হাড়োয়া, 7 নভেম্বর: নির্বাচনী জনসভা থেকে বিরোধী শিবিরকে বেনজির আক্রমণ রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের । দলীয় প্রার্থী শেখ রবিউল ইসলামের সমর্থনে বুধবার উত্তর 24 পরগনার হাড়োয়ার নির্বাচনী জনসভায় হাজির ছিলেন তিনি-সহ দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু ও তৃণমূলের অন্যান্য নেতৃত্ব । সেখানে মঞ্চ থেকে ফিরহাদ বলেন, "সিপিএম, কংগ্রেস এবং আইএসএফ হল এক একটা মীরজাফর ! এরা সকলে মিলে বিজেপিকে পিছন থেকে সাহায্য করছে ৷ কিন্তু শত চেষ্টা করলেও ভারতীয় জনতা পার্টি কোনও দিন বাংলা দখল করতে পারবে না ।"
আগামী 13 নভেম্বর রাজ্যের অন্য পাঁচ বিধানসভার সঙ্গে উপনির্বাচন রয়েছে হাড়োয়ায় । তাই এতটুকু সময় নষ্ট না করে নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শাসক বিরোধী উভয়পক্ষই । এই কেন্দ্রে এবার তৃণমূল প্রার্থী করেছে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের প্রয়াত সাংসদ হাজি নুরুল ইসলামের মেজো ছেলে শেখ রবিউল ইসলামকে । বুধবার তাঁর সমর্থনে হাড়োয়া হাইস্কুল মাঠে নির্বাচনী জনসভায় যোগ দেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । ছিলেন প্রার্থী নিজেও । নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ দিন বিজেপিকে আগাগোড়া আক্রমণ করে গিয়েছেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ।
লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের ভরাডুবির প্রসঙ্গ টেনে এনে তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, "ওরা আওয়াজ তুলেছিল আগলি বার 35 ! বিজেপি হয়ে গিয়েছে ফিনিশ ! এখন আবার ওরা বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখছে । আসলে বিজেপি এখানে কুঁজো । চিত হয়ে শোয়ার ইচ্ছা হয়েছে । তাই, ওরা চিত হয়ে শুয়ে আছে । বাংলা দখল করা এত সোজা নয় । আগে দিল্লি সামলে দেখাক ওরা । তারপর বাংলা দখল করার চিন্তা করবে । কেন্দ্রে কোনও রকমে বিজেপি সরকার গড়েছে । 'ইভিএম বাবা' যদি শেষ সময়ে না বাঁচাত, তাহলে ওদের পরাজয় নিশ্চিত ছিল । এটুকু জেনে রাখুন ।"
এরপরই বিজেপি,আইএসএফ এবং সিপিএমকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম । ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তিনি বলেন, "নবাব সিরাজকে হত্যা করার জন্য মীরজাফর ছিলেন । তেমনই এখন রয়েছে কংগ্রেস, সিপিএম ও আইএসএফ । এরা সকলেই এক একটা মীরজাফর । পিছন থেকে বিজেপিকে সাহায্য করছে এই তিন মীরজাফর । সেদিন সিরাজের পাশে ছিলেন মীরকাসিম । আজ রবিউলের পাশে রয়েছেন হাড়োয়ার আপামর সাধারণ মানুষ । তাঁর জয় হবেই ।"
এ দিকে বিজেপিকে আক্রমণ করে ফিরহাদ আরও বলেন, "বিজেপি-র অবস্থা খুবই খারাপ । আগামিদিনে মহারাষ্ট্র অথবা দিল্লিতে ভোট হলে বিজেপি অনিবার্য ভাবে হারবে । সেখানে আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না । গোটা দেশেই বিজেপি কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে বিরোধী নেতাদের । আমাকেও কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে জেলে পোড়া হয়েছিল । ইডি, সিবিআই তো আছেই ! এখন আবার নতুন জুটেছে এনআইএ ৷ বাজি, পটকা এগুলো ফাটাবেন না । কোন সময় এগুলো ফাটানোর জন্য এনআইএ তদন্ত করতে ছুটে আসবে এ রাজ্যে ! তাই,সাবধান ! আসলে গব্বর সিংয়ের শ্যামা, কালিয়া এসব শাগরেদ ছিল । এদেরই অবস্থা হয়েছে তাই ।"