কলকাতা, 29 নভেম্বর: অবশেষে শোকজের জবাব দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর । সেই চিঠিতে নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেও একইদিনে তাঁর গলায় ফের শোনা গিয়েছে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগের সুর ৷
দলের নেতাদের বিরুদ্ধে মুখ খোলার জন্য বুধবার তাঁকে শোকজের চিঠি ধরানো হয়েছিল । বলা হয়েছিল, তিনদিনের মধ্যে তাঁকে জবাব দিতে হবে । গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনিও তাঁকে আগে শোকজের জবাব দিতে বলেছিলেন । একইসঙ্গে বলেছিলেন, কথা কম বলতে । তারপরই দেরি না করে আজ হুমায়ুন কবীর শোকজের জবাব দিলেন ।
কিন্তু ঠিক কী জবাব দিলেন তিনি ! তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট আগ্রহ ছিল । এই নিয়ে সরাসরি সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলে তিনি বলেন, দলের কাছে একাংশের সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়েও কাজ না হওয়ায় হতাশা থেকেই এসব বলেছেন তিনি । এখানেই শেষ নয়, গত কয়েকদিন যা বলেছেন তা নিয়ে ক্ষমাও চেয়েছেন হুমায়ুন ।
এদিন তিনি নিজেই জানিয়েছেন, দলের এক পাতার চিঠির জবাবে, তিন পাতার জবাব দিয়েছেন তিনি । সেখানে বিভিন্ন ঘটনার উল্লেখ রয়েছে, যেখানে তাঁকে উপেক্ষা করা হয়েছিল । এমনকি লোকসভা নির্বাচনে পরিশ্রম করে সাংসদকে জেতানোর পরও বিজয় উৎসবে তাঁকে ডাকা হয়নি । সামগ্রিকভাবে সবকিছু নিয়ে একটা হতাশা তৈরি হয়েছিল তাঁর, সেখান থেকেই এ ধরনের মন্তব্য করেছেন বলে দাবি করেন তিনি ।
এদিকে, শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির তরফ থেকে আজ রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, গতকাল চিঠি নিয়ে গিয়েছিলেন হুমায়ুন । আজ সেই চিঠির জবাব দিয়েছেন । স্বাভাবিকভাবেই এই চিঠি হাতে পাওয়ার পর শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির বৈঠক ডেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত কী হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে ।
এদিকে, শোকজের জবাব দেওয়ার দিনই ফের বেসুরো শুনিয়েছে হুমায়ুনকে ৷ মুর্শিদাবাদ জেলায় 20 জন বিধায়ক থাকার পরও সেভাবে মন্ত্রী না-দিয়ে মুর্শিদাবাদের মানুষের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি । রাজনৈতিক মহল মনে করছে, এই বিষয়টিও যথেষ্ট স্পর্শকাতর । যেহেতু কে মন্ত্রী হবেন, কে হবেন না, এই সিদ্ধান্ত সরাসরি নেন মুখ্যমন্ত্রী । এক্ষেত্রে ভরতপুরের বিধায়ক বাস্তবে কি তাঁর বিরুদ্ধেই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছেন ? এই নিয়েও শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি কোনও সিদ্ধান্ত নেয় কি না সেদিকেও চোখ থাকবে রাজনৈতিক মহলের ।