ETV Bharat / state

থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ ! অপসারণের দাবি বিভাগীয় প্রধানদের - North Bengal Medical College

Allegation of Threat Culture in North Bengal Medical College and Hospital: থ্রেট কালচার ও নম্বর হেরফেরে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের অপসারণ দাবি 17 বিভাগীয় প্রধানের ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 2 hours ago

North Bengal Medical
থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত মেডিক্য়ালের অধ্যক্ষ (নিজস্ব চিত্র)

শিলিগুড়ি, ৪ অক্টোবর: দুর্নীতি ও থ্রেট কালচারে জড়িত উত্তরবঙ্গ লবির সদস্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ। এমনই অভিযোগে তাঁর অপসারণ চেয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে স্মারকলিপি পাঠালেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের 17 জন বিভাগীয় প্রধান।

অধ্যক্ষকে অপসারণ না করলে কলেজের আসন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন না বলেও জানিয়েছেন এই বিভাগীয় প্রধানরা। স্মারকলিপিতেও তা জানানো হয়েছে। বিভাগীয় প্রধানদের এই পদক্ষেপে রীতিমতো শোরগোল পরে গিয়েছে হাসপাতালে।

থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত মেডিক্য়ালের অধ্যক্ষ (ইটিভি ভারত)

তাঁরা পরীক্ষার প্রক্রিয়ায় অংশ না নিলে ফের অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা শিক্ষামহল। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালেও থ্রেট কালচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। শুরু হয় জুনিয়র ডাক্তারদের টানা আন্দোলন। সামনে আসে উত্তরবঙ্গ লবির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন পিজিটি, ইনটার্ন, হাউজ স্টাফ ও সিনিয়র ডাক্তাররাও।

আন্দোলনের মধ্যেই অভিযোগ ওঠে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের পদাধিকারিরা নিজেদের পদের ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে উত্তরবঙ্গ লবির ধারক বাহক চিকিৎসক সুশান্ত রায়, অভিক দে, সোহম মণ্ডলের মতো চিকিৎসক নেতাদের কথায় ওঠা-বসা করতেন। এমনকী পরীক্ষার মার্কশিটে নম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হত।

Allegation of Threat Culture in North Bengal Medical College and Hospital
বিভাগীয় প্রধানদের স্মারকলিপি (নিজস্ব চিত্র)

এরপরই আন্দোলণের চাপে কলেজের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত ও সহকারি ডিন সন্দীপ শীল পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। কিন্তু ওই সময় কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহার বিরুদ্ধেও একইভাবে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, সব ধামাচাপা দিতে ও নিজেকে বাঁচাতে অধ্যক্ষ তিনজনের একটি তদন্ত কমিটিও গড়েন তিনি। সেই তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী 12 জন হাউজস্টাফ, পিজিটি, সিনিয়র ডাক্তারদের সাসপেন্ড করা হয়। আবার সেই কমিটির কাছেও ফের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচার দূর্নীতির অভিযোগ জমা পড়ে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য দফতর কোনও পদক্ষেপ না করায় এবার অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে সরব হাসপাতালেরই বিভাগীয় প্রধানরা।

এই বিষয়ে অর্থোপেডিকসের বিভাগীয় প্রধান পার্থসারথি সরকার বলেন, "এই দূর্নীতিগ্রস্থ এবং থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে আমরা পরীক্ষা নেব না। নিলে আবার অনেক ভালো ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পরে যাবে। স্বাস্থ্য ভবনকে পদক্ষেপ করতে হবে।"

ইএনটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রাধেশ্যাম মাহাতো বলেন, "তদন্ত কমিটির কাছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও নম্বর হেরফেরের অভিযোগ জমা পড়েছিল। অন্যরা অপসারিত হলেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হবে না ? সামনে এমবিবিএস পরীক্ষা। যদি এই অধ্যক্ষ থাকে তাহলে আবার একই ঘটনা ঘটতে পারে।" এই বিষয়ে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা অবশ্য মুখ খুলতে চাননি।

শিলিগুড়ি, ৪ অক্টোবর: দুর্নীতি ও থ্রেট কালচারে জড়িত উত্তরবঙ্গ লবির সদস্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ। এমনই অভিযোগে তাঁর অপসারণ চেয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে স্মারকলিপি পাঠালেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের 17 জন বিভাগীয় প্রধান।

অধ্যক্ষকে অপসারণ না করলে কলেজের আসন্ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন না বলেও জানিয়েছেন এই বিভাগীয় প্রধানরা। স্মারকলিপিতেও তা জানানো হয়েছে। বিভাগীয় প্রধানদের এই পদক্ষেপে রীতিমতো শোরগোল পরে গিয়েছে হাসপাতালে।

থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত মেডিক্য়ালের অধ্যক্ষ (ইটিভি ভারত)

তাঁরা পরীক্ষার প্রক্রিয়ায় অংশ না নিলে ফের অচলাবস্থা তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা শিক্ষামহল। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি আরজি করের মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালেও থ্রেট কালচারের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। শুরু হয় জুনিয়র ডাক্তারদের টানা আন্দোলন। সামনে আসে উত্তরবঙ্গ লবির বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দেন পিজিটি, ইনটার্ন, হাউজ স্টাফ ও সিনিয়র ডাক্তাররাও।

আন্দোলনের মধ্যেই অভিযোগ ওঠে উত্তরবঙ্গ মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালের পদাধিকারিরা নিজেদের পদের ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে উত্তরবঙ্গ লবির ধারক বাহক চিকিৎসক সুশান্ত রায়, অভিক দে, সোহম মণ্ডলের মতো চিকিৎসক নেতাদের কথায় ওঠা-বসা করতেন। এমনকী পরীক্ষার মার্কশিটে নম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হত।

Allegation of Threat Culture in North Bengal Medical College and Hospital
বিভাগীয় প্রধানদের স্মারকলিপি (নিজস্ব চিত্র)

এরপরই আন্দোলণের চাপে কলেজের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত ও সহকারি ডিন সন্দীপ শীল পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। কিন্তু ওই সময় কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহার বিরুদ্ধেও একইভাবে থ্রেট কালচারের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, সব ধামাচাপা দিতে ও নিজেকে বাঁচাতে অধ্যক্ষ তিনজনের একটি তদন্ত কমিটিও গড়েন তিনি। সেই তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী 12 জন হাউজস্টাফ, পিজিটি, সিনিয়র ডাক্তারদের সাসপেন্ড করা হয়। আবার সেই কমিটির কাছেও ফের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচার দূর্নীতির অভিযোগ জমা পড়ে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য দফতর কোনও পদক্ষেপ না করায় এবার অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে সরব হাসপাতালেরই বিভাগীয় প্রধানরা।

এই বিষয়ে অর্থোপেডিকসের বিভাগীয় প্রধান পার্থসারথি সরকার বলেন, "এই দূর্নীতিগ্রস্থ এবং থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের উপস্থিতিতে আমরা পরীক্ষা নেব না। নিলে আবার অনেক ভালো ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পরে যাবে। স্বাস্থ্য ভবনকে পদক্ষেপ করতে হবে।"

ইএনটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রাধেশ্যাম মাহাতো বলেন, "তদন্ত কমিটির কাছে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও নম্বর হেরফেরের অভিযোগ জমা পড়েছিল। অন্যরা অপসারিত হলেও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে কেন পদক্ষেপ করা হবে না ? সামনে এমবিবিএস পরীক্ষা। যদি এই অধ্যক্ষ থাকে তাহলে আবার একই ঘটনা ঘটতে পারে।" এই বিষয়ে অধ্যক্ষ ইন্দ্রজিৎ সাহা অবশ্য মুখ খুলতে চাননি।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.