কলকাতা, 7 মে: বিগত ভোটের দিনগুলোর মতোই আজ মঙ্গলবারও বেশ কয়েকটি জায়গা থেকে অশান্তির খবর এসেছে । বোমাবাজি, বুথ দখল, ভুয়ো এজেন্ট বসানোর অভিযোগ এসেছে রাজভবনের পিসরুমে । মালদা, জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে বহু অভিযোগ এসেছে । সব চেয়ে বেশি এসেছে মুর্শিদাবাদ রানিনগর থেকে । যা নিয়ম অনুযায়ী নথিভুক্ত করেছেন পিসরুমের কর্মীরা । প্রথম দফার ভোটগ্রহণের দিনে পিসরুমে এসেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । নিজে একাধিক ফোন কল রিসিভ করেছিলেন ।
কিন্তু, প্রথম দিনের মতো তৃতীয় দফার ভোট গ্রহণের দিন রাজভবনে থেকেও একটিবারের জন্য পিসরুমে এলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । বিকেল 6টা পর্যন্ত তিনি পিসরুমে আসেননি বলেই খবর । অর্থাৎ, ভোটগ্রহণ চলাকালীন তিনি পিসরুমে আসেননি । যদিও দ্বিতীয় দফার ভোটের দিনেও তিনি পিসরুমে অনুপস্থিত ছিলেন । কারণ, সেদিন তিনি কলকাতার বাইরে ছিলেন । আজকে রাজভবনে থেকেও পিসরুমে না আসায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ।
যদিও রাজভবন সূত্রের খবর, রাজ্যপাল নিজের ঘরে থেকেই টিভির পর্দায় নজর রেখেছিলেন । কোথায়, কখন কী হচ্ছে, তা তিনি সংবাদ মাধ্যমে দেখেছেন । একই ভাবে, পিসরুমে আসা অভিযোগগুলো খাতায় নথিবদ্ধ করা হয়েছে । ই-মেলগুলো সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ই-মেল আইডিতে ফরওয়ার্ড করা হয়েছে ।
অন্যদিকে, রাজভবনের যে অস্থায়ী কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনিও আজ অনুপস্থিত ছিলেন । সূত্রের খবর, অভিযোগ করার পরদিন থেকেই রাজভবনে কাজে আসছেন না তিনি । এমনকি, রাজভবনের কোয়ার্টারেও থাকছেন না । কলকাতা পুলিশের কড়া নিরাপত্তায় শহরেরই এক জায়গায় তিনি আছেন । আগামীতেও তিনি রাজভবনে কাজ করবেন না বলেই মনে করা হচ্ছে । কারণ, ওই ভদ্রমহিলা ইতিমধ্যে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, রাজভবনে কাজে ফেরার মানসিক অবস্থায় তিনি নেই ।
এদিকে, অভিযোগ ওঠার পর দিনই কলকাতা ছাড়েন রাজ্যপাল । পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি সেরে কোচি থেকে তিনি গতকালই কলকাতা ফিরেছেন । সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তিনি বরাবরই রাজনীতির বাইরে থাকতে চেয়েছিলেন । কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই তাঁকে রাজনীতির ময়দানে টেনে এনেছেন বলে দাবি করেছেন সিভি আনন্দ বোস ।
আরও পড়ুন: