কলকাতা, 12 ফেব্রুয়ারি: রাজ্যের বর্তমান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস প্রাক্তন আইএএস অফিসার । অথচ, তাঁরই বর্তমান অফিস (রাজভবন) এখন আইএএস অফিসার শূন্য । এতে যেমন রাজভবনের কর্মী মহলে কাজের চাপ বেড়েছে, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ ফাইল কে স্বাক্ষর করবেন তা নিয়েও সংশয় দানা বেঁধেছে ।
রাজভবনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ও সূত্রের দাবি, "রাজ্যপালের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি পদ থেকে নন্দিনী চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেওয়ার পর তাঁর জায়গায় নতুন করে কোনও অফিসার নিয়োগ করা হয়নি । তিনি সরে যাওয়ার পরে প্রায় বছরখানেক ধরে রাজ্যপালের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি হিসেবে দেবাশিস ঘোষ অফিসের কাজকর্ম সামলাচ্ছিলেন । কিন্তু, গত 31 জানুয়ারি আইএএস দেবাশিস ঘোষের চাকরির মেয়াদ শেষ হয়েছে । প্রায় দু'সপ্তাহ হতে চলল এখনও সেই পদে কারওকে নিয়োগ করা হয়নি । বরং, রাজ্যপালের ডেপুটি সেক্রেটারি ডব্লুবিসিএস অফিসার সৈকত দাসই অফিসের দায়িত্বে আছেন । সবমিলিয়ে রাজভবনের বিভিন্ন দফতরের যে বর্তমান অবস্থা, তাতে কোনও আইএএস অফিসার রাজভবনে নেই । অথচ, রাজভবনের কর্মীদের কাজের চাপ যেমন বাড়ছে, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ একাধিক ফাইলে কে স্বাক্ষর করবেন তা নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয় ।"
সূত্রের আরও দাবি, প্রাক্তন এক আইএস অফিসারকে অ্যাডভাইজার বা পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করার চিন্তাভাবনা করছেন রাজ্যপাল । তিনি ইতিমধ্যে, রাজভবনে চলেও এসেছেন । দিন দুই আগে সন্দেশখালি নিয়ে স্মারকলিপি তাঁর হাতেই তুলে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী । যদিও 'ওই ব্যক্তি' প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি কিংবা সিনিয়র ডেপুটি সেক্রেটারির অফিসিয়াল কাজ তথা গুরুত্বপূর্ণ ফাইলে স্বাক্ষর করার সাংবিধানিক অধিকার পাবেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে । সেক্রেটারি পদে আইএএস অফিসার না থাকলেও এডিসি পদে আইপিএস অফিসার রয়েছে রাজ্যপালের । সাংবিধানিক নিয়ম মেনে আইপিএস মণীশ জোশী এবং নৌবাহিনীর অন্যতম পদাধিকারী মেজর নিখিল কুমার এডিসি পদে রয়েছেন ।
এ দিকে, আবার দীর্ঘদিন ধরে রাজভবনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আপডেট হয়নি । সেখানে এখনও আইএএস দেবাশিস ঘোষের নাম, রাজ্যপালের সিনিয়র ডেপুটি সেক্রেটারি হিসেবে রয়েছে । প্রেস সচিব হিসেবে শেখর বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম রয়েছে । অথচ, তিনি কয়েক মাস আগেই নবান্নে তাঁর পূর্বের দফতরে কাজে যোগ দিয়েছেন ।
আরও পড়ুন: