আরামবাগ, 30 অক্টোবর: চিকিৎসা করাতে গিয়ে ধর্ষিতা হলেন এক মহিলা ! এমনই অভিযোগ উঠেছে হুগলির আরামবাগের একটি বেসরকারি ক্লিনিকের স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে ৷ অভিযোগ, পেটের চিকিৎসার ছলে মহিলাকে বন্ধ ঘরে ধর্ষণ করে ওই ব্যক্তি ৷ ঘটনা জানাজানি হতেই জনরোষ ছড়িয়ে পড়ে ৷
নির্যাতিতা মহিলার বোন অভিযোগ করেছেন, আজ, বুধবার সকালে তিনি এবং তাঁর দিদির আরামবাগের ওই বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা করাতে আসার কথা ছিল ৷ নাম লেখানোর জন্য তাঁর দিদি আগে সেখানে পৌঁছে যান ৷ সকাল প্রায় 7টা নাগাদ ক্লিনিকের বাইরে নাম লেখানোর জন্য লাইনে দাঁড়ান ৷ সেই সময় কেউ সেখানে ছিলেন না ৷ কেবলমাত্র ক্লিনিকের এক স্বাস্থ্যকর্মী ভিতরে ছিলেন ৷
মহিলা অভিযোগ করেছেন, ওই স্বাস্থ্যকর্মী তাঁকে ভিতরে নিয়ে যায় ৷ কী সমস্যা রয়েছে, তা জিজ্ঞেস করে ৷ এরপর তাঁকে স্ট্রেচারে শুয়ে পড়তে বলে ৷ ওই মহিলার পেটে সমস্যা নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন বলে জানান ৷ অভিযোগ, ওই স্বাস্থ্যকর্মী তাঁর সঙ্গে অভব্য আচরণ শুরু করেন ৷ আপত্তিজনকভাবে শরীরে হাত দেন ৷ সেই সময় তিনি স্ট্রেচার থেকে উঠে বাইরে বেরিয়ে আসতে যান ৷
অভিযোগ, সেই সময় অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মী মহিলাকে ধাক্কা মেরে ফেলে, দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেয় ৷ এরপর তাঁকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতা ৷ তাঁর বোন কিছুক্ষণ পরে সেখানে উপস্থিত হলে, তিনি পুরো ঘটনা বিস্তারিতভাবে জানান ৷ এরপরেই মহিলাকে ধর্ষণের খবর ওই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে ৷ কিছুক্ষণের মধ্যে কয়েকশো লোক ক্লিনিকের সামনে ভিড় করেন ৷ তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ৷
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ৷ পুলিশ সেখানে পৌঁছাতেই উত্তেজিত জনতা মারমুখী হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ ৷ তাঁরা পুলিশের হাত থেকে অভিযুক্তকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে ৷ তবে, কোনোমতে অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানেই নির্যাতিতা মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ নির্যাতিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা করানো হয়েছে ৷ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে মহিলার সঙ্গে এমন নিন্দনীয় অপরাধের ঘটনায় নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা ৷