কলকাতা, 27 অগস্ট: নিরীহ প্রতিবাদীদের উপর আক্রমণ চালিয়ে 'ভারতীয় পতাকার অপমান' করা হয়েছে। ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান ও তার পরবর্তী ঘটনা প্রসঙ্গে এমনটাই মন্তব্য করলেন রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি এক ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, "পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচিত সরকার থেকে এটা প্রত্যাশা ছিল না। নিরীহ প্রতিবাদীরা সম্ভবত কোনও রাজনৈতিক দলের ছিলেন না। তাঁদের হাতে জাতীয় পতাকা ছিল। কিন্তু, তাঁদের উপর আক্রমণ চালাল পুলিশ। 'উই ওয়ান জাস্টিস স্লোগান'এ মুখরিত প্রতিবাদকারীদের জল কামান দ্বারা আঘাত করা হয়েছে। লাঠিপেটা করা হয়েছে পুলিশ দ্বারা। তাঁদের হাতে ভারতের জাতীয় পতাকা ছিল। সেই পতাকাকে অপমান করা হয়েছে।"
তিনি আরও বলেন, "চারপাশ থেকেই মারধর করা হয়েছে। জল কামান চালিয়ে জাতীয় পতাকা উপর আক্রমণ করা হয়েছে। রক্তাক্ত হয়েছেন প্রতিবাদীরা। জাতীয় পতাকার অপমান করা হয়েছে। জাতীয় সম্মানকে অপমান করা হয়েছে। আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের পিজিটি মহিলা চিকিৎসকের খুন এবং ধর্ষণের বিচারের দাবি তুলতেই দেশকে অপমান করা হয়েছে। এই প্রতিবাদী আন্দোলনকে রুখে দিতে চারপাশ থেকে ঘিরে ফেলা হয়েছিল । ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়েছিল। জল কামানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।"
রাজ্যপালের কথায়, "অথচ রবীন্দ্রনাথের বাংলায় তিনি নিজেই বলেছিলেন, "চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির।" নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু দিল্লি চলো ডাক দিয়েছিলেন। আর আজকে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে নবান্ন চলো ডাক দিয়েছিলেন নিরীহ আন্দোলনকারীরা। কিন্তু তাদের ওপরে আক্রমণ চালানো হল। খুন, ধর্ষণ, অন্যায়, অত্যাচার, অবিচার সমস্তটাই বন্ধ করতে হবে। বাংলাকে অন্যায় অত্যাচার খুন, ধর্ষণ মুক্ত হতে হবে। এই নৃশংসতা ধ্বংসের খেলা বন্ধ করতে হবে। বিচারের দাবিতে, মানুষ সোচ্চার হয়েছেন। মানুষকে বিচার দিতেই হবে। বিচার পাওয়া মানুষের জন্মগত অধিকার। মনে রাখবেন সত্য এবং অপরাধ চিরদিন চাপা রাখা যায় না। একদিন না একদিন প্রকাশ পাবেই। ঠিক তেমনি আরজি করে নির্যাতিতও বিচার পাবেন। আমরা এই পরিবেশ থেকে দ্রুত কাটিয়ে উঠতে পারব।"