কলকাতা, 3 নভেম্বর: চলছে উৎসবের মরসুম। কালীপুজো পেরিয়ে ভাইফোঁটা। ভাইয়ের মঙ্গল কামনা করার সঙ্গেই প্লেট ভর্তি নানা স্বাদের, নানা আকারের মিষ্টি দেবেন বোনেরা। অনেকের ট্রিট আবার হোটেলে। আর সেই ভাইফোঁটার পাতে পড়া মিষ্টি কিংবা হোটেলের খাবারে গুণগত মান ঠিক আছে কি সেদিকে কঠোর নজর কলকাতা কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের অন্তর্গত খাদ্য সুরক্ষা শাখা। কয়েক দিন ধরেই হোটেলের সঙ্গেই মিষ্টির দোকানগুলিতেও অভিযান চলছে।
ভাইফোঁটা জন্য ঘরে ঘরে বোন, দিদিরা এই দিনটি অপেক্ষায় থাকেন। ভাইকে আশীর্বাদ করা ও তার আগামিদিনের শুভ কামনার সঙ্গেই রসনা তৃপ্তির কোনও ত্রুটি রাখেন না বোনেরা। বিভিন্ন ধরনের সন্দেশ, মিষ্টি থাকে পাত ভর্তি করে। কেউ বাড়িতে রেঁধে খাওয়ান আবার এখনকার দিনে চলে রেস্তোরাঁয় গিয়ে খাওয়া। ফলে ভাইফোঁটার আগে ও ভাইফোঁটা উপলক্ষে যে মিষ্টি পাতে উঠবে, সেটা কতটা গুণমান বজায় রেখে বানানো হয়েছে সেই খোঁজ পেতেই বিগত কয়েকদিন ধরে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হল। অভিযান চলল হোটেল, রেস্তোরার রান্না ঘরেও। পাশাপশি, সচেতনতা প্রচার চালালেন খাদ্য সুরক্ষা কর্মীরা। শেখালেন মিষ্টি তৈরির সময় কী কী সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
কলকাতা পুরনিগম সূত্রে খবর, শহরের প্রায় 50টির বেশি দোকান থেকে মিষ্টির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। মোটের উপর গুণমান সবটাই ঠিক আছে। দু'-এক জায়গায় যেখানে মান খানিকটা নিম্ন, সেখানে সতর্ক করা হয়েছে। পাশাপশি কী করণীয়, সেটাও তাদের বলা হয়েছে। এই অভিযান ভাইফোঁটার দিনেও চলবে বলে জানা গিয়েছে ।
শনিবার মূলত দক্ষিণ কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে খাদ্য সুরক্ষা শাখার অভিযান চলেছে । খাদ্য সুরক্ষা কর্মীদের সঙ্গে ছিল ভ্রাম্যমাণ পরীক্ষাগার।
এই প্রসঙ্গে এক আধিকারিক বলেন, "বিভিন্ন উৎসব অনুষ্ঠানের আগে থেকেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান আমরা চালাই। ভাইফোঁটা ও কালী পুজো উপলক্ষে এই অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে খাবারের ক্ষেত্রে বহু জায়গায় নমুনা পরীক্ষায় খারাপ কিছু মিললেও সেই প্রবনতা মিষ্টির ক্ষেত্রে খুবই কম। তবে অভিযান চালানো ও সতর্ক করা থেকে সচেতনতা প্রচার করার মধ্য দিয়ে দোকানদাররা এ বিষয়ে অনেক সচেতন হয়েছেন ৷ পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করে খাবার বানানো থেকে কাঁচামালের গুণমান খেয়াল রাখছেল। ফলে খাবার নিরাপদ সুরক্ষিত থাকছে।