কলকাতা, 7 মার্চ: প্রথমে শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন ৷ তারপর 100 ডায়াল করে পুলিশে ফোন করে আত্মসমর্পন করল স্বামী ৷ পুলিশ না আসা পর্যন্ত মৃত স্ত্রী-র পাশেই ছিল অভিযুক্ত ৷ বৃহস্পতিবার বেহালার ঘটনা ৷ মৃতের নাম কৃষ্ণা দাস (27) ৷ পুলিশ এসে অভিযুক্ত স্বামী কার্তিক দাসকে গ্রেফতার করেছে ৷
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা । পুলিশ সূত্রে খবর, বেহালার 121 নম্বর ওয়ার্ডের নেতাজি সড়ক সুকান্ত পল্লিতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতেন ৷ পেশায় মুরগি ব্যবসায়ী কার্তিক দাস । তাঁদের 5 বছরের এক কন্যা ও 12 বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে ৷ খুনের কারণ জানতে প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করার কাজ চলছে ৷
পুলিশি জেরায় ধৃত ব্যক্তি জানায়, অভিযুক্ত নিজেই পুলিশকে জানিয়েছে বুধবার রাত্রিবেলা শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে খুন করেছে ৷ তারপর 100 ডায়াল করে নিজেই পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে । ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশের হোমিসাইড বিভাগ। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর গোটা বিষয়টা আরও স্পষ্ট হবে।
এই বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, "পুলিশ কার্তিকের বয়ান নথিভুক্ত করার পর তাঁকে থানায় নিয়ে গিয়েছে ।" পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । ওই দম্পতির আত্মীয়দের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা চলছে। কেন স্ত্রীকে খুন করলেন কার্তিক, তাঁদের মধ্যে কোনও অশান্তি চলছিল কি না, এই সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে । প্রতিবেশীদের দাবি, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে নিত্যদিন ঝুটঝামেলা লেগেই থাকত বলে এলাকার বাসিন্দারা জানায়।
8 মার্চ আর্ন্তর্জাতিক নারী দিবস ৷ তার আগেই খাস কলকাতায় গার্হস্থ্য হিংসার বলি গৃহবধূ ৷ যা প্রশ্ন তুলেছে নারীর নিরাপত্তা নিয়েই । নারী দিবস নিয়ে যতই প্রচার হোক, কিংবা প্রধানমন্ত্রী নারী শক্তি নিয়ে যতই ভাষণ দিক । পরিস্থিতির যে খুব বদল হয়নি তার প্রধান এই ধরণের ঘটনা ।
আরও পড়ুন: