কলকাতা, 29 অক্টোবর: কলকাতায় প্রতিবারের মতো এ বছরও বাজি বাজার বসেছে একাধিক জায়গায় । চলছে কেনাকাটা । অন্যবারের তুলনায় এবার বাজি ক্রেতা থেকে বিক্রেতা উভয়েই সচেতনতার পরিচয় দিচ্ছেন । যেমন বিক্রেতারা বিক্রি করছেন সবুজ বাজি, তেমনই ক্রেতারা কিনতে আসছেন সেই বাজি । শহরের বিভিন্ন বাজি বাজারে ব্যবসায়ীরা পরিবেশবান্ধব বাজি বা সবুজ বাজি বিক্রি করছেন । কিন্তু যাঁরা ক্রেতা তাঁরা কীভাবে বুঝবেন সেগুলি আসল না নকল ?
ধন্ধে থেকে বাজি কেনার আগে জেনে নিন সেটা আসল কি না ৷ বোঝার উপায় রয়েছে বাজির বাক্সতেই ৷ বাজারে গেলে বাজির বক্সের উপরেই দেখতে পাবেন কোম্পানির নাম-সহ একটি কিউআর কোড । সেই কোডে স্ক্যান করলেই খুলে যাচ্ছে একটি পেজ । যাতে ওই বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য লেখা রয়েছে । সঙ্গে উল্লেখ রয়েছে, ওই বাজিতে কী কী রাসায়নিক ব্যবহার হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্যও ।
জানা গিয়েছে, চোখ বন্ধ করে সেই বাজি কিনতে পারেন । ওই বাজিগুলিতে কেন্দ্রীয় সংস্থা নিরির অনুমোদন আছে । সপরিবারে এক বয়স্ক ব্যক্তি টালা বাজি বাজারে আসেন নাতির জন্য বাজি কিনতে । এই বছর তাঁর প্রথমবার বাজি বাজারে আসা । তিনি বলেন, "আমি নাতির জন্য বাজি কিনতে এসেছি । অবশ্যই ও বাজি দেখে খুশি হবে । তবে এমন বাজি নেব যাতে ওর বা আমাদের কারও স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব বেশি ক্ষতিকর না হয় । শুনছি সবুজ বাজির কথা । সেটাই কিনব ।"
টালা বাজারের ব্যবসায়ী মিলন দত্ত বলেন, "কিউআর কোড না থাকলে কোনও বাজি বিক্রি করা যাবে না এই বাজারে । পুলিশ ও পুরনিগমের থেকে স্পষ্ট নির্দেশ আছে, গ্রিন বাজি ছাড়া বিক্রি করা যাবে না । বৈঠকেই দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তরফে তা বলে দেওয়া হয়েছে ।"
উল্লেখ্য, পুরনো যে ধরনের বাজি পাওয়া যেত, এখন সবুজ বা পরিবেশবান্ধব বাজির মধ্যেও সেইসবগুলি পাওয়া যাচ্ছে । তার মধ্যে ফুলঝুড়ি, চড়কি, তারাবাজি, ট্রাই কালার, সেল, ফাইভ স্টার, হেলিকপ্টার এমন হরেকরকম বাজি আছে । তবে চাহিদার তুলনায় এখনও কলকাতায় বাজি বাজারে সবুজ বাজির জোগান কম ।