কলকাতা, 6ফেব্রুয়ারি: পঞ্চায়েত নির্বাচনে সুদূর সৌদি আরব থেকে বসে মনোনয়ন জমা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। আর এবার পঞ্চায়েত ভোটে জিতে প্রধান পদে বসার অভিযোগ উঠল এক বাংলাদেশি নাগরিকের বিরুদ্ধে। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। ঘটনায় দু’সপ্তাহের মধ্যে মহকুমা শাসককে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদহের চাঁচলে একটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন লাভলি খাতুন ৷ অভিযোগ তিনি ভারতীয় নন। আদতে তিনি বাংলাদেশী নাগরিক। ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বার করে তিনি পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ৷ জেতার পর তিনি পঞ্চায়েত প্রধান হিসাবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
গ্রামবাসী পাঁচ মামলাকারীর অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো সত্বেও কোন সুরাহা হয়নি। তাঁদের আরও অভিযোগ লাভলি খাতুনের জন্ম বাংলাদেশ। এদেশে আসার পর এক ভারতীয় সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। এমনকী বাবা হিসেবে কাগজে-কলমে যার নাম রয়েছে তিনি তার জন্মদাতা পিতা নন। এক্ষেত্রেই নথি বিকৃত করে লাভলি খাতুন জাল শংসাপত্র বার করেছেন বলে অভিযোগ ৷
তবে লাভলি খাতুনের আইনজীবীর পালটা দাবি, তিনি ভারতীয় নাগরিক এবং তার কাছে যাবতীয় প্রমাণপত্র রয়েছে। উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ দেন, আগামী 12 ফেব্রুয়ারি উভয় পক্ষের অভিযোগ শুনতে হবে মালদহের চাঁচলের মহকুমা শাসককে। পাশাপাশি লাভলি খাতুন কে তার প্রমাণপত্রের সমস্ত নথি হলফনামা আকারে জমা দিতে হবে আদালতে। আগামী 20 ফেব্রুয়ারি মহকুমা শাসককে হলফনামা আকারে এ ব্যাপারে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সিনহা। ওইদিন ফের মামলার শুনানি হবে।
আরও পড়ুন: