কলকাতা, 25 জুন: নবনির্বাচিত বরানগর ও ভগবানগোলার বিধায়কদের শপথ ঘিরে জটিলতা ৷ আগে থেকে যে টানাপোড়েন চলছিল তাতে নতুন মাত্রা দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস ৷ মঙ্গলবার তিনি আইনের ধারা উল্লেখ করে সোশাল মিডিয়ায় সাফ জানান, রাজভবনে এসেই দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেনকে শপথ নিতে হবে ৷
শেষ পর্যন্ত ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়ের পথেই হাঁটতে হতে পারে সায়ন্তিকা-রেয়াত হোসেনকে ৷ দুই বিধায়ককে ফের চিঠি পাঠিয়ে রাজ্যপালের বক্তব্য স্পষ্ট করল রাজভবন ৷ ওই পোস্টে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকা নিয়েও সমালোচনা করেছেন রাজ্যপাল ৷ রাজ্যপাল এবং রাজভবনের ভূমিকাকে অবজ্ঞা করার অভিযোগ তোলা হয়েছে ৷ শপথ অনুষ্ঠানের জন্য বিধানসভার সচিবালয়ের কাছে কিছু তথ্য চেয়ে পাননি বলেও অভিযোগ করা হয়েছে রাজভবনের তরফে ।
- অনিশ্চয়তায় মাঝে রাজভবনে শপথ গ্রহণে যাচ্ছেন না সায়ন্তিকা, আমন্ত্রণ পাননি রেয়াত
— Raj Bhavan Kolkata (@BengalGovernor) June 25, 2024
এদিন এক্স হ্যান্ডেলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস লেখেন, বিধায়কদের শপথ নেওয়ার ব্যাপারে শেষ কথা বলবেন রাজ্যপাল ৷ সংবিধানে সে কথা বলা আছে ৷ যা না মানলে শাস্তি-জরিমানার কথাও উল্লেখ রয়েছে ৷ এর আগে ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে জয়ী তৃণমূল বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায়ের শপথগ্রহণ নিয়ে দড়ি টানাটানি হয়েছিল ৷ সংঘাতে জড়িয়েছিল রাজভবন এবং বিধানসভা ৷ কিন্তু, শেষ পর্যন্ত নির্মল রায়কে শপথ নিতে হয়েছিল রাজভবনেই ৷ যা আইনসঙ্গত বোঝাতেও কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের উদাহরণও টেনে এনেছেন রাজ্যপাল ৷ বিধানসভার বিরুদ্ধে রাজ্যপালের অভিযোগ, "শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য প্রবীণতম মহিলা বিধায়ক, কনিষ্ঠতম বিধায়ক, তফসিলি জাতি, ইত্যাদি বিষয়ে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছিল ৷ বিধানসভা সেই তথ্য দেয়নি ।"
উল্লেখ্য, এর আগে জলপাইরগুড়ির ধুপগুড়ি বিধানসভার বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায় রাজভবনে এসেই শপথ গ্রহণ করেছিলেন ৷ স্পিকারের অনুপস্থিতিতে রাজভবনে রাজ্যপাল তাঁকে শপথ বাক্য পাঠ করান ৷ এবারও সেই জটিলতা দেখা দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত শাসক দলেরই দুই নবনির্বাচিত বিধায়ক আগামী 26 জুন বুধবার রাজভবনে গিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করবেন কি না, তা সময়ই বলবে ৷