নদিয়া, 20 ফেব্রুয়ারি: কোমরে জড়ানো কাপড় ৷ তাতেই লুকোনো 10 কেজি 73 গ্রাম সোনা ৷ যার বাজার মূল্য 6 কোটি 70 লক্ষ টাকা ৷ পাচারের আগেই এই বিপুল পরিমাণ সোনা-সহ এক পাচারকারীকে গ্রেফতার করল সীমান্ত রক্ষীবাহিনী তথা বিএসএফ ৷ রবিবার নদিয়ার হোরান্দিপুরের ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ঘটনা । ধৃত পাচারকারীর নাম ইমাদুল বিশ্বাস ৷ নদিয়ার ভীমপুর থানার মালুপদ গ্রামের বাসিন্দা ।
বিএসএফ সূত্রে খবর, স্থানীয় একটি ভুট্টা খেতে সন্দেহভাজন দু'জনকে দেখতে পান ৷ তাদের ধাওয়া করেন বিএসএফ আধিকারিকরা ৷ এক পাচারকারী পালিয়ে গেলেও, অপরজনকে ধরে ফেলেন ৷ ধৃতের কাছ থেকে 16টি সোনার বার ও 4টি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ৷ যার ওজন 10 কেজি 737 কেজি ৷ আনুমানিক বাজারমূল্য 6 কোটি 69 লক্ষ 46 হাজার 504 টাকা ৷
জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ইমাদুল বিশ্বাস জানায়, সে ও তার সহযোগী রাজু মণ্ডল (পলাতক) বাংলাদেশের বোজতলা গ্রামের বাসিন্দা আলমগীরের কাছ থেকে এই সোনা নিয়েছিল ৷ সেগুলি মালুয়াপাড়ার বাসিন্দা প্রসেনজিৎ বিশ্বাসের কাছে পাচার করছিল । কিন্তু মাঝপথে বিএসএফ জওয়ানরা তাদের ধরে ফেলে । প্রাথমিকভাবে অনুমান, এই বিপুল সোনা চোরাকারবারিরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচারের চেষ্টা করছিল। চোরাকারবারি এবং বাজেয়াপ্ত সোনা গোয়েন্দা অধিদফতর (ডিআরআই) কলকাতায় হস্তান্তর করা হয়েছে ।
বিএসএফ জওয়ানদের এই সাফল্যে জনসংযোগ আধিকারিক শ্রী একে আর্য (ডিআইজি, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত) জানান, চোরাকারবারিরা গরিব ও নিরীহ মানুষকে অল্প অর্থের প্রলোভন দিয়ে ফাঁদে ফেলে । তাদের মাধ্যমে পাচার করে ৷ সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত কোনও তথ্য জানতে পারলে বিএসএফ-এর সীমাসাথী হেল্পলাইন নম্বর 14419-এ তা জানাতে হবে । এছাড়াও সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের এই 9903472227 নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করেও তথ্য পাঠানো যাবে । সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে পুরস্কার দেওয়া হবে এবং পরিচয় গোপন রাখা হবে ৷"
আরও পড়ুন: