ETV Bharat / state

কেন বারবার আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে ? চোপড়া-কাণ্ডে নবান্নে চিঠি রাজ্যপালের - Chopra Couple Beating Incident

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 1, 2024, 3:01 PM IST

Updated : Jul 1, 2024, 6:58 PM IST

Chopra Couple Beating Incident: চোপড়ায় যুগলকে তৃণমূল নেতার মারধরের ঘটনায় রাজ্য সরকারের কাছে জবাব তলব রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ৷ কেন বারবার আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত হচ্ছে ? এই প্রশ্নের জবাব চেয়ে নবান্নকে চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল ৷

ETV BHARAT
চোপড়ায় যুগলকে মারধরের ঘটনায় রাজ্য সরকারকে চিঠি রাজ্যপালের ৷ (ফাইল চিত্র)

কলকাতা, 1 জুলাই: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল রাজভবন ৷ সোমবার এনিয়ে নবান্নের কাছে জবাব চেয়ে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে যুগলকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের ঘটনা সামনে এসেছে ৷ যেখানে মূল অভিযুক্ত চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের খাসলোক ৷ তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে ৷ সেই ঘটনায় এবার রাজ্য সরকারকে লেখা চিঠিতে রাজ্যপাল প্রশ্ন করেছেন, "কেন বারবার আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে ?"

উল্লেখ্য, রবিবার সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় ৷ যেখানে দেখা যায়, যুবক-যুবতীকে ভিড় ঘিরে রেখেছে ৷ আর এক ব্যক্তি তাঁদের লাঠির গোছ দিয়ে বেধড়ক মারছেন ৷ পরবর্তী সময়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে সালিশি সভা ডেকে ওই যুগলকে মারধর করা হয় ৷ বিশেষত, যুবতীকে রাস্তায় ফেলে অমানসিক অত্যাচার চলে ৷ যে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হলেন, 'জেসিবি' নামে পরিচিত এক ব্যক্তি ৷ আর তিনি চোপড়া বিধানসভার তৃণমূলের বিধায়ক হামিদুল রহমানের খাসলোক হিসেবে পরিচিত ৷

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই, বিরোধী শিবিরের তরফে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ফের একবার নারী নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হয়েছে ৷ সেই নিয়েই এবার রাজ্য সরকারের কাছে জবাব তলব করেছেন রাজ্যপাল ৷ শুধু তাই নয়, গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যে একাধিক গণপিটুনি ও তার জেরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৷ সেই সব ঘটনায় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে ? তা জানতে চেয়ে, 'অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট' চেয়েছে রাজভবন ৷

উল্লেখ্য, একসপ্তাহের কিছু সময় আগে বারাসতে প্রথম গণপিটুনির ঘটনা ঘটে ৷ ছেলেধরা সন্দেহে এক দম্পতিকে বেধড়ক মারধর করে ক্ষিপ্ত জনতা ৷ দম্পতিকে উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশ নিজে আক্রান্ত হয় ৷ পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে ৷ এরপর দত্তপুকুর, বনগাঁ হয়ে গণপিটুনির ঘটনা কলকাতা শহরেও ঘটেছে ৷ কোথাও আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে, তো কোথাও গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁরা ৷ কেবলমাত্র সন্দেহের বশে এভাবে কাউকে মারধর করার ঘটনায় চিন্তিত প্রশাসনও ৷

কিন্তু, ধারাবাহিকভাবে একই ঘটনা ঘটে চলায়, আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে নড়েচড়ে বসলেন স্বয়ং রাজ্যপাল ৷ কেন সাধারণ মানুষ এভাবে আইন নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছে ? পুলিশ প্রশাসন রাজ্য জুড়ে মানুষকে সচেতন করছে কি না ? এসব নিয়ে নবান্নে স্বরাষ্ট্র দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস ৷ উল্লেখ্য, এটাই প্রথম নয় ৷ এর আগেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে প্রশাসনের কাছে জবাব চেয়েছেন তিনি ৷ বিশেষত, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে রাজ্যপালকে ৷ এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল চোপড়ায় সালিশি সভায় যুগলকে মারধরের ঘটনাও ৷

কলকাতা, 1 জুলাই: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল রাজভবন ৷ সোমবার এনিয়ে নবান্নের কাছে জবাব চেয়ে চিঠি পাঠালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে যুগলকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধরের ঘটনা সামনে এসেছে ৷ যেখানে মূল অভিযুক্ত চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের খাসলোক ৷ তাঁকে গ্রেফতারও করা হয়েছে ৷ সেই ঘটনায় এবার রাজ্য সরকারকে লেখা চিঠিতে রাজ্যপাল প্রশ্ন করেছেন, "কেন বারবার আইন হাতে তুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে ?"

উল্লেখ্য, রবিবার সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয় ৷ যেখানে দেখা যায়, যুবক-যুবতীকে ভিড় ঘিরে রেখেছে ৷ আর এক ব্যক্তি তাঁদের লাঠির গোছ দিয়ে বেধড়ক মারছেন ৷ পরবর্তী সময়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কারণে সালিশি সভা ডেকে ওই যুগলকে মারধর করা হয় ৷ বিশেষত, যুবতীকে রাস্তায় ফেলে অমানসিক অত্যাচার চলে ৷ যে ঘটনায় মূল অভিযুক্ত হলেন, 'জেসিবি' নামে পরিচিত এক ব্যক্তি ৷ আর তিনি চোপড়া বিধানসভার তৃণমূলের বিধায়ক হামিদুল রহমানের খাসলোক হিসেবে পরিচিত ৷

ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই, বিরোধী শিবিরের তরফে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ফের একবার নারী নির্যাতনের অভিযোগ তোলা হয়েছে ৷ সেই নিয়েই এবার রাজ্য সরকারের কাছে জবাব তলব করেছেন রাজ্যপাল ৷ শুধু তাই নয়, গত কয়েক সপ্তাহে রাজ্যে একাধিক গণপিটুনি ও তার জেরে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ৷ সেই সব ঘটনায় প্রশাসন কী ব্যবস্থা নিয়েছে ? তা জানতে চেয়ে, 'অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট' চেয়েছে রাজভবন ৷

উল্লেখ্য, একসপ্তাহের কিছু সময় আগে বারাসতে প্রথম গণপিটুনির ঘটনা ঘটে ৷ ছেলেধরা সন্দেহে এক দম্পতিকে বেধড়ক মারধর করে ক্ষিপ্ত জনতা ৷ দম্পতিকে উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশ নিজে আক্রান্ত হয় ৷ পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ ওঠে ৷ এরপর দত্তপুকুর, বনগাঁ হয়ে গণপিটুনির ঘটনা কলকাতা শহরেও ঘটেছে ৷ কোথাও আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে, তো কোথাও গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তাঁরা ৷ কেবলমাত্র সন্দেহের বশে এভাবে কাউকে মারধর করার ঘটনায় চিন্তিত প্রশাসনও ৷

কিন্তু, ধারাবাহিকভাবে একই ঘটনা ঘটে চলায়, আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে নড়েচড়ে বসলেন স্বয়ং রাজ্যপাল ৷ কেন সাধারণ মানুষ এভাবে আইন নিজেদের হাতে তুলে নিচ্ছে ? পুলিশ প্রশাসন রাজ্য জুড়ে মানুষকে সচেতন করছে কি না ? এসব নিয়ে নবান্নে স্বরাষ্ট্র দফতরে চিঠি পাঠিয়েছেন সিভি আনন্দ বোস ৷ উল্লেখ্য, এটাই প্রথম নয় ৷ এর আগেও রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে প্রশাসনের কাছে জবাব চেয়েছেন তিনি ৷ বিশেষত, ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছে রাজ্যপালকে ৷ এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল চোপড়ায় সালিশি সভায় যুগলকে মারধরের ঘটনাও ৷

Last Updated : Jul 1, 2024, 6:58 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.