্রচার, কবিতা পাঠ করে কড়া বার্তা রাজীব কুমারের
হিংসা ঠেকাতে লোকসভা ভোটে রাজ্যে 250 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী