গোসাবা, 12 নভেম্বর: বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতেই গৃহবধূকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মারার অভিযোগ ৷ ঘটনায় গুরুতর জখম গৃহবধূ ও তাঁর জা ৷ ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ 24 পরগনার গোসাবা থানা এলাকায় ৷ গ্রেফতার অভিযুক্ত বাপি হালদার ৷
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোসাবার আরএসপি নেতা তথা রাজ্য কমিটির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুবোধ মাইতির বাড়িতেই এমন ঘটনা ঘটেছে । তাঁর মেয়ে ঝর্ণা মাইতি ৷ বাপের বাড়িতেই শ্বশুর বাড়ির লোকজনকে নিয়ে থাকতেন তিনি ৷ স্থানীয়দের দাবি, পাড়ার যুবক বাপি হালদারের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন ঝর্ণা । কিন্তু সম্প্রতি সেই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি ৷ এই নিয়ে দুজনের মধ্যে ফোনে ঝগড়া হয় ।
অভিযোগ, এরপরে রাতে বাপি হালদার সুবোধ মাইতির বাড়িতে হাজির হন । আচমকা ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝর্ণার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে শুরু করেন তিনি । তাঁর ঘাড়ে ও গলায় একাধিক কোপ মারেন বলে অভিযোগ । ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন ঝর্ণার জা প্রিয়াঙ্কা ।
অভিযোগ, তিনি ঝর্ণাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যেতেই তাঁকেও আক্রমণ করেন বাপি ৷ কোপ মারেন তাঁর গলায় । রক্তাক্ত অবস্থায় প্রাণভয়ে চিৎকার করে দৌড়ে বাড়ির বাইরে পালিয়ে যান প্রিয়াঙ্কা । রাতের অন্ধকারে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা ও পরিবারের বাকি সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন । তাঁরা দুই বধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন । চিকিৎসার জন্য তড়িঘড়ি গোসাবা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । সেখানে তাঁদের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক হলে কলকাতার এমআর বাঙুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করেন চিকিৎসকেরা । নদী পার করে তাঁদের নিয়ে সোজা কলকাতা হাসপাতালের দিকে রওনা দেন বাড়ির লোকজন । অন্যদিকে, ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত বাপি হালদারকে গ্রেফতার করেছে গোসাবা থানার পুলিশ । ধৃতকে জেরা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ।
আহত ঝর্ণা মাইতির স্বামী রাজা দেবনাথ বলেন, "অভিযুক্তের সঙ্গে আমার স্ত্রীর অনেকদিন আগে একটি সম্পর্ক ছিল ৷ সেই নিয়ে ফোনে কথা কাটাকাটি হয় ৷ তার জেরে ওর উপরে আক্রমণ করা হয় ৷ রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করি ৷ বাপি হালদার তিনদিন আগে হুমকি দিয়েছিল স্ত্রীকে ৷ তারপর এ দিন এই ঘটনা ঘটায় সে ৷"
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, "গতকাল রাতে আমরা একটি ঝামেলার শব্দ পাই ৷ এরপরে আমরা বাড়ি থেকে বেরিয়ে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূ পড়ে রয়েছে ৷ আমরা তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছই এবং তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসি ৷ কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে আমরা কিছু জানি না ।"