বারুইপুর, 26 মার্চ: গত 21 ফেব্রুয়ারি থেকে বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন এক মহিলা। ইউটিউবে ওই মহিলার বক্তব্য-সহ ভিডিয়ো দেখে তাঁর হদিশ পায় মহিলার পরিবার। তারপর পরিবারের সদস্যরা চলে আসেন হাসপাতালে। রবিবার সম্পূর্ণ সুস্থ করে তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দিল হাসপাতাল কতৃপক্ষ।
মহিলার নাম ক্যাটরিনা মুর্মু ৷ বাড়ি ঝাড়খণ্ডে। এদিন, বাড়ি ফেরার জন্য অ্যাম্বুলেন্স করে হাওড়া স্টেশনে তাঁকে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয় হাসপাতালের পক্ষ থেকে। একমাস পর বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি ওই মহিলা। নতুন জীবন পেয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্সদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তাঁর পরিবার ৷ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত 21 ফেব্রুয়ারি ওই মহিলাকে কয়েকজন ব্যক্তি হাসপাতালের বেডে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিলেন। তিনি যে মানসিক ভারসাম্য তা বোঝা যায়নি ৷ মহিলার বাঁ-হাতে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘা দগদগ করছিল।
এই অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে চিকিৎসকরা দেরি না-করে ওই মহিলাকে ভরতি করে চিকিৎসা শুরু করেন। এরপর সুপারের পরামর্শে শল্য বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁর অস্ত্রোপচার করেন। বিশেষ টিম গঠন করে চিকিৎসার নজরদারি করা হয়। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন ওই মহিলা। এদিন তাঁর ভাই মাইকেল মুর্মু বলেন, "দিদিকে এভাবে ফিরে পাব ভাবিনি। সরকারি হাসপাতাল এমন দায়িত্ববান হতে পারে না-দেখলে ভাবা যায় না। হাসপাতালের কেউ ইউটিউবে দিদির বক্তব্য-সহ অবস্থার কথা পোস্ট করেন। সেই ভিডিয়ো আমরা দেখে জানতে পারি দিদি বারুইপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।"
তিনি আরও বলেন, "ওই ভিডিয়োতে হাসপাতালের ফোন নম্বর দেওয়া ছিল। তারপরেই আমরা হাসপাতালে যোগাযোগ করে চলে আসি। সংসার চালাতে দিদি কাজের জন্য প্রায় কলকাতায় আসতেন। প্রতিবারের মতো 3 ফেব্রুয়ারি দিদি কলকাতায় এসেছিলেন। তারপর থেকে দিদির কোনও খবর পাওয়া যাচ্ছিল না।" 12 বছরের মেয়ের কাছে ফিরতে পেরে হাসপাতালের নার্স, অতিরিক্ত সুপারকে বারে বারে প্রণাম করেছেন সুস্থ মহিলা।
আরও পড়ুন: