শিলিগুড়ি, 26জানুয়ারি: কেন্দ্রীয় রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগের তৎপরতায় বানচাল সোনা পাচার ৷ বৃহস্পতিবার শিলিগুড়িতে ডিআরআই (ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টালিজেন্স)-এর তিনটি পৃথক অভিযানে উদ্ধার হয়েছে 72টি সোনা বিস্কুট ৷ যার মোট ওজন 11 কেজি 952 গ্রাম। এক একটি বিস্কুটের ওজন 166গ্রাম ৷ উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের মূল্য আনুমানিক 5 কোটি টাকা ৷
ঘটনায় অভিযুক্ত 5 পাচারাকরীকে কোচবিহার ও আলিপুর দুয়ার থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ ধৃতরা হল সঞ্জু প্রামাণিক, মিজানুর প্রামাণিক, রফিকুল ইসলাম, ইসমাইল হক ও মতিউর রহমান। ধৃতরা সকলেই কোচবিহারের বাসিন্দা। সোনার বিস্কুটগুলি কোচবিহার থেকে কলকাতায় পাচার করা হচ্ছিল ৷
তদন্তে নেমে ডিআরআই আধিকারিকরা জানান, গোয়েন্দাদের চোখে ধূলো দিতে দু’টি আলাদা দল করে পাচার করছিল পাচারকারীরা ৷ পাচারকারীদের উদ্দেশ্য ছিল কোচবিহার থেকে ওই সোনা কলকাতায় পাচার করা ৷ সেই মতোই ইসমাইল হক ও মতিউর রহমান পৃথকভাবে সোনা পাচারের উদ্দেশ্যে কলকাতা রওনা দেয় । গোপন সূত্রে বিষয়টি জানতে পারে ডিআরআইয়ের শিলিগুড়ি ইউনিট ।
ডিআরআই দু’টি পৃথক টিম তৈরি করে অভিযানে নামে। প্রথমে আধিকারিকরা কোচবিহারের পুন্ডিবাড়িতে অভিযান চালায় । সেখানে একটি যাত্রীবাহী বাসে অভিযান চালিয়ে সঞ্জু প্রামাণিক, মিজানুর প্রামাণিক ও রফিকুল ইসলামকে আটক করে। ধৃতদের কাছ থেকে 43টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। কাপড় দিয়ে আলাদা একটি বেল্ট বানিয়ে কোমরে ওই সোনার বিস্কুট লুকিয়ে রাখা হয়েছিল । পরে তাদের গ্রেফতার করে ৷
এরপর তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে হাসিমারা দলগাঁও স্টেশনে কাঞ্চনকন্যা ট্রেন থেকে ইসমাইল হককে আটক করে ডিআরআই । তার কাছ থেকে উদ্ধার হয় 15টি সোনার বিস্কুট ৷ অন্যদিকে, ডিআরআইয়ের আরেকটি দল আলিপুরদুয়ার স্টেশনে অভিযান চালিয়ে পদাতিক এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে মতিউর রহমানকে গ্রেফতার করে। তার কাছ থেকে 14টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার করা হয়। সেলোটেপ দিয়ে পেটে ওই সোনার বিস্কুটগুলি আটকে রাখা হয়েছিল বলে খবর ডিআরআই সূত্রে ৷
বৃহস্পতিবার ধৃতদের শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতের তোলা হলে বিচারক জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয় ৷ 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন । ঘটনায় আর কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান সরকারি আইনজীবী রতন বনিক।
আরও পড়ুন: