দার্জিলিং, 1 জুলাই: ধসে বিধ্বস্ত গোটা পাহাড়। এখনও বন্ধ 10 নম্বর জাতীয় সড়ক। ধস কবলিত এলাকায় সংস্কার ও মেরামতের উদ্যোগ নিল জিটিএ। পাশাপাশি বর্ষার শুরুতে যাতে আর কোনওরকম ধসের ঘটনা না ঘটে, সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে। লিকুভির, গেইলখোলা, বিড়িকদাড়া, 27 মাইল, 29 মাইল-সহ একাধিক জায়গায় ধসের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে, দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক, কার্শিয়াংয়ে টানা বৃষ্টির জেরে একাধিক জায়গায় ধস নেমেছে ৷ ধসের জেরে প্রাণ গিয়েছে দার্জিলিংয়ের এক বাসিন্দারও। ক্ষতিগ্রস্ত বহু বাড়ি। এই পরিস্থিতিতে ধস কবলিত এলাকা সংস্কার ও মেরামতের জন্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা বরাদ্দ করল জিটিএ।
এই বিষয়ে জিটিএ'র মুখপাত্র শক্তিপ্রসাদ শর্মা বলেন, "অন্য বারের তূলনায় এবার ধসে পাহাড়ে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটা কম। তবে বেশ কিছু জায়গায় ধস নেমে ক্ষতি হয়েছে। সেই সব জায়গাগুলি মেরামত ও সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মোট 17টির মতো প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরও প্রকল্প নেওয়া হবে। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে সেই সব কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।"
জিটিএ সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্শিয়াং মহকুমার বালাসন নদী সংস্কারের জন্য 17 লক্ষ 52 হাজার, আপার নয়াবস্তি ও সিটং এলাকায় ধস কবলিত এলাকার সংস্কার ও বাঁধ নির্মাণের জন্য 26 লক্ষ চার হাজার টাকা এবং 42 লক্ষ 31 হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে ৷ পাশাপাশি গয়াবাড়িগাঁও এলাকার গোলাইঝোরা এলাকায় ধস কবলিত এলাকা ও বাঁধ নির্মাণের জন্য 20 লক্ষ 12 হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে জিটিএ। একইভাবে মংপু, রিশপ, অধিকারিঝোরার ধস কবলিত এলাকা সংস্কারের জন্য 23 লক্ষ 43 হাজার টাকা, দুধিয়ার বরারেঝোরার জন্য 19 লক্ষ 74 হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
সেই সঙ্গে, বগোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য 14 লক্ষ 35 হাজার টাকা, ডুমারাম বস্তির জন্য 14 লক্ষ 47 হাজার টাকা, কার্শিয়াং পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের জন্য প্রোটেকশন ওয়াল, বাঁধ ও ধস এলাকা সংলগ্ন 23 লক্ষ 43 হাজার টাকা, অম্বোটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য 12 লক্ষ 51 হাজার টাকা, গাড়িধুরার জন্য 15 লক্ষ 99 হাজার টাকা, গিটাঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য 20 লক্ষ 72 হাজার টাকা, শান্তিনগরের জন্য 16 লক্ষ 90 হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে ধস কবলিত এলাকা মেরামত ও সংস্কারের জন্য।
এছাড়া সোনাদার জন্য 41 লক্ষ 56 হাজার, মিলিঙ্গ বস্তির জন্য 42 লক্ষ 27 হাজার টাকা, বাচ্চাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের 41 লক্ষ 40 হাজার, পাচাঙ্গ বস্তির জন্য 42 লক্ষ 42 হাজার, তিনধারিয়ার জন্য 18 লক্ষ 71 হাজার টাকা ও গয়াবাড়ির জন্য 25 লক্ষ 81 হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।