ETV Bharat / state

'কেউ বসবে, কেউ ছাড়বে, কিছু যায় আসে না', প্রদেশ সভাপতি নিয়ে নির্লিপ্ত অধীর চৌধুরী - New Bengal Congress President

Former Bengal Congress Chief Adhir Chowdhury: শনিবার রাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বঙ্গ কংগ্রেসের নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা করেন ৷ আর তার ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রাক্তন হলেন অধীর চৌধুরী ৷ তবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে তাঁর কোনও আপত্তি নেই বলে জানালেন প্রাক্তন সাংসদ ৷

Former Bengal Congress Chief Adhir Chowdhury
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী (ছবি সৌজন্য: এএনআই ভিডিয়ো)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Sep 22, 2024, 6:32 PM IST

কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর: কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যাকেই সভাপতি করুন না কেন, তাতে তাঁর কিছু বলার নেই । এমনই মত প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরীর ৷ শনিবার রাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রবীণ নেতা শুভঙ্কর সরকারকে বঙ্গ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন ৷ এরপর এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন অধীর।

2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছে পরাজিত হন বহরমপুরের পাঁচ বারের সাংসদ অধীর ৷ এদিকে এই নির্বাচনে কংগ্রেস ও সিপিএম জোট বেঁধে লড়েছিল ৷ মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের হয়ে প্রচারও করেছিলেন অধীর ৷ বাংলার রাজনীতিতে একদিকে বিজেপি এবং অন্যদিকে তৃণমূল- দুই বিরোধী দলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ৷

তাঁর হারের পর হাতছাড়া হয় কংগ্রেসের শক্তিশালী গড় বহরমপুর ৷ কংগ্রেসের এই হারের পর থেকেই জল্পনা চলছিল, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে তিনি কি আর থাকবেন ? সেই জল্পনা সত্যি হল গতকাল ৷ প্রাক্তন হলেন অধীর ৷ এদিনই বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা ৷

অধীর সাফ বলেন, "আমার কিছু বলার নেই ৷ যে কেউ সভাপতি হতে পারেন ৷ আমার আগেও কেউ সভাপতি ছিলেন ৷ এরপরেও কেউ সভাপতি হবেন ৷ কেউ সভাপতি হয় । কাউকে পদ ছাড়তে হয় ৷ এতে কিছু যায় আসে না ৷ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের অধিকার বলে যে কোনও কাউকে সভাপতি করতেই পারে ৷ এতে আমার কোনও আপত্তি নেই ৷"

শনিবার হঠাৎ সভাপতির নাম ঘোষণা প্রসঙ্গে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেন, "এই প্রক্রিয়া অনেক দিন ধরেই চলছিল ৷ হঠাৎ করে কিছু হয়নি ৷ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করেছে, তাই বদলেছে ৷ এতে অসুবিধে কোথায় ?" তিনি জানান, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে অনেকের মতামতই নিয়েছিল কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড ৷ সভাপতি পদ খোয়ালেও তাঁর আক্ষেপ নেই ৷ অধীর বলেন, "ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য আছি ৷ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সদস্যও রয়েছি ৷"

প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বদলেরর আলোচনা শুরু হয় লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই। এবছর 21 জুন কলকাতার একটি বৈঠকে বঙ্গ কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব পাশ হয় ৷ তার সঙ্গেই ছিল সভাপতি বদলের প্রস্তাবও ৷ এরপর 29 জুলাই একটি বৈঠকে বঙ্গ কংগ্রেসের ইন-চার্জ গুলাম আহমদ মির অধীরকে 'প্রাক্তন সভাপতি' বলে উল্লেখ করেন ৷ তাতে বিতর্ক ও ধোঁয়াশা তৈরি হয় ৷ তবে এটা বোঝা গিয়েছিল যে বঙ্গ কংগ্রেসের সভাপতি পদে অধীর চৌধুরীর সময় শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ বদল অবশ্যম্ভাবী ৷ শেষমেশ দলের প্রাক্তন ছাত্রনেতা শুভঙ্করের উপরেই আস্থা রাখল কংগ্রেস।

কলকাতা, 22 সেপ্টেম্বর: কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব যাকেই সভাপতি করুন না কেন, তাতে তাঁর কিছু বলার নেই । এমনই মত প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরীর ৷ শনিবার রাতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে প্রবীণ নেতা শুভঙ্কর সরকারকে বঙ্গ কংগ্রেসের নতুন সভাপতি হিসেবে ঘোষণা করেন ৷ এরপর এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন অধীর।

2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানের কাছে পরাজিত হন বহরমপুরের পাঁচ বারের সাংসদ অধীর ৷ এদিকে এই নির্বাচনে কংগ্রেস ও সিপিএম জোট বেঁধে লড়েছিল ৷ মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র থেকে বাম প্রার্থী মহম্মদ সেলিমের হয়ে প্রচারও করেছিলেন অধীর ৷ বাংলার রাজনীতিতে একদিকে বিজেপি এবং অন্যদিকে তৃণমূল- দুই বিরোধী দলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ ৷

তাঁর হারের পর হাতছাড়া হয় কংগ্রেসের শক্তিশালী গড় বহরমপুর ৷ কংগ্রেসের এই হারের পর থেকেই জল্পনা চলছিল, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি পদে তিনি কি আর থাকবেন ? সেই জল্পনা সত্যি হল গতকাল ৷ প্রাক্তন হলেন অধীর ৷ এদিনই বহরমপুরের প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদকে ঘিরে ধরেন সাংবাদিকরা ৷

অধীর সাফ বলেন, "আমার কিছু বলার নেই ৷ যে কেউ সভাপতি হতে পারেন ৷ আমার আগেও কেউ সভাপতি ছিলেন ৷ এরপরেও কেউ সভাপতি হবেন ৷ কেউ সভাপতি হয় । কাউকে পদ ছাড়তে হয় ৷ এতে কিছু যায় আসে না ৷ দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তাদের অধিকার বলে যে কোনও কাউকে সভাপতি করতেই পারে ৷ এতে আমার কোনও আপত্তি নেই ৷"

শনিবার হঠাৎ সভাপতির নাম ঘোষণা প্রসঙ্গে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বলেন, "এই প্রক্রিয়া অনেক দিন ধরেই চলছিল ৷ হঠাৎ করে কিছু হয়নি ৷ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মনে করেছে, তাই বদলেছে ৷ এতে অসুবিধে কোথায় ?" তিনি জানান, প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন নিয়ে অনেকের মতামতই নিয়েছিল কংগ্রেসের হাইকম্যান্ড ৷ সভাপতি পদ খোয়ালেও তাঁর আক্ষেপ নেই ৷ অধীর বলেন, "ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য আছি ৷ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির সদস্যও রয়েছি ৷"

প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি বদলেরর আলোচনা শুরু হয় লোকসভা নির্বাচন শেষ হওয়ার পরপরই। এবছর 21 জুন কলকাতার একটি বৈঠকে বঙ্গ কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটি ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব পাশ হয় ৷ তার সঙ্গেই ছিল সভাপতি বদলের প্রস্তাবও ৷ এরপর 29 জুলাই একটি বৈঠকে বঙ্গ কংগ্রেসের ইন-চার্জ গুলাম আহমদ মির অধীরকে 'প্রাক্তন সভাপতি' বলে উল্লেখ করেন ৷ তাতে বিতর্ক ও ধোঁয়াশা তৈরি হয় ৷ তবে এটা বোঝা গিয়েছিল যে বঙ্গ কংগ্রেসের সভাপতি পদে অধীর চৌধুরীর সময় শেষ হয়ে গিয়েছে ৷ বদল অবশ্যম্ভাবী ৷ শেষমেশ দলের প্রাক্তন ছাত্রনেতা শুভঙ্করের উপরেই আস্থা রাখল কংগ্রেস।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.